img

বলিভিয়ায় সামরিক ঘাঁটিতে ভয়াবহ হামলা, ২০০ সেনাকে অপহরণ

প্রকাশিত :  ০৫:১৬, ০৩ নভেম্বর ২০২৪

বলিভিয়ায় সামরিক ঘাঁটিতে ভয়াবহ হামলা, ২০০ সেনাকে অপহরণ

লাতিন আমেরিকার দেশ বলিভিয়ায় একটি সামরিক ঘাঁটিতে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে। ফলে সেখানকার একটি ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠী। এ ছাড়া এ সংঘর্ষে অন্তত ২০০ সেনাকে অপহরণ করা হয়েছে।

আজ রোববার (০৩ নভেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শুক্রবার (০১ নভেম্বর) বলিভিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী সেনাদের অপহরণ করেছে এবং মধ্য বলিভিয়ার শহর কোচাবাম্বার কাছের একটি ঘাঁটি থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছে।

বলিভিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ সময় ২০০ জনেরও বেশি সেনাকে অপহরণ করা হয়েছে।

বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট লুইস আর্স অভিযোগ করেন, সমশস্ত্র এ গোষ্ঠীটির সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এমন অভিযোগ করলেও এ বিষয়ে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেননি তিনি। তবে এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে মোরালেসের দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে সিএনএন।

সিএনএন জানিয়েছে, সশস্ত্র বাহিনী এ গোষ্ঠীটিকে অবিলম্বে এবং শান্তিপূর্ণভাবে ঘাঁটি ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড দেশের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে বিবেচিত হবে। ২০২৫ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে মোরালেস এবং আর্সের সমর্থকদের মধ্যে চলমান অস্থিরতার মধ্যে সবশেষ ঘটনা এটি।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে মোরালেসের সমর্থকরা সরকারের বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগ করে কোচাবাম্বাসহ সারা দেশে প্রধান মহাসড়ক অবরোধ করেছে। বলিভিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, অবরোধের সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী জড়িত রয়েছে। এর ফলে কিছু শহরে খাদ্য এবং জ্বালানির সংকট দেখা দিয়েছে।


img

বিধ্বস্ত হয়েছে আসাদকে বহনকারী বিমান!

প্রকাশিত :  ১৩:৩১, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪

সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের তড়িৎগতির আক্রমণের মুখে দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনের অবসান ঘটেছে। দীর্ঘ ২৪ বছর ক্ষমতায় থাকার পর রোববার ভোরেই দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট আসাদ। এদিন ভোরেই রাজধানী দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে একটি বিমানযোগে পালিয়ে যান তিনি।

ইরানের বার্তা সংস্থা মেহের নিউজ ও সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে বহন করা বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সিরিয়ার একাধিক সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, উড্ডয়নের পর বিমানটি মাঝপথে রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়।

এই খবরের পর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের ভাগ্য নিয়ে জল্পনা চলছে। দাবি করা হচ্ছে যে, তিনি যে বিমানে ছিলেন তা হয়তো বিধ্বস্ত হয়েছে বা ভূপাতিত হয়েছে।

সিরিয়ার দুটি সূত্র জানিয়েছে, আসাদের বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি। কারণ বিমানের আকস্মিক ইউটার্ন এবং রাডার থেকে অদৃশ্য হওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে। তবে, বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে বোঝা যায়নি ওই বিমানে কে ছিলেন।

এর আগে, রোববার ভোরে সিরিয়ার আসাদ সরকারের পতন ঘটে। বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়’আত তাহরির আল-শাম বা এইচটিএস দামেস্ক দখল করে নিলে এ ঘটনা ঘটে।