img

সিজনাল ফ্লু থেকে বাঁচতে যা খাবেন

প্রকাশিত :  ০৯:১৭, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

সিজনাল ফ্লু থেকে বাঁচতে যা খাবেন

আশ্বিনি প্রকৃতিরর বৈশিষ্ট্য হলো হুটহাট বৃষ্টি আর ঠাণ্ডা বাতাস আবার প্রচণ্ড গরম। এমন মিশ্র আবহাওয়ায় সহজেই গরম ঠান্ডা লেগে যেতে পারে অথবা সিজনাল ফ্লু হতে পারে। এছাড়াও আর্দ্র বাতাসে ভেসে থাকতে পারে নানারকম জীবাণু। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু খাবার ও পানীয়ের সম্পর্কে যা সহজেই মুক্তি দিতে পারে এ সমস্যা থেকে। 

তুলসি

চা,বিভিন্ন পানীয় ও সালাদে তুলসী পাতা যোগ করে সহজেই ঠান্ডার সমস্যায় আরাম পাওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে খালি পেটে তুলসীর রস খুবই কার্যকরী।

আদা

ঠাণ্ডা কাশির জন্য আরেকটি কার্যকরী উপাদান হল আদা। বিভিন্ন রান্নায় মশলা হিসেবে ব্যবহারের পাশাপাশি চায়ে আদা যোগ করে খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।

লবঙ্গ

কাশি বা গলাব্যাথার উপশমের জন্য লবঙ্গ একটি  উপকারী মশলা। 

রসুন

রসুন এন্টিঅক্সিডেন্ট সম্পন্ন হওয়ায় এটি শরীরের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত উপকারী। রসুনের আচার, মুড়ি মাখা, রসুন ভর্তা এছাড়াও অন্যান্য রেসিপিতে রসুন যোগ করার মাধ্যমে দেহে এন্টিওক্সিডেন্ট এর মাত্রা বৃদ্ধি করা যেতে পারে। 

ভিটামিন সি

দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও বিভিন্ন জীবাণুর আক্রমন থেকে মুক্ত থাকতে পর্যাপ্ত পরিমান ভিটামিন - সি জাতীয় ফল বিশেষ করে কেমিক্যাল মুক্ত দেশীয় ফল  খেতে হবে।

মধু

নাক ও শ্বাসনালীর প্রদাহ বা সংক্রমন থেকে উপশমের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক মধুর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

বিটা ক্যারোটিন

বিভিন্ন ধরনের রঙিন বিশেষ করে কমলা ও লাল রঙের ফল ও সবজিতে প্রচুর পরিমাণ বিটা ক্যারোটিন থাকে।যা আমাদের দেহে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে।এটি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ও সাধারণ ফ্লু এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।

নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার সমাধানের জন্য উপর্যুক্ত খাদ্য উপাদানগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার প্রাকৃতিক সমাধানের জন্য ধানমন্ডিস্হ আমেরিকান ওয়েলনেস সেন্টার এ ডাক্তার ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে পারেন।


img

ভুলে যাওয়ার সমস্যা বাড়ে যেসব অভ্যাসে

প্রকাশিত :  ০৫:৩৭, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

বাসার চাবি কোথায় রেখেছেন তা মনে না পড়া কিংবা বাজার থেকে কী কী কিনতে হবে তা হুট করে ভুলে যাওয়ার সমস্যায় ইদানীং অনেকেই ভুগছেন। এমনটা যে বয়স্কদের হচ্ছে তা নয়। অনেক কম বয়সীদের মধ্যেও এ ধরনের ভুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা যাচ্ছে। হুট করে সবকিছু গুলিয়ে যাওয়া, প্রয়োজনীয় জিনিস আনতে ভুলে যাওয়া কিংবা পছন্দের মানুষের জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকীর তারিখ ইত্যাদি ভুলে যাওয়া খুব সাধারণ ঘটনা নয়। চলার পথে হুট করে কিছু মনে না রাখত্রে পারলে খানিকটা পিছিয়ে পড়তে হয়। কখনো কখনো অন্যদের সামনে বেশ অস্বস্তিতেও পড়তে হয়।

কিন্তু কেন এমন হচ্ছে? গবেষকরা বলছেন, প্রতিদিনের কিছু অভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে ব্যাহত করছে। দিনের পর দিন একই অভ্যাসের কারণে মস্তিষ্কের ক্ষতি হচ্ছে। 

উচ্চস্বরে গান শোনা: গান শোনা খুব ভালো একটি অভ্যাস। গান শুনলে মস্তিষ্ক শীতল হয়। দুশ্চিন্তা দূর হয়। কিন্তু কানে হেডফোন গুঁজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা উচ্চস্বরে গান শুনলে মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি হয়। টানা ৩০ মিনিট অতি উচ্চমাত্রার শব্দ শুনতে থাকলে শ্রবণশক্তি সম্পূর্ণ রূপে লোপ পেতে পারে। শ্রবণশক্তি লোপ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তিও লোপ পেতে পারে। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের টিস্যু নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম: অতিরিক্ত ‘স্ক্রিন টাইম’ও মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। অফিসে সারা ক্ষণ কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের সামনে মুখ গুঁজে বসে থাকা, সারাক্ষণ ফোন স্ক্রল করা, স্ক্রিনে গেমস খেলা, ওয়েব সিরিজ দেখা ইত্যাদি কাজগুলো করলে দিনের অধিকাংশ সময় স্ক্রিনে চোখ থাকে। এতে চোখের যেমন  ক্ষতি হয়, মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও কমে যায়। এতে মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে অচল হয়ে পড়ে।

অন্ধকারে থাকা: কেউ কেউ অন্ধকারে থাকতে ভালোবাসেন। দীর্ঘ সময় অন্ধকারে থাকার অভ্যাস মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। এই অভ্যাস মনে বিষণ্ণতা তৈরি করে। আর বিষণ্ণতা মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে ধীর করে দেয়। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা সঠিক রাখতে প্রাকৃতিক আলোতে থাকতে হবে। সূর্যের আলোতে সময় কাটাতে হবে। এতে মেজাজ ভাল থাকে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও বাড়ে।

একা থাকার অভ্যাস: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢুঁ মারলে অনেক বন্ধু পাওয়া যায়। কিন্তু ভার্চুয়াল বন্ধুরা কাছের হয় না। এখন বেশিরভাগ মানুষ ভেতর থেকে একা হয়ে যাচ্ছেন। অনেকেই ভীড়-আড্ডা-অনুষ্ঠানে যেতে চান না। পারিবারিক অনুষ্ঠান হোক কিংবা অফিসের পার্টি— সব কিছুই এড়িয়ে চলতে চান। অর্থাৎ নিজের মতো একা থাকতে চান। একা থাকার অভ্যাসও কিন্তু মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, যাঁরা কাছের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন, তাঁরা অন্যদের তুলনায় হাসিখুশি ও কর্মদক্ষ হন। তাঁদের স্মৃতিশক্তিও অন্যদের তুলনায় বেশি হয়।

অধিক পরিমাণে চিনি খাওয়া: অতিরিক্ত চিনি ও চিনি জাতীয় খাবার খাওয়াও মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। আবার বার্গার, ভাজাপোড়া খাবার, আলুর চিপ্স বা কোমল পানীয়ের মতো খাবার স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার জন্য দায়ী। তাই এসব খাবারের বদলে খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজি, ফল ও বাদামজাতীয় খাবার রাখতে হবে।