img

বাংলাদেশে ৬ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ‘ইমো’

প্রকাশিত :  ১৩:২৮, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশে ৬ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ‘ইমো’

কমিউনিটি গাইডলাইন না মানার কারণে বাংলাদেশ থেকে ৬ লাখ ২৮ হাজার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে অডিও-ভিডিও কলিং এবং ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ ‘ইমো’। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে কমিউনিটি গাইডলাইন না মানায় এসব কাউন্ট বন্ধ করা হয়।

স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা ও অন্তর্ভুক্তি নিয়ে ইমোর অব্যাহত প্রতিশ্রুতির জায়গা থেকে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। অক্টোবরে সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস চলাকালে, বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা কমিউনিটির মাঝে আস্থা নির্মাণ ও নিরাপদ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে এই তথ্য প্রকাশ করেছে ইমো।

এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে ক্ষতিকর কনটেন্ট পোস্ট করার মাধ্যমে কমিউনিটিতে প্রভাব ফেলতে পারে এরকম বিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ড এড়াতে ব্যবহারকারীদের রিপোর্ট করা ৯০ হাজার কেস চিহ্নিত করে ইমো। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, কোনো ধরনের ব্যতিক্রম ছাড়া, সব ব্যবহারকারীর জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য একটি পরিবেশ গড়ে তুলতেই ইমোর কমিউনিটি গাইডলাইন তৈরি করা হয়। বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় সচ্ছতা ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখা নিশ্চিত করতে সব ব্যবহারকারী ও কনটেন্ট নির্বিশেষে সবার ক্ষেত্রে একইভাবে এই গাইডলাইন প্রয়োগ করা হয়। একটি নিরাপদ ও বন্ধুত্বপূর্ণ কমিউনিটি নিশ্চিত করতে প্ল্যাটফর্মটি সবসময়ই আরও বেশি প্রাসঙ্গিক ফিচার নিয়ে আসছে এবং ধারাবাহিকভাবে অ্যাপ্লিকেশন আপগ্রেড করছে। 

img

কলরেট ও ইন্টারনেট নিয়ে সুখবর দিল এনবিআর

প্রকাশিত :  ১৩:১৬, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৬:০৩, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কলরেট ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ওপর বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গ্রাহক, মোবাইল অপারেটর ও ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিবাদের মুখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একটি সূত্র কালবেলাকে জানায়, এনবিআরের পক্ষ থেকে মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবার ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হবে।

গত ৯ জানুয়ারি মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ এবং দি এক্সাইজ অ্যান্ড সল্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে মোবাইল সেবার ওপর বাড়তি ৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করে ২৩ শতাংশ করা হয়। পাশাপাশি বাড়তি ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের উপর। এতেই দেশব্যাপী সমালোচনা শুরু হয়। নাগরিক জীবনে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

এ বিষয়ে আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক জানান, এনবিআরের পক্ষ থেকে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে গ্রাহকরাই উপকৃত হবে। আমরা শুল্ক আরোপের পর থেকেই আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে এটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিলাম। বাড়তি এই শুল্ক আমাদের ওপর যতটা প্রভাব ফেলত তার চেয়ে বেশি গ্রাহকদের ওপর প্রভাব ফেলত।

মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এনবিআরের এমন সিদ্ধান্তের কারণে আমরা সরকার ও এনবিআর উভয়কেই সাধুবাদ জানাই। তবে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভ্যাট আরও কমিয়ে এর দাম কমিয়ে নিয়ে আসতে হবে। একই সঙ্গে দেশব্যাপী ইন্টারনেট সেবার গতি ও মান বাড়াতে হবে।