img

ক্ষমতায় গেলে বিদেশে যুদ্ধ করবেন না, প্রতিশ্রুতি ট্রাম্পের

প্রকাশিত :  ১৭:৪১, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

ক্ষমতায় গেলে বিদেশে যুদ্ধ করবেন না, প্রতিশ্রুতি ট্রাম্পের

আমেরিকার আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যদি রিপাবলিকানরা জয়ী হয় তাহলে বিদেশে কোনো যুদ্ধ করবে না যুক্তরাষ্ট্র। কোনো মার্কিন সেনাকেও আর যুদ্ধের জন্য বিদেশে পাঠানো হবে না। এমন মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তিনি বলেছেন, বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলে যতগুলো আন্তর্জাতিক সংকটে জড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, সেসবের প্রত্যেকটির সমাধান করবেন তিনি এবং এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেবেন ইউক্রেন ও গাজা সংঘাতকে।

রোববার পেনসিলভেনিয়া রাজ্যে এক নির্বাচনী প্রচারণা সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় এই প্রতিশ্রুতি দেন ট্রাম্প। উপস্থিত জনতাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “যদি কমালা হ্যারিস নির্বাচনে জয়ী হয়ে আগামী চার বছরের জন্য ক্ষমতা গ্রহণ করেন, তাহলে মধ্যপ্রাচ্য অন্তত আগামী চার দশক পর্যন্ত জ্বলবে এবং আমাদের যেসব সন্তানদের মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন সেনাঘাঁটিতে পাঠানো হয়েছে, তারা বেঘোরে মারা পড়বে।”

“তাই কমালাকে ক্ষমতায় পাঠানোর অর্থ হলো লাখ লাখ মার্কিন তরুণ-তরুণীর জীবন কে ঝুঁকিতে ফেলা। আমাদের ছেলে-মেয়েরা এমন সব দেশে যুদ্ধ করতে গেয়ে মারা যাচ্ছে, যেসব দেশের নামই হয়তো অনেকে মার্কিন নাগরিক শোনেননি।”

“কিন্তু আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আপনারা যদি আমাকে জয়ী করেন, আমি কখনও কোনো নির্বোধ এবং শেষ না হতে চাওয়া যুদ্ধে মার্কিন সেনাদের পাঠাব না। আপনাদের সন্তানরা আপনাদের সংস্পর্শে থাকবে। বাড়ি থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে অন্য কোনো দেশে বেঘোরে তাদের প্রাণ হারাতে হবে না।”

নির্বাচনী প্রচারণা সভায় তিনি আরও বলেন, “আমি আরও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, বাইডেন শাসনামলের চার বছরে যতগুলো আন্তর্জাতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র জড়িয়েছে, প্রতিটি থেকে আমি এই দেশকে বের করে আনব। সবার আগে গুরুত্ব দেওয়া হবে ইউক্রেন এবং গাজা সংঘাতের ওপর।”

আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হয়েছেন ট্রাম্প। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটির পার্টির প্রার্থী দেশটির বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস।

img

বিধ্বস্ত হয়েছে আসাদকে বহনকারী বিমান!

প্রকাশিত :  ১৩:৩১, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪

সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের তড়িৎগতির আক্রমণের মুখে দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনের অবসান ঘটেছে। দীর্ঘ ২৪ বছর ক্ষমতায় থাকার পর রোববার ভোরেই দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট আসাদ। এদিন ভোরেই রাজধানী দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে একটি বিমানযোগে পালিয়ে যান তিনি।

ইরানের বার্তা সংস্থা মেহের নিউজ ও সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে বহন করা বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সিরিয়ার একাধিক সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, উড্ডয়নের পর বিমানটি মাঝপথে রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়।

এই খবরের পর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের ভাগ্য নিয়ে জল্পনা চলছে। দাবি করা হচ্ছে যে, তিনি যে বিমানে ছিলেন তা হয়তো বিধ্বস্ত হয়েছে বা ভূপাতিত হয়েছে।

সিরিয়ার দুটি সূত্র জানিয়েছে, আসাদের বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি। কারণ বিমানের আকস্মিক ইউটার্ন এবং রাডার থেকে অদৃশ্য হওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে। তবে, বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে বোঝা যায়নি ওই বিমানে কে ছিলেন।

এর আগে, রোববার ভোরে সিরিয়ার আসাদ সরকারের পতন ঘটে। বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়’আত তাহরির আল-শাম বা এইচটিএস দামেস্ক দখল করে নিলে এ ঘটনা ঘটে।