img

১ লাখ শিক্ষক নিয়োগের ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি আসছে

প্রকাশিত :  ০৬:৪৬, ০২ নভেম্বর ২০২৪

১ লাখ শিক্ষক নিয়োগের ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি আসছে

সারাদেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদ্যমান শূন্য পদগুলোতে লক্ষাধিক শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

আগামী ৩ মাসের মধ্যে শিক্ষক নিয়োগের ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্য পদের চাহিদা চেয়ে তথ্য চেয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।

তথ্য পাওয়ার পর আগামী মাসেই এ শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানা গেছে। 

এনটিআরসিএ সূত্র বলছে, ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ হতে পারে। কারণ, পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির প্রায় ৯৭ হাজার পদের মধ্যে মাত্র সাড়ে ১৯ হাজার পদ পূরণ হয়েছে।

আরও ৭৭ হাজার ৫০০ পদ ফাঁকা পড়ে রয়েছে। এ ছাড়া চলতি বছর অবসরের কারণে শূন্য হয়েছে আরও ২০ থেকে ২৫ হাজার পদ। আগামী তিন মাসের মধ্যে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে পারে।

ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির জন্য সব কাজ ইতোমধ্যে প্রায় গুছিয়ে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনটিআরসিএর একজন কর্মকর্তা। এবারের গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদের সংখ্যা লাখেরও বেশি হবে বলে তার ধারণা।

গত ৩০ অক্টোবর অনলাইনে শিক্ষকদের শূন্য পদের চাহিদা আহ্বান করে এনটিআরসিএ, যা ই-রিকুইজিশন নামে পরিচিত। এ কার্যক্রমে তথ্য দেওয়া যাবে আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত।

অনলাইনে চাহিদা ফি জমা দেওয়া যাবে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এবারই প্রথমবারের মতো আগামী তিন বছরের (৩১ ডিসেম্বর ২০২৭ পর্যন্ত) সম্ভাব্য শূন্য পদের চাহিদা পাঠাতে বলা হয়েছে। এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য হালনাগাদ কার্যক্রম (ই-রেজিস্ট্রেশন) শেষ করে এনটিআরসিএ।

এর আগে, গত ৩১ মার্চ পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল এনটিআরসিএ। বিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদের সংখ্যা ছিল ৯৬ হাজার ৭৩৬টি।

এর মধ্যে স্কুল-কলেজের শূন্য পদ ছিল ৪৩ হাজার ২৮৬টি এবং মাদরাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫৩ হাজার ৪৫০টি। পরে গত ২১ আগস্ট প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ১৯ হাজার ৫৮৬ জন প্রার্থীকে নিয়োগে সম্মতি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, ইতোমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ই-রেজিস্ট্রেশন শেষে শিক্ষকদের শূন্য পদের চাহিদা আহ্বান করেছে এনটিআরসিএ।

শূন্য পদের চাহিদা পাওয়ার পর তা যাচাই-বাছাই শেষে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন চাওয়া হবে। অনুমোদন পেলে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে এনটিআরসিএর সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক বলেন, ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অংশ হিসেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ই-রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শেষে শূন্য পদের চাহিদা আহ্বান করা হয়েছে।

শূন্য পদের চাহিদা পেলে তা যাচাই-বাছাই শেষে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা সম্ভব হবে।

২০০৫ সাল থেকে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিচ্ছে এনটিআরসিএ। তবে, প্রথম ১০ বছর শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা ছিল সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির হাতে।

২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর সরকার এনটিআরসিএকে সনদ দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের ক্ষমতাও দেয়। এরপর থেকে পাঁচটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৯৮ জন শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ।


img

২০২৫ সালে ‘শনিবারও স্কুল খোলা’ প্রসঙ্গে যা জানা গেল

প্রকাশিত :  ০৫:১২, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪

২০২৫ সাল থেকে শনিবারও স্কুল খোলা থাকবে’ এমন একটি তথ্য সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘ ভাইরাল হয়েছে। তবে তথ্যটি সঠিক নয়। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সিরাজ-উদ-দৌলা খান বলেন, শনিবার স্কুল খোলা থাকবে, এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হলে তা সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্টদের গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

মাউশির মাধ্যমিক বিভাগের সহকারী পরিচালক দুর্গা রানী সিকদার বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবার। এখনো সেটি বহাল আছে। আগামী বছর থেকে শনিবার স্কুল খোলা থাকবে, এমন কোনো সিদ্ধান্তের কথা আমার জানা নেই। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

এদিকে গুজবটির তথ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষকরা। তারা বলছেন, সাপ্তাহিক ছুটি দুইদিন থাকা জরুরি। সরকারি অফিসে সাপ্তাহিক ছুটি দুইদিন হলে স্কুলেও সেটা থাকতে হবে।

শিক্ষা এর আরও খবর