img

সুনামগঞ্জে মা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত :  ০৮:৫২, ২৯ অক্টোবর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:০৩, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

সুনামগঞ্জে মা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা

সুনামগঞ্জ শহরের হাছননগর এলাকায় একটি বাসা থেকে মা ও ছেলের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের ধারণা।

আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে শহরের এসপি বাংলা এলাকার বাসার মেঝেতে লাশ দুটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। নিহতরা হলেন-মৃত শহিদুল মিয়ার স্ত্রী ফরিদা বেগম (৫০) ও তার ছেলে মিনহাজ (২০)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,  সকালে ওই বাসার গৃহকর্মী এসে দেখেন ঘর খোলা ও মা-ছেলের লাশ মাটিতে পড়ে আছে। বিষয়টি তিনি নিহতদের স্বজনদের জানান। স্বজনরা খবর পেয়ে এসে দ্রুত পুলিশকে বিষয়টি জানান।

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ফরিদা বেগম তার ছেলের সঙ্গে ওই বাসায় থাকতেন। একই বাড়ির অন্য এক কক্ষে তার খালাতো বোন ও বোনের ছেলে ভাড়া থাকতেন।

সুনামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক জানান, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে পারিবারিক কলহের কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে বাসায় থাকা ফরিদা বেগমের খালাতো বোনের ছেলে ফয়সাল ও ফাহমিদ পলাতক রয়েছে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

img

মৌলভীবাজারে ভাবী খুনের ৯ ঘন্টার মধ্যে দেবর আটক

প্রকাশিত :  ১৩:৫৪, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জে কারিমা বেগম (৩৮) নামে এক নারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা ঘটনার ৯ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ত মঞ্জুর মিয়াকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ ইফতেখার হোসেনের নির্দেশনায় এএসআই হামিদুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া এলাকা থেকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দেবর মঞ্জুর মিয়া (৪২) উপজেলার সীমান্তবর্তী মাধবপুর ইউনিয়নের পাত্রখোলা চা বাগানের বাজার লাইন এলাকায় পান দোকানে ঢুকে বড় ভাবি কারিমা বেগম (৪২) কে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করলে সে মাটিতে লুঠিয়ে পড়েন। পরে বাজার লাইন এলাকার ব্যবসায়ীসহ স্থানীয়রা ছুটে আসলে ঘাতক ঘাতক পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত মহিলাকে মুমুর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খুন হওয়া নারী পাত্রখোলা চা বাগানের পূর্বপাড়া দুই নাম্বার এলাকার মর্তুজ মিয়ার স্ত্রী। খুন করে পালিয়ে যাওয়া মঞ্জুর মিয়াকে ঘটনার ৯ ঘন্টা পর আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় কারিমার ভাই আব্দুস সাত্তার বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই কমলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ ইফতেখার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদ এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার রাতে হত্যাকান্ডে জড়িত মঞ্জুর মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার তাকে মৌলভীবাজার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।


সিলেটের খবর এর আরও খবর