img

স্ট্রেইটনার ছাড়াই বাঁকা চুল সোজা করবেন যেভাবে

প্রকাশিত :  ০৯:১৩, ০৪ নভেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:১৮, ০৪ নভেম্বর ২০২৪

স্ট্রেইটনার ছাড়াই বাঁকা চুল সোজা করবেন যেভাবে

অনেকেই ভালোবাসেন সোজা ও মসৃণ চুল। পার্লারে গিয়ে স্ট্রেইট করলে, তাপ প্রয়োগ করলে চুলের বেশ ক্ষতি হয়। একটা সময় মাঝ থেকে চুল ভেঙে যায়। যারা কোনো ধরনের তাপ প্রয়োগ ছাড়াই সোজা ও মসৃণ চুল পেতে চান, তারা ঘরোয়া কিছু উপায় মানতে পারেন। ঘরে বসেই বানিয়ে নিতে পারেন কিছু হেয়ার প্যাক, যা চুল সোজা রাখবে। একইসঙ্গে চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখবে। 

ডিম ও অলিভ অয়েলের হেয়ার প্যাক: ডিম ও অলিভ অয়েল দুই-ই চুলের পুষ্টি জোগায়। দুটি ডিমের কুসুমের সঙ্গে অলিভ অয়েল ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এ  মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে নিন। চুল মসৃণ ও কোমল করতে এ মিশ্রণটি সপ্তাহে ৩-৪ দিন ব্যবহার করুন।

কলা ও টক দইয়ের প্যাক: টক দই খুশকি দূর করতে সাহায্য করে আর পাকা কলা চুল নরম করে। পাকা কলা ও দুই চামচ টক দই একসঙ্গে ব্লেন্ড করে মিশ্রণ বানিয়ে নিন। এমিশ্রণটি চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ঘণ্টা খানেক রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে ২-৩ দিন এটি ব্যবহার করলে চুল মসৃণ ও সোজা হবে।

দুধ ও মধুর প্যাক: মধু ও দুধ দুই-ই চুলকে মসৃণ রাখতে সহায়তা করে। চুল কুঁকড়ে যাওয়া প্রতিরোধ করতেও সহায়তা করে। ১/৪ কাপ দুধের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এটি চুলে লাগিয়ে এক থেকে দুই ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। 

মধু ও অ্যালোভেরার মাস্ক: চুলের যত্ন নিতে মধু ও অ্যালোভেরার জুড়ি মেলা ভার। অ্যালোভেরার জেলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ঘণ্টা দুয়েক রেখে দিন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। চুল কোমল ও মসৃণ করতে এক দিন পরপর এ মিশ্রণটি ব্যবহার করুন।


img

ভুলে যাওয়ার সমস্যা বাড়ে যেসব অভ্যাসে

প্রকাশিত :  ০৫:৩৭, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

বাসার চাবি কোথায় রেখেছেন তা মনে না পড়া কিংবা বাজার থেকে কী কী কিনতে হবে তা হুট করে ভুলে যাওয়ার সমস্যায় ইদানীং অনেকেই ভুগছেন। এমনটা যে বয়স্কদের হচ্ছে তা নয়। অনেক কম বয়সীদের মধ্যেও এ ধরনের ভুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা যাচ্ছে। হুট করে সবকিছু গুলিয়ে যাওয়া, প্রয়োজনীয় জিনিস আনতে ভুলে যাওয়া কিংবা পছন্দের মানুষের জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকীর তারিখ ইত্যাদি ভুলে যাওয়া খুব সাধারণ ঘটনা নয়। চলার পথে হুট করে কিছু মনে না রাখত্রে পারলে খানিকটা পিছিয়ে পড়তে হয়। কখনো কখনো অন্যদের সামনে বেশ অস্বস্তিতেও পড়তে হয়।

কিন্তু কেন এমন হচ্ছে? গবেষকরা বলছেন, প্রতিদিনের কিছু অভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে ব্যাহত করছে। দিনের পর দিন একই অভ্যাসের কারণে মস্তিষ্কের ক্ষতি হচ্ছে। 

উচ্চস্বরে গান শোনা: গান শোনা খুব ভালো একটি অভ্যাস। গান শুনলে মস্তিষ্ক শীতল হয়। দুশ্চিন্তা দূর হয়। কিন্তু কানে হেডফোন গুঁজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা উচ্চস্বরে গান শুনলে মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি হয়। টানা ৩০ মিনিট অতি উচ্চমাত্রার শব্দ শুনতে থাকলে শ্রবণশক্তি সম্পূর্ণ রূপে লোপ পেতে পারে। শ্রবণশক্তি লোপ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তিও লোপ পেতে পারে। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের টিস্যু নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম: অতিরিক্ত ‘স্ক্রিন টাইম’ও মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। অফিসে সারা ক্ষণ কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের সামনে মুখ গুঁজে বসে থাকা, সারাক্ষণ ফোন স্ক্রল করা, স্ক্রিনে গেমস খেলা, ওয়েব সিরিজ দেখা ইত্যাদি কাজগুলো করলে দিনের অধিকাংশ সময় স্ক্রিনে চোখ থাকে। এতে চোখের যেমন  ক্ষতি হয়, মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও কমে যায়। এতে মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে অচল হয়ে পড়ে।

অন্ধকারে থাকা: কেউ কেউ অন্ধকারে থাকতে ভালোবাসেন। দীর্ঘ সময় অন্ধকারে থাকার অভ্যাস মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। এই অভ্যাস মনে বিষণ্ণতা তৈরি করে। আর বিষণ্ণতা মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে ধীর করে দেয়। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা সঠিক রাখতে প্রাকৃতিক আলোতে থাকতে হবে। সূর্যের আলোতে সময় কাটাতে হবে। এতে মেজাজ ভাল থাকে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও বাড়ে।

একা থাকার অভ্যাস: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢুঁ মারলে অনেক বন্ধু পাওয়া যায়। কিন্তু ভার্চুয়াল বন্ধুরা কাছের হয় না। এখন বেশিরভাগ মানুষ ভেতর থেকে একা হয়ে যাচ্ছেন। অনেকেই ভীড়-আড্ডা-অনুষ্ঠানে যেতে চান না। পারিবারিক অনুষ্ঠান হোক কিংবা অফিসের পার্টি— সব কিছুই এড়িয়ে চলতে চান। অর্থাৎ নিজের মতো একা থাকতে চান। একা থাকার অভ্যাসও কিন্তু মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, যাঁরা কাছের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন, তাঁরা অন্যদের তুলনায় হাসিখুশি ও কর্মদক্ষ হন। তাঁদের স্মৃতিশক্তিও অন্যদের তুলনায় বেশি হয়।

অধিক পরিমাণে চিনি খাওয়া: অতিরিক্ত চিনি ও চিনি জাতীয় খাবার খাওয়াও মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। আবার বার্গার, ভাজাপোড়া খাবার, আলুর চিপ্স বা কোমল পানীয়ের মতো খাবার স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার জন্য দায়ী। তাই এসব খাবারের বদলে খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজি, ফল ও বাদামজাতীয় খাবার রাখতে হবে।