বড় উত্থানেও স্বস্তি নেই শেয়ারবাজারে
১২ আগস্ট থেকে বর্তমান কমিশন ক্ষমতা গ্রহণের পর শেয়ারবাজার পতনের বৃত্তে আটকে ছিল। ১২ আগস্ট থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ১ হাজার ১৪৭ পয়েন্ট। আর বিনিয়োগকারীদের মূলধন উধাও হয়ে গেছে ৬৯ হাজার ৭৩৯ কোটি টাকা। এই সময়ে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দাম অর্ধেকে নেমে গেছে।
চলতি সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার ডিএসইর সূচক কমেছে ১৪৯ পয়েন্ট। যা ছিল গত চার বছরের মধ্যে রেকর্ড সর্বোচ্চ পতন। গতকাল সোমবার পতন হয়েছে আরও ৬৭ পয়েন্ট। বিপরীতে আজ মঙ্গলবার ডিএসইর সূচক বেড়েছে প্রায় ১১৯ পয়েন্ট।
কিন্তু সূচকের এমন উত্থানেও বিনিয়োগকারীদের মুখে স্বস্তি নেই। বিনিয়োগকারীরা এখনো ভয় ও আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারছে না। তারপরও তারা শেয়ারবাজারে ভালো কিছুর আশা নিয়ে প্রহর গুণছেন।
আজ সূচকের এমন উত্থান হলেও আগের দিনের চেয়ে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে। এর কারণ হিসাবে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে এখন ফোর্স সেল কমে এসেছে। গত কয়েকদিনের ফোর্স সেলে শত শত বিনিয়োগকারী নিঃস্ব হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এখন তেমন ফোর্স সেলের আশঙ্কা নেই। ফলে বাজারে নতুন করে পতনের তেমন শঙ্কাও নেই।
আজ ২৯ অক্টোবর ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১৮.৮০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৭ পয়েন্টে।
এদিন ডিএসইতে ৩৪৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩৫৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ১০ কোটি ৬৬ লাখ টাকার বা ৩ শতাংশ।
ডিএসইতে আজ লেনদেন হওয়া ৩৯৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৩১২টির বা ৭৯.১৮ শতাংশের, কমেছে ৫৭টির বা ১৪.৪৬ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির বা ৬.৩৪ শতাংশের।
অপর শেয়ারবাজার সিএসইতে আজ ১০ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৮০ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ১০২টির, কমেছে ৫৬টির এবং পরিবর্তন হয়নি ২২টির।
এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৯৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁডিয়েছে ১৪ হাজার ১৮ পয়েন্টে।