img

সাড়ে ১৫ বছরের কালো মেঘের ছায়া এখনও কাটেনি: শফিকুর রহমান

প্রকাশিত :  ০৮:৫৮, ০১ নভেম্বর ২০২৪

সাড়ে ১৫ বছরের কালো মেঘের ছায়া এখনও কাটেনি: শফিকুর রহমান

 জামায়াত ইসলামির আমির ডা. শফিকুর রহমান সতর্ক করে বলেছেন, গত সাড়ে ১৫ বছরের কালো মেঘের ছায়া এখনও কেটে যায়নি । তিনি বলেছেন, এই সময়ে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন, ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থ দেখার সময় এখন নয়। দল-মত ভিন্নতা থাকলেও জাতীয় ইস্যুতে ঐক্যমত থাকতে হবে। কোনো বিভেদ রাখা যাবে না। নিজের চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়, এই কথা সবাইকে অন্তরে লালন করতে হবে। জাতীয় ইস্যুতে সবাইকে এক থাকতে হবে। 

শুক্রবার (১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মহানগর দক্ষিণ জামায়াত আমিরের শপথ অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের কেউ কারও ওপর জুলুম করুক সেটা চাই না। বিচারের মাধ্যমে যার যার পাওনা সে পাবে, আইন হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। বিচারের নামে জুলুম জামায়াত সমর্থন করে না। বিচারবহির্ভূত কোনো হত্যা জামায়াত কখনো সমর্থন করে না। খুনি হয়ে কেউ জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া-তা জামায়াত চায় না।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, একটি চক্র দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে স্বৈরাচারের পতন পরবর্তী সময়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে অবনতি হচ্ছে, তা কোনো বিশেষ মহলের উস্কানিতে হচ্ছে কি-না সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখতে হবে। কেউ খুন, গুম, ধর্ষণ, লুন্ঠন করলে তার ন্যায় বিচার করতে হবে। সকল ঘটনার ন্যায় বিচার নিশ্চিত হলে কেউ অপরাধ করার দুঃসাহস দেখাবে না।

তিনি আরও বলেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছরে শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ শত শত নেতাকর্মী জুলুমের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। জুলুমের সব শেষ হয়ে যায়নি, রেশ এখনও রয়ে গেছে। তবে সবসময় জামায়াত সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। প্রতিহিংসা থেকে বিরত থাকতে নেতাকর্মীদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


জাতীয় এর আরও খবর

img

সব দলকে নিয়ে সরকার গঠন করতে চাই : তারেক রহমান

প্রকাশিত :  ১৫:১১, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশকে গড়তে হলে দল-মত নির্বিশেষে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারলেই দেশ পুনর্গঠন সম্ভব। আমরা সকল দলকে নিয়ে সরকার গঠন করতে চাই। আন্দোলনরত যে দলগুলো ছিলাম, একসঙ্গে আমরা আন্দোলন করেছি। আমরা চাই সব দলকে নিয়ে এমন একটি সরকার গঠন করতে যাতে মানুষ তাদের মতামত রাখতে এবং সবাই মিলে কাজ করতে পারবে।’

রোববার (০৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রংপুরে রাষ্ট্র সংস্কারে বিএনপির ৩১ দফা সংক্রান্ত এক কর্মশালায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটরিয়ামে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ বিষয়ক এ কর্মশালার আয়োজন করে বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটি।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু। বিকেল ৫টা ৬ মিনিটে বক্তব্য শুরু করেন তারেক রহমান। এর আগে নেতাকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপির একক আন্দোলন সফল হয়নি। অনেক রাজনৈতিক দল ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ একসঙ্গে নেমে এসেছিল বলে আমরা আন্দোলনকে সফল করতে পেরেছি। লাখো কোটি মানুষের মিলিত প্রচেষ্টায় স্বৈরাচারকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। ঠিক সেভাবে বিএনপি একা দেশ গড়তে পারবে না। দেশকে পুনর্গঠন করতে হলে জাতিকে এক ও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। জুলাই-আগস্ট মাসে সবাই যেভাবে রাজপথে নেমে এসেছিলেন সেভাবে দেশ পুনর্গঠন করতে হবে। এ ঐক্যবদ্ধের বিষয়ে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করতে হবে বিএনপিকে।’

তিনি বলেন, ‘পলাতক স্বৈরাচার যে রকম ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সব জায়গায় বিভেদ তৈরি করে সমাজের ব্যালেন্স নষ্ট করেছিল। আমরা চাই দেশকে পুনর্গঠন করতে। অনেক মানুষ আছেন যারা রাজনীতিতে জড়িত নন বা জড়াতে ইচ্ছুক না। কিন্তু দেশের জন্য কাজ করতে, মতামত রাখতে এবং দেশ পুনর্গঠনে তারা ভূমিকা রাখতে চান। তাদের আমরা উচ্চকক্ষে স্থান দিতে পারি- যাতে তাদের মতামত জানতে পারি, যেন তারা ভূমিকা রাখতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সব ধর্মের মানুষদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে। এ সময় বিএনপির প্রতি মানুষের আস্থা ধরে রাখতে হবে বলেও নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেন তিনি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যা কোনোভাবেই ২০ কোটির কম নয় বলে আমার ধারণা। ক্ষমতায় গেলে স্কুল পর্যায় থেকে কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে জনশক্তি তৈরি করব। যাতে দেশে কোনো বেকারত্ব না থাকে। বিএনপি সরকার গঠন করতে পারলে দেশের বিভিন্ন জায়গায় উন্নয়ন অবকাঠামো তৈরি করা হলে গণঅভ্যুত্থানসহ গত ১৫ বছরে শহীদদের স্মরণে সেসব স্থাপনার নামকরণ করা হবে। দেশের আইন অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরির ব্যবস্থা করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক ১০ জেলার নেতাদেরে রাষ্ট্রসংস্কারে দলের ৩১ দফা নিয়ে প্রশিক্ষণ দেন বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল। এতে সহকারী প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন বিএনপির মানবাধিকার কমিটির সদস্য ফারজানা শারমিন পুতুল।

জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. আবদুস সাত্তার পাটোয়ারীর সঞ্চালনায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সহপ্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু, সহসাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) আব্দুল খালেক,অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।


জাতীয় এর আরও খবর