img

শেরপুর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের বার্ষিক সাধারণ সভা সম্পন্ন

প্রকাশিত :  ২০:১২, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

শেরপুর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের বার্ষিক সাধারণ সভা সম্পন্ন

শেরপুর ওয়েলফেয়ার  ট্রাস্টের বার্ষিক সাধারণ সভা রবিবার (২৭ অক্টোবর) সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ রানু মিয়া\'র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ এর পরিচলনায়পূর্ব লন্ডনের একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন পেশ করেন সাধারণ সম্পাদক শামিম আহমদ ও ট্রাস্টের আয়-ব্যয়ের হিসাব পেশ করেন কোষাধ্যক্ষ আশফাক হোসেন রুপক।অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন ট্রাস্টের অন্যতম ট্রাস্টি  মনসুর আহমেদ শাওন।

অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন জয়েন্ট সেক্রেটারি জাহাঙ্গীর আলম, জয়েন্ট ট্রেজারার শাহ তফজ্জুল হক, নির্বাহী সদস্য আব্দুল অদুদ দিপক, প্রফেসর মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম, শাহ আলি আহমেদ,  শাহ জুলফিকার আলি, সালেহ আহমদ, মোহাম্মদ আব্দুল হাফিজ সেলিম, মোহাম্মদ গনি, সৈয়দ কামরান, আব্দুল হাফিজ সেলিম, আব্দুল গনি, আলিমুল হোসেন।  

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টের অন্যতম  প্রতিষ্ঠাতা আবুল কালাম আজাদ ছোটন, ট্রাস্টের সাবেক সহ সভাপতি মোঃ আব্দুল হাই, শামীম আহমেদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মঈন উদ্দিন, তুফায়েল আহমেদ,  রবিন পাল, আব্দুল করিম, মইন উদ্দিন, মুহিবুর রহমান মুহিব, মোজাহিদ আলী, নাছির আহমেদ শাহিন, আব্দুল বাসিত, নজরুল ইসলাম, তুহিন চৌধুরী, হিফজুর চৌধুরী, মুফাজ্জল হায়দার, মোহাম্মদ জাহেদ, আইন উল্লাহ, সুমন আহমেদ, ফটিক মিয়া, ইতি রহমান প্রমুখ। 

সভায় বক্তারা বিগত সময় ট্রাস্টের পক্ষ থেকে দুর্গত মানুষের মধ্যে ত্রাণ কার্যক্রম, রমজান মাসে ঈদ উপহার বিতরণ ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজনসহ বিভিন্ন ধরনের মানবিক কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য বর্তমান কমিটির সক্রিয় ভূমিকার জন্য অশেষ ধন্যবাদ জানান। সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন ও আয়-ব্যয়ের হিসাবের অনুমোদন করা হয়।

অনুস্টানে লন্ডন ছাড়াও বৃটেন বিবিন্ন শহর থেকে বিপুল সংখ্যক ট্রাষ্টি উপস্থিত হন।  অতীতের মতো ভবিষ্যতে এই সংগঠনের সুনাম যাতে অক্ষুণ্ন থাকে সে ব্যাপারে সবাইকে সচেতন ও আন্তরিকতার সহিত ভূমিকা রাখার জন্য  বক্তারা উপদেশ মূলক বক্তব্য রাখেন। বক্তারা শেরপুর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে বলেন, এ ট্রাস্টের কার্যক্রম মানবতার কল্যাণের জন্য, দেশের অসহায় চিকিৎসা বঞ্চিত মানুষের সুচিকিৎসার জন্য, প্রকৃত মেধাবী আগামী প্রজন্মের জন্য এবং শিক্ষায় পিছিয়ে পড়া আমাদের জন্ম মাঠির মানুষের জন্য।

বক্তারা বলেন, দল মতের ঊর্ধ্বে উঠে আমরা মানুষের জন্য কিছু করে যেতে চাই। আমরা ভালো কাজ করলে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম উৎসাহিত হবে, শেঁকড়ের সাথে তাদের বন্ধন শক্ত হবে। 

অনুষ্ঠানে সর্বসম্মতিক্রমে ট্রাস্টের অর্থায়নে কুশিয়ারা নদীর উত্তর পারে দ্বিতীয় কমিউনিটি মেডিকেল সেন্টার এর ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সাধারণ সভায় নতুন তিন জন ট্রাস্টিকে স্বাগত জানিয়ে ট্রাস্টে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, ট্রাস্টিরা হলেন রুমন আহমেদ, সাইফুর রহমান ও রায়হান খান। 

সভাপতির সমাপনী বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ রানু মিয়া, তিনি বিগত বছরের কার্যক্রমের ভ’য়সী প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে এলাকার সমাজ কল্যাণ ও শিক্ষামূলক কাজে আরো বেশি আংশ নেওয়ার জসকলের প্রতি আহ্বান জানান।

-প্রেস বিজ্ঞপ্তি

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

টাওয়ার হ্যামলেটসে চালু হলো সাঁতার শেখার স্কুল ‘বি ওয়েল—সুইম ওয়েল’

প্রকাশিত :  ১৯:০৭, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

টাওয়ার হ্যামলেটসের মাইল এন্ড পার্ক লেজার সেন্টারে কাউন্সিলের লেজার সার্ভিসেস ‘বি ওয়েল’ ৪ ডিসেম্বর তাদের নতুন সাঁতার শিখন স্কুল ‘বি ওয়েল সুইম ওয়েল’ চালু করেছে। এই সুইম স্কুলের লক্ষ্য হল বাসিন্দাদের সাঁতারের ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী ও নিরাপদ করে তোলা।

সুইম ইংল্যান্ডের লার্ন টু সুইম ফ্রেমওয়ার্ক অনুসরণ করে ‘বি ওয়েল সুইম ওয়েল’। এই ফ্রেমওয়ার্ক হচ্ছে ইংল্যান্ডের জাতীয় সাঁতার প্রশিক্ষণ কাঠামো। এতে অন্তর্ভুক্তঃ
— দক্ষ ও সদ্য প্রশিক্ষিত প্রশিক্ষক।
— ছোট ছোট ক্লাস, যাতে মনোযোগ ও নির্দেশনায় বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া সম্ভব।
— সাঁতারের প্রতিটি ধাপের জন্য নির্ধারিত ক্লাস, বিশেষ করে বিশেষ শিক্ষা চাহিদা ও প্রতিবন্ধী (সেন্ড) শিক্ষার্থীদের জন্য সুনির্দিষ্ট ক্লাসের আয়োজন
— প্রতিটি ধাপের স্পষ্ট অগ্রগতি, যা একটি কাঠামোবদ্ধ শিক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে নিশ্চিত করে।
— প্রতিটি মাইলফলক উদযাপনে অফিসিয়াল সার্টিফিকেট।

৪ ডিসেম্বর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুইম ইংল্যান্ডের প্রতিনিধি জেমস প্যারামোর টাওয়ার হ্যামলেটসের সঙ্গে নতুন এই অংশীদারিত্ব এবং সাঁতারকে জীবন রক্ষাকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা হিসেবে গড়ে তোলার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

অক্টোবরে, স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর সঙ্গে একটি প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয় এই এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সুইম স্কুলের জন্য নতুন নাম ও মাসকট বাছাই করা হয়।

মে ফ্লাওয়ার প্রাইমারি স্কুলের ইনায়াহ রহমান ডিজাইন করেছে “বাবলস দ্য বি ওয়েল ডাক,” যা বি ওয়েল সুইম স্কুলের অফিসিয়াল মাসকট হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। অপরদিকে, ওসমানী প্রাইমারি স্কুলের মুসা হোসেন তৈরি করে সুইম নিরাপত্তা সঙ্গী “অক্টোসেফ,” যা শিশুদের প্রয়োজনীয় সাঁতার নিরাপত্তা বিধি মেনে চলতে উৎসাহিত করবে।

প্রতিযোগিতার বিজয়ী ও তাদের স্কুলের প্রতিনিধিরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের সৃষ্টিশীলতার জন্য পুরস্কৃত হন।