img

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৫৩, লেবাননে ২১

প্রকাশিত :  ০৬:২০, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৫৩, লেবাননে ২১

ইসরায়েলি বর্বর হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৪২ হাজার ৯২০ ছাড়িয়ে গেছে।

এছাড়া লেবাননেও নিরলস হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় আরও ২১ লেবানিজ নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৮ অক্টোবর) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় কমপক্ষে আরও ৫৩ জন এবং লেবাননে ২১ জনকে হত্যা করেছে। রোববার গাজাজুড়ে হওয়া ইসরায়েলি হামলায় ওই ৫৩ জন নিহত হন। মৃত এসব ফিলিস্তিনির মধ্যে অন্তত ৪৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন উপত্যকাটির উত্তরাঞ্চলে।

এছাড়া গাজার আবাসিক এলাকায় বোমা হামলা এবং গণগ্রেপ্তারের মাধ্যমে চলমান হামলা ও অবরোধ আরও জোরদার করেছে ইসরায়েল।

ফিলিস্তিনি চিকিৎসক হুসেইন আল-হালাবি বলেছেন, “ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান আসমা স্কুলকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালিয়েছে। আহত বিপুল সংখ্যক মানুষকে আল-আহলি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আটকা পড়ে রয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন আহত। এই স্কুলটি জাবালিয়া এবং গাজা শহরের পশ্চিম এলাকা থেকে বাস্তুচ্যুত লোকেদের আশ্রয়স্থল ছিল।”

গত চার সপ্তাহ ধরে উত্তর গাজায় ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। কিছু মেডিকেল সূত্র আল জাজিরাকে বলেছে, এই সময়ে অন্তত এক হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

এদিকে রোববার লেবাননজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় আরও ২১ জন নিহত হয়েছেন। মূলত গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানী বৈরুতের পাশাপাশি লেবাননজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর অপারেটিভস, অবকাঠামো এবং অস্ত্রাগারকে লক্ষ্য করে এই হামলা চলছে।

হিজবুল্লাহও পাল্টা আঘাত হানছে। গত সপ্তাহে লেবাননে অভিযানরত ইসরায়েলি বাহিনীর ৭০ জন সেনাকে হত্যার দাবি করেছে শক্তিশালী এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। অবশ্য ঠিক কত দিনে এই সেনারা নিহত হয়েছেন, তা এই বিবৃতিতে উল্লেখ করেনি গোষ্ঠীটি।

এর আগের সপ্তাহে এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে ৫৫ জন ইসরায়েলি সেনাকে হত্যার দাবি করা হয়েছিল। এছাড়া গত বছরের অক্টোবরে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে লেবাননে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যেই আড়াই হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

img

ইমরান খানের আল-কাদির ভার্সিটির নিয়ন্ত্রণ এখন আমার হাতে, বললেন মরিয়ম

প্রকাশিত :  ০৫:৫৫, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

১৯০ মিলিয়ন পাউন্ড আল-কাদির ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী সাবেক ফার্স্ট লেডি বুশরা বিবিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আদালতের এমন রায়ের পরপরই খানের প্রতিষ্ঠিত আল-কাটির ভার্সিটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ।

আজ শুক্রবার মামলার রায় ঘোষণার পর ইমরান খানের প্রতিষ্ঠিত আল-কাদির ভার্সিটি ‘এখন আমার নিয়ন্ত্রণে’ বলে ঘোষণা দেন মরিয়ম।

মরিয়ম ওকারা বিশ্ববিদ্যালয়ে হোনহার স্কলারশিপ প্রোগ্রামের এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় বলেন, ‘আদালত ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ডের মামলার রায়ের পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছে।’

এদিকে একটি জবাবদিহিতা আদালত পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর প্রতিষ্ঠাতা খানকে ১৪ বছরের সাজা এবং তার স্ত্রীকে মোটা অংকের জরিমানার পাশাপাশি সাত বছরের সাজা দিয়েছে।

রায় অনুসারে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ‘দুর্নীতিমূলক অনুশীলন’ এবং ‘কর্তৃত্বের অপব্যবহারের’ জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। সেই সঙ্গে সাবেক ফার্স্ট লেডিকে খানের সঙ্গে ‘অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার’ অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। 

রায় ঘোষণার পর বিচারক, কর্তৃপক্ষকে আল-কাদির ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির হেফাজত সিএম মরিয়মের চাচা প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন ফেডারেল সরকারের কাছে হস্তান্তর করার নির্দেশ দিয়েছেন।

আল-কাদির ভার্সিটির নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা ভার্সিটিতে ধর্মীয় এবং প্রচলিত শিক্ষা পাবেন এবং আমি তাদের বৃত্তি এবং ল্যাপটপ প্রদান করব।’

মরিয়ম আরও বলেন, ‘আমি পেট্রোল বোমা নয়, আমাদের বাচ্চাদের বৃত্তি দিতে চাই। যে শিশুদের পেট্রোল বোমা দেওয়া হয়েছে তারা এখন কারাগারে রয়েছেন। তারা পুলিশকে আক্রমণ করত। সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা যায় দেখুক না কেন তা অন্ধভাবে বিশ্বাস করতে তাদের উত্সাহিত করা হয়েছিল।’

বক্তৃতায় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মরিয়ম বলেন, ‘আপনাদের শক্তি আমার প্রয়োজন কারণ; আপনারাই আমার মূল শক্তি। এই প্রদেশে উন্নয়ন আনতে, আমি আপনার উৎসর্গের উপর নির্ভর করি।’