img

কানাডার হোটেলে শ্রীমঙ্গলের সাবেক ব্যাংকারের রহস্যজনক মৃত্যু

প্রকাশিত :  ১৯:৫৩, ২৯ অক্টোবর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ২০:০৫, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

স্থানীয় পুলিশের ওয়েবসাইটে মৃত্যু সম্পর্কে কোন তথ্য নেই !

কানাডার হোটেলে শ্রীমঙ্গলের সাবেক ব্যাংকারের রহস্যজনক মৃত্যু

সংগ্রাম দত্ত: কানাডার সাসস্কাচিয়েন অঙ্গরাজ্যের সাসস্কাটন শহরের হেরিটেজ ইন হোটেল এন্ড কনভেনশন সেন্টারের এক নারী কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

উন্নত দেশে ঘটনার ১৫ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও এ যাবৎ কানাডার সাসস্কাটন পুলিশ সার্ভিস তাদের ওয়েবসাইটে পুঙ্খানুপু রূপে তদন্তক্রমে রহস্যজনক মৃত্যু সম্পর্কে কোন তথ্য  প্রকাশ করে নি  জানা গেছে।

গত ১৫ অক্টোবর ঘটনাটি ঘটেছে কানাডার সাসস্কাটন শহরে। উপরোল্লেখিত হোটেলের নিচ থেকে সাসস্কাটন পুলিশ সার্ভিস শ্রীমঙ্গলের সাবেক ব্যাংকার নন্দিতা ভট্টাচার্য মুনমুন এর লাশ উদ্ধার করেছে। 

জানা গেছে যে,  বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা শহরের পূর্বাশা আবাসিক এলাকার সাবেক কমিশনার বলাই ভট্টাচার্যের তৃতীয় সন্তান অনুপ ভট্টাচার্যের স্ত্রী। তিনি দীর্ঘদিন প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড এর শ্রীমঙ্গল শাখায় একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

২০২২ সালে জুন মাসের দিকে সপরিবারে উন্নত জীবন যাপনের লক্ষ্যে কানাডার সাসস্কাচিয়েন অঙ্গরাজ্যের সাসস্কাটন শহরে অভিবাসন নিয়ে বসবাস শুরু করেন। তারা স্বামী-স্ত্রী উভয়ই কর্মজীবী ছিলেন। তাঁর স্ত্রী নন্দিতা ভট্টাচার্য মুনমুন সাসকাটন শহরের হেরিটেজ ইন হোটেল এন্ড কনভেনশন সেন্টারে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। ঘটনার দিন অনুপ ভট্টাচার্য তাঁর স্ত্রীকে সকালে গাড়ি করে নিয়ে পৌঁছে দেন। বিকেল চারটার দিকে তিনি হোটেল থেকে বাসায় নিয়ে আসার জন্য সেখানে যান। প্রায় সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত অপেক্ষা করে তাঁকে মোবাইলে বারবার কল দেওয়ার পর হোটেল থেকে পুলিশ অফিসার তাঁর স্ত্রীর মোবাইল নিয়ে এসে তাঁকে দিয়ে বলেন যে তাঁর স্ত্রী আর নেই।  কিন্তু কখন, কিভাবে ছাদের উপরে গিয়ে পড়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন তা' পুলিশ জানাতে পারেনি। কোন সাক্ষী নেই, সিসিটিভি ফুটেজ নেই ও তাঁর পার্সে থাকা ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডগুলোও নেই।

ঘটনার দিন ষ্টোর রুম পর্যন্ত তাঁকে ( মুনমুন) যেতে সিসিটিভি ফুটে গিয়ে দেখা গেছে। এরপর আর দেখা যায়নি। এমনকি ছাদে গিয়ে নিচে পড়া পর্যন্ত সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যায়নি বলে খবর পাওয়া গেছে। ছয়তলা বিশিষ্ট হোটেলটির ছাদে গিয়ে উপর থেকে পড়ে গিয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। 

জানা গেছে যে, কানাডা বা পাশ্চাত্য দেশের আইন অনুযায়ী হোটেলের ছাদে উঠার কোন আইন নেই। পুরো হোটেল সিসিটিভির আওতাধীন ও সার্বক্ষণিক সিসিটিভি ফুটেজ মনিটরিং করা পলিসি রয়েছে । ছাদে উঠার চাবিও নাকি মেনটেনেন্স ডিপার্টমেন্টের কাছে থাকে। এমতাবস্থায় প্রশ্ন জাগে যে, তিনি কিভাবে, কার কাছ থেকে চাবি নিয়ে গিয়ে ছাদের উপর থেকে পরে মৃত্যুবরণ করলেন । ফলে অনেকের কাছেই ঘটনাটির পিছনে গভীর , অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ও রহস্য লুকিয়ে রয়েছে বলে মনে করেন।

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

টাওয়ার হ্যামলেটসে চালু হলো সাঁতার শেখার স্কুল ‘বি ওয়েল—সুইম ওয়েল’

প্রকাশিত :  ১৯:০৭, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

টাওয়ার হ্যামলেটসের মাইল এন্ড পার্ক লেজার সেন্টারে কাউন্সিলের লেজার সার্ভিসেস ‘বি ওয়েল’ ৪ ডিসেম্বর তাদের নতুন সাঁতার শিখন স্কুল ‘বি ওয়েল সুইম ওয়েল’ চালু করেছে। এই সুইম স্কুলের লক্ষ্য হল বাসিন্দাদের সাঁতারের ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী ও নিরাপদ করে তোলা।

সুইম ইংল্যান্ডের লার্ন টু সুইম ফ্রেমওয়ার্ক অনুসরণ করে ‘বি ওয়েল সুইম ওয়েল’। এই ফ্রেমওয়ার্ক হচ্ছে ইংল্যান্ডের জাতীয় সাঁতার প্রশিক্ষণ কাঠামো। এতে অন্তর্ভুক্তঃ
— দক্ষ ও সদ্য প্রশিক্ষিত প্রশিক্ষক।
— ছোট ছোট ক্লাস, যাতে মনোযোগ ও নির্দেশনায় বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া সম্ভব।
— সাঁতারের প্রতিটি ধাপের জন্য নির্ধারিত ক্লাস, বিশেষ করে বিশেষ শিক্ষা চাহিদা ও প্রতিবন্ধী (সেন্ড) শিক্ষার্থীদের জন্য সুনির্দিষ্ট ক্লাসের আয়োজন
— প্রতিটি ধাপের স্পষ্ট অগ্রগতি, যা একটি কাঠামোবদ্ধ শিক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে নিশ্চিত করে।
— প্রতিটি মাইলফলক উদযাপনে অফিসিয়াল সার্টিফিকেট।

৪ ডিসেম্বর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুইম ইংল্যান্ডের প্রতিনিধি জেমস প্যারামোর টাওয়ার হ্যামলেটসের সঙ্গে নতুন এই অংশীদারিত্ব এবং সাঁতারকে জীবন রক্ষাকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা হিসেবে গড়ে তোলার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

অক্টোবরে, স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর সঙ্গে একটি প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয় এই এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সুইম স্কুলের জন্য নতুন নাম ও মাসকট বাছাই করা হয়।

মে ফ্লাওয়ার প্রাইমারি স্কুলের ইনায়াহ রহমান ডিজাইন করেছে “বাবলস দ্য বি ওয়েল ডাক,” যা বি ওয়েল সুইম স্কুলের অফিসিয়াল মাসকট হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। অপরদিকে, ওসমানী প্রাইমারি স্কুলের মুসা হোসেন তৈরি করে সুইম নিরাপত্তা সঙ্গী “অক্টোসেফ,” যা শিশুদের প্রয়োজনীয় সাঁতার নিরাপত্তা বিধি মেনে চলতে উৎসাহিত করবে।

প্রতিযোগিতার বিজয়ী ও তাদের স্কুলের প্রতিনিধিরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের সৃষ্টিশীলতার জন্য পুরস্কৃত হন।