img

‘কয়েক দিনের মধ্যে’ হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি

প্রকাশিত :  ০৬:২০, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

‘কয়েক দিনের মধ্যে’ হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি

লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি প্রত্যাশা করছেন যে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে হিজবুল্লাহ এবং ইসরাইলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণা করা হতে পারে।  বৈরুতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আমোস হোচস্টেইনের সঙ্গে বৈঠকের পর নাজিব মিকাতি এ মন্তব্য করেন।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির খসড়া চুক্তিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তৈরি করছে। মিকাতি লেবাননের আল জাদেদ টিভি স্টেশনকে বলেছেন, ‘মার্কিন দূত আমাকে পরামর্শ দিয়েছেন যে; আমরা মাসের শেষের দিকে এবং ৫ নভেম্বরের আগে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারি’।

মিকাতি বলেন, ‘আমরা যা করতে পারি তার সবকিছুই করছি এবং আমাদের আশাবাদী থাকা উচিত যে আগামী কয়েক ঘণ্টা বা দিনে আমাদের যুদ্ধবিরতি হবে’।

এদিকে ইসরাইলি সম্প্রচারমাধ্যম কান জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির ফাঁস হওয়া প্রস্তাবটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি করা। সেখানে বলা হয়েছে, ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই লেবানন থেকে নিজেদের বাহিনী সরিয়ে নেবে ইসরাইল।

ইসরাইল এবং হিজবুল্লাহ তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

আর ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তার মুখপাত্র শন স্যাভেট বলেছেন, ‘অনেক প্রতিবেদন এবং খসড়া প্রচারিত হয়েছে যা আলোচনার বর্তমান অবস্থাকে প্রতিফলিত করে না’।

ইসরাইল গত সেপ্টেম্বর থেকে দক্ষিণ লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করে এবং এ ছাড়া রাজধানী বৈরুতসহ বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

ইসরাইল দাবি করে আসছে, গত বছর গাজা যুদ্ধ শুরুর পর হিজবুল্লাহর হামলার ভয়ে পর ৬০ হাজার বাসিন্দাদের সীমান্তের বসতি থেকে সরিয়ে ফেলতে বাধ্য হয়।  ওই সব বাসিন্দাদের ঘরে ফেরাতে লেবাননে স্থল হামলা চালানো হচ্ছে।

বুধবার এক টেলিভিশন ভাষণে হিজবুল্লাহর নতুন প্রধান নাঈম কাসেম দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি ইঙ্গিত দিয়েছেন।  তবে তিনি এও জানিয়ে দেন, যদি ইসরাইল যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চায় তাহলে তারা প্রস্তুত আছেন।

হিজবুল্লাহ প্রায় প্রায় প্রতিদিন ইসরাইলের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালাচ্ছে।  গত এক বছরেরও বেশি সময় পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের জন্য ইসরাইলকে চাপ দিচ্ছে। যা লেবানন-ইসরাইল সীমান্তের পরিস্থিতিও শান্ত হবে।


img

বিধ্বস্ত হয়েছে আসাদকে বহনকারী বিমান!

প্রকাশিত :  ১৩:৩১, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪

সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের তড়িৎগতির আক্রমণের মুখে দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনের অবসান ঘটেছে। দীর্ঘ ২৪ বছর ক্ষমতায় থাকার পর রোববার ভোরেই দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট আসাদ। এদিন ভোরেই রাজধানী দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে একটি বিমানযোগে পালিয়ে যান তিনি।

ইরানের বার্তা সংস্থা মেহের নিউজ ও সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে বহন করা বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সিরিয়ার একাধিক সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, উড্ডয়নের পর বিমানটি মাঝপথে রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়।

এই খবরের পর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের ভাগ্য নিয়ে জল্পনা চলছে। দাবি করা হচ্ছে যে, তিনি যে বিমানে ছিলেন তা হয়তো বিধ্বস্ত হয়েছে বা ভূপাতিত হয়েছে।

সিরিয়ার দুটি সূত্র জানিয়েছে, আসাদের বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি। কারণ বিমানের আকস্মিক ইউটার্ন এবং রাডার থেকে অদৃশ্য হওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে। তবে, বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে বোঝা যায়নি ওই বিমানে কে ছিলেন।

এর আগে, রোববার ভোরে সিরিয়ার আসাদ সরকারের পতন ঘটে। বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়’আত তাহরির আল-শাম বা এইচটিএস দামেস্ক দখল করে নিলে এ ঘটনা ঘটে।