img

মশার কামড় থেকে বাঁচার উপায় ও করণীয়

প্রকাশিত :  ০৯:২৫, ০১ নভেম্বর ২০২৪

মশার কামড় থেকে বাঁচার উপায় ও করণীয়

মশার বংশ বিস্তার রোধ করার পাশাপাশি আক্রমণের পরিমাণ কমানো এবং প্রাকৃতিক উপাদান আর কিছু সাবধানতা অবলম্বন করে মশার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। মশার কামড় থেকে কীভাবে রক্ষা যায় এবং এর করণীয় কী কী তা জেনে নিই। 

পানি জমতে দেবেন না

পানি হল মশার আঁতুড় ঘর। বাড়ির আশেপাশে পানি জমে থাকলেই মশার উপদ্রবে নাজেহাল হতে হবে। তাই ঘরের কোথাও পানি জমতে দেওয়া চলবে না। সেই সঙ্গে ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বাথরুমে অহেতুক পানি জমিয়ে রাখবেন না। ছাদে বৃষ্টির পানি জমতে দেবেন না। বাড়ির ডাস্টবিনে পানি জমছে কি না খেয়াল রাখুন। খালি গাছের টব রাখা থাকলে সেগুলি উল্টে রাখুন।

কর্পূর

সন্ধ্যা হলেই মশার উপদ্রব বাড়ে। তাই সূর্য ডোবার আগেই ঘরের কোণে এক টুকরো কর্পূর জ্বালিয়ে দিন। জানালা, দরজা বন্ধ করে দেবেন। কিছুক্ষণ পর জানালা খুলে দিন। এতে মশা ঘরে ঢুকবে না।

ধুনোর সঙ্গে নিমপাতা গুঁড়া

ঘরে শাল গাছের আঁঠা বা ধুনো দিলে মশা কম হয়। ধুনোর সঙ্গে নিমপাতা গুঁড়া মিশিয়ে নিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। এতে ভালো কাজ দেবে।

পিপারমিন্ট অয়েল

মশা তাড়াতে ঘরে পিপারমিন্ট অয়েলযুক্ত সুগন্ধি মোম জ্বালান। তাছাড়া পিপারমিন্ট তেল গায়েও মাখতে পারেন। এতে মশা আপনার ধারেকাছেও ঘেঁষবে না। তবে সরাসরি এই তেল গায়ে মাখলে র‌্যাশ বেরোতে পারে। তাই নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে মাখুন।

লেমন ইউক্যালিপটাস

অনেক মশা তাড়ানোর স্প্রে-তেই লেমন ইউক্যালিপটাস তেল মেশানো থাকে। আমেরিকার সিডিসি এটি মশার তাড়ানোর উপায় হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই মশার কামড় থেকে বাঁচতে আপনিও ব্যবহার করতে পারেন এই তেল।

ক্যাটনিপ অয়েল

যারা বিড়াল পোষেন, তারা এই তেলের কথা শুনে থাকবেন। বিড়ালদের ভালো রাখতে অনেকেই এই তেল ব্যবহার করেন। তবে কেবল বিড়ালদের কাজেই লাগে না, পাশাপাশি মশা তাড়াতেও বেশ কার্যকর ক্যাটনিপ অয়েল।


img

ভুলে যাওয়ার সমস্যা বাড়ে যেসব অভ্যাসে

প্রকাশিত :  ০৫:৩৭, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

বাসার চাবি কোথায় রেখেছেন তা মনে না পড়া কিংবা বাজার থেকে কী কী কিনতে হবে তা হুট করে ভুলে যাওয়ার সমস্যায় ইদানীং অনেকেই ভুগছেন। এমনটা যে বয়স্কদের হচ্ছে তা নয়। অনেক কম বয়সীদের মধ্যেও এ ধরনের ভুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা যাচ্ছে। হুট করে সবকিছু গুলিয়ে যাওয়া, প্রয়োজনীয় জিনিস আনতে ভুলে যাওয়া কিংবা পছন্দের মানুষের জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকীর তারিখ ইত্যাদি ভুলে যাওয়া খুব সাধারণ ঘটনা নয়। চলার পথে হুট করে কিছু মনে না রাখত্রে পারলে খানিকটা পিছিয়ে পড়তে হয়। কখনো কখনো অন্যদের সামনে বেশ অস্বস্তিতেও পড়তে হয়।

কিন্তু কেন এমন হচ্ছে? গবেষকরা বলছেন, প্রতিদিনের কিছু অভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে ব্যাহত করছে। দিনের পর দিন একই অভ্যাসের কারণে মস্তিষ্কের ক্ষতি হচ্ছে। 

উচ্চস্বরে গান শোনা: গান শোনা খুব ভালো একটি অভ্যাস। গান শুনলে মস্তিষ্ক শীতল হয়। দুশ্চিন্তা দূর হয়। কিন্তু কানে হেডফোন গুঁজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা উচ্চস্বরে গান শুনলে মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি হয়। টানা ৩০ মিনিট অতি উচ্চমাত্রার শব্দ শুনতে থাকলে শ্রবণশক্তি সম্পূর্ণ রূপে লোপ পেতে পারে। শ্রবণশক্তি লোপ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তিও লোপ পেতে পারে। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের টিস্যু নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম: অতিরিক্ত ‘স্ক্রিন টাইম’ও মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। অফিসে সারা ক্ষণ কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের সামনে মুখ গুঁজে বসে থাকা, সারাক্ষণ ফোন স্ক্রল করা, স্ক্রিনে গেমস খেলা, ওয়েব সিরিজ দেখা ইত্যাদি কাজগুলো করলে দিনের অধিকাংশ সময় স্ক্রিনে চোখ থাকে। এতে চোখের যেমন  ক্ষতি হয়, মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও কমে যায়। এতে মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে অচল হয়ে পড়ে।

অন্ধকারে থাকা: কেউ কেউ অন্ধকারে থাকতে ভালোবাসেন। দীর্ঘ সময় অন্ধকারে থাকার অভ্যাস মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। এই অভ্যাস মনে বিষণ্ণতা তৈরি করে। আর বিষণ্ণতা মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে ধীর করে দেয়। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা সঠিক রাখতে প্রাকৃতিক আলোতে থাকতে হবে। সূর্যের আলোতে সময় কাটাতে হবে। এতে মেজাজ ভাল থাকে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও বাড়ে।

একা থাকার অভ্যাস: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢুঁ মারলে অনেক বন্ধু পাওয়া যায়। কিন্তু ভার্চুয়াল বন্ধুরা কাছের হয় না। এখন বেশিরভাগ মানুষ ভেতর থেকে একা হয়ে যাচ্ছেন। অনেকেই ভীড়-আড্ডা-অনুষ্ঠানে যেতে চান না। পারিবারিক অনুষ্ঠান হোক কিংবা অফিসের পার্টি— সব কিছুই এড়িয়ে চলতে চান। অর্থাৎ নিজের মতো একা থাকতে চান। একা থাকার অভ্যাসও কিন্তু মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, যাঁরা কাছের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন, তাঁরা অন্যদের তুলনায় হাসিখুশি ও কর্মদক্ষ হন। তাঁদের স্মৃতিশক্তিও অন্যদের তুলনায় বেশি হয়।

অধিক পরিমাণে চিনি খাওয়া: অতিরিক্ত চিনি ও চিনি জাতীয় খাবার খাওয়াও মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। আবার বার্গার, ভাজাপোড়া খাবার, আলুর চিপ্স বা কোমল পানীয়ের মতো খাবার স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার জন্য দায়ী। তাই এসব খাবারের বদলে খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজি, ফল ও বাদামজাতীয় খাবার রাখতে হবে।