img

২৪ বছর পর ঘরের মাঠে টেস্টে ধবলধোলাই ভারত

প্রকাশিত :  ০৮:৩১, ০৩ নভেম্বর ২০২৪

২৪ বছর পর ঘরের মাঠে টেস্টে ধবলধোলাই ভারত

হোয়াইটওয়াশের স্মৃতি তো ভুলতেই বসেছিল ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তরা। তবে পুরোপুরি বিস্মৃত হবার আগেই আরেকবার ফিরিয়ে আনলো নিউ জিল্যান্ড। মুম্বাই টেস্টে ভারতকে ২৫ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতলো নিউ জিল্যান্ড। ২৪ বছর পর ঘরের মাঠে ধবলধোলাইয়ের স্বাদ পেল রোহিত শর্মার দল।

এর আগে ২০০০ সালে একমাত্র দল হিসেবে ভারতকে তাদেরই মাটিতে ধবলধোলাই করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে সেটি ছিল দুই ম্যাচের সিরিজ। তিন বা তার চেয়ে বেশি ম্যাচের সিরিজে এবারই প্রথম হোয়াইটওয়াশ হলো ভারত। যা দলটির ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো ঘটনা।

আগেই সিরিজ খুইয়ে বসা ভারতকে শেষ ম্যাচে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে করতে হতো ১৪৭ রান। যেই লক্ষ্যে সুবিধা করতে পারেনি ভারত। ওয়াংখেড়ে লক্ষ্যটা আপাত দৃষ্টিতে সহজ মনে হলেও উইকেট ততক্ষণে স্পিন স্বর্গে পরিণত হয়েছে। 

সেই উইকেটে ভারতকে চেপে ধরেন কিউই বোলাররা। ২৯ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে ভারত। এরপর ঋশভ পান্ত এসে পাল্টা আক্রমণ চালান কিউই বোলারদের ওপর। তার ব্যাটেই জয়ের স্বপ্ন দেখছিল দলটি। তবে মধ্যাহ্নভোজের পর পাল্টে যায় খেলা। ফের ভারতীয় ব্যাটারদের চেপে ধরেন কিউই বোলাররা। 

পান্ত ৬৪ রানে থামার পর ওয়াশিংটন সুন্দর রবিচন্দ্রন অশ্বিন টিকতে পারেননি। আকাশ দীপ শূন্য রানে ফিরলে ১২১ রানে থামে ভারতের ইনিংস। নিউজিল্যান্ড ম্যাচ জেতে ২৫ রানে। যেখানে কিউইদের হয়ে একাই ৬ উইকেট শিকার করেছেন আজাজ প্যাটেল। গ্লেন ফিলিপসের শিকার ৩ উইকেট।


খুলনাকে হারিয়ে প্রথম জয়ের স্বাদ নিল সিলেট

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ

img

পাকিস্তানকে উড়িয়ে ভারতকে ফাইনালে পেল বাংলাদেশ

প্রকাশিত :  ১২:০৯, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:৪৮, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪

টানা দ্বিতীয়বার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ জয়ের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশের যুবারা। সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে ৭ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে পৌঁছে গেছেন তারা।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ।  তবে ইকবাল-মারুফদের গতির ঝলকে দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তান। ৩৭ ওভারে সব উইকেট খুইয়ে ১১৬ রানেই সাঙ্গ হয় ‘মেন ইন গ্রিন’র ইনিংস।

ফলে ফাইনালে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১১৭ রান। সে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৮ রানে দুই উইকেট হারালেও শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিমের দায়িত্বশীল ফিফটিতে ফাইনালে টিকিট পায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

টস হেরে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানকে শুরুতেই নাড়িয়ে দিয়েছিলেন পেসার মারুফ মৃধা। দলীয় ২ রানে আউট করেন ওপেনার উসমান খানকে (০) ফেরান তিনি। এরপর নিজের দ্বিতীয় ওভারে আরেক ওপেনার শাহজাইব খানকেও শূন্য রানে ফেরান এ পেসার।

অধিনায়ক সাদ বেগ আর মোহাম্মদ রিয়াজুল্লাহ প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। সেট এই দুই ব্যাটারকেই আউট করেন আরেক পেসার ইকবাল হোসেন ইমন।

৭৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে পাকিস্তান। এরপর ফারহান ইউসুফ (৩২) ছাড়া আর কোনো ব্যাটারকে দাঁড়াতে দেয়নি বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান সব উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান করেন। টাইগার পেসার ইকবাল হোসেন ইমন ২৪ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। ২৩ রানে ২ উইকেট শিকার করেন আরেক পেসার মারুফ মৃধা।

১১৭ রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাট করতে নেমে জাওয়াদ আবরার ও কামাল সিদ্দিকী ওপেনিং জুটি সুবিধা করতে পারেনি। দলীয় ২০ রানের মাথায় কামাল সিদ্দিকী শূন্য রানে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। এরপর চাপে পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় ২৮ রানেই দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে। জাওয়াদ আবরার ২৫ বলে ১৭ রান করে ফিরে যান।

তবে শিহাব জেমসকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস এগিয়ে নেন অধিনায়ক তামিম। শিহাব ২৮ রানে নাভিদ খানের বলে ক্যাচ হয়ে ফিরলেও দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

অন্য সেমিফাইনালে শ্রীলংকাকে ৭ উইকেট হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেয়েছে ভারত। আগামিও ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় ফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারত ও বাংলাদেশ।