img

প্রায় প্রতিদিনই বর্ণবাদী নির্যাতনের শিকার হই: লেবার এমপি সাতভির কৌর

প্রকাশিত :  ১১:০৮, ০৪ নভেম্বর ২০২৪

প্রায় প্রতিদিনই বর্ণবাদী নির্যাতনের শিকার হই: লেবার এমপি সাতভির কৌর

মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, লন্ডন: একজন লেবার এমপি বলেছেন যে, তিনি প্রায় প্রতিদিনই বর্ণবাদসহ চরম বিদ্বেষমূলক নির্যাতনের সম্মুখীন হন।

সাতভির কৌর ২০১১ সাল থেকে পাবলিক অফিসে রয়েছেন এবং বলেছেন যে, জুলাই মাসে সাউদাম্পটন টেস্টে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এই বর্ণবাদী নির্যাতন বেড়েছে।

তিনি ২০২২ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সাউদাম্পটন সিটি কাউন্সিলের প্রধান হওয়ার সময় ব্রিটেনের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের প্রথম মহিলা শিখ নেতা ছিলেন। সাতভির কৌর এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পাবলিক অফিসে রয়েছেন। তিনি বলেন, সাউদাম্পটন টেস্টের এমপি হওয়ার পর থেকে তার প্রতি বর্ণবাদি নির্যাতনের মাত্রা বেড়েছে।

বিবিসি রেডিও সোলেন্টে মিসেস কৌরের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল যে, রাজনীতিতে মহিলারা প্রচুর নির্যাতনের শিকার হন, এ ব্যাপারে আপনার অভিঞ্জতা কি?

তখন তিনি জানান, এটির মাত্রা চরম আকার ধারন করেছে। তিনি বলেন, নির্যাতনের মাত্রা তাঁর ধারনার চেয়ে অনেক বেশি।

তিনি আরও জানান, ‘‘আমি যখন কাউন্সিলর এবং কাউন্সিলের নেতা ছিলাম তখন আমি এটি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে পেয়েছিলাম। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, যেহেতু আমি একজন এমপি হয়েছি, তাই অনলাইনের সমস্ত অপব্যবহারকারীদের আমি আকৃষ্ট করেছি। বর্ণবাদী এবং সেখানকার বিদ্বেষীরা আমার বিরুদ্ধে বর্ণবাদী লেখা লিখছেন।

তিনি যোগ করেছেন, প্রায় প্রতিদিনই তিনি বর্ণবাদী নির্যাতনের শিকার হন।

সাতভির কৌর বলেন \"আসলে আমি যা করছি তা করার জন্য এটি আমাকে আরও উৎসাহিত করে, কারণ আমি চাই বঞ্চিত এলাকার অন্যান্য লোকেরা এবং অশ্বেতাঙ্গ মেয়েরা অনুভব করুক যে, আমি যদি এটি করতে পারি তবে তাঁরাও এটি করতে পারে।

এই সাংসদ বলেছেন যে, তিনি এ ধরনের বিরোধিতা উপেক্ষা করার চেষ্টা করেন এবং তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় অবমাননাকর মন্তব্যগুলি ব্লক করে।

তিনি বিবিসি রেডিও সোলেন্ট উপস্থাপক লুইসা হান্নানকে বলেছেন, \"আমি ঘৃণা ছড়াতে চাই না। ঘৃণামূলক অপরাধকে একটি বৃহৎ সামাজিক সমস্যা বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

তার প্রথম বক্তৃতায়, তিনি সংসদে বলেছিলেন, তিনি একজন ব্যবসায়ীর সন্তান এবং সাউদাম্পটনে বিনামূল্যে খাবার সরবরাহকারী স্কুলের খাবার খেয়ে তিনি বড় হয়েছেন।

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

ব্রিটেন ও ফ্রান্সের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ভারত

প্রকাশিত :  ০৫:৪৬, ০৮ মে ২০২৫

ভারত-পাকিস্তান হামলা-পাল্টা হামলায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত। মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতের পর পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ভারত। এর জবাবে ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করার দাবি করেছে পাকিস্তান। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের আশঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছে। সামরিক অভিযান সংক্রান্ত কয়েকটি রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতীয় বায়ুসেনা রাফাল যুদ্ধবিমান থেকে জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে স্ক্যাল্প, হ্যামার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ৷ ব্যবহার করা হয়েছে কামিকাজে ড্রোন ৷ এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি কীভাবে কাজ করে ?

স্ক্যাল্প ক্ষেপণাস্ত্র

স্ক্যাল্প (এসসিএএলপি) ক্ষেপণাস্ত্রটি ব্রিটেন ও ফ্রান্সের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত ৷ ব্রিটেনে এই ক্ষেপণাস্ত্র \'স্ট্রম শ্যাডো\' নামে পরিচিত ৷ \'অপারেশন সিঁদুর\'-এ ভারতীয় যুদ্ধবিমান রাফাল-এ এই স্ক্যাল্প ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করা ছিল ৷

আকাশপথে দুরপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রটি গত শতকের ন\'য়ের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে ফ্রান্সের মাত্রা এরোস্পেস কোম্পানি এবং ব্রিটিশ এরোস্পেস (এখন এমবিডিএ নামে পরিচিত) তৈরি করে চলেছে ৷

ওজন 1 হাজার 300 কেজি, দৈর্ঘ্য 5.10 মিটার ৷ এর মধ্যে মাইক্রোটার্বো টিআরআই 60-30 টার্বোজেট ইঞ্জিন রয়েছে ৷ এর রফতানিকারক সংস্করণটিকে 560 কিমি দূরত্বে ছোড়া যায় ৷ এর মধ্যে 450 কেজি ওজনের ক্ষেপণাস্ত্র থাকে ৷

কয়েকটি স্ক্যাল্প 250 কিমিরও বেশি দূরত্বে হামলা চালাতে পারে ৷ আবার অন্য কয়েকটি 500 কিমি দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম ৷ এর নেভিগেশন পদ্ধতিটি অত্যাধুনিক ৷ ইনারশিয়াল নেভিগেশন সিস্টেম (আইএনএস), জিপিএস, টেরাইন রেফারেন্স নেভিগেশন (টিইআরপিআরওএম) এবং ইমেজিং ইনফ্রারেড (আইআইআর) নেভিগেশনের দ্বারা এই ক্ষেপণাস্ত্র পরিচালিত হয় ৷

এটি 450 কেজি ওজনের ব্রোচ (বিআরওএসিএইচ) ওয়ারহেড বহন করতে পারে ৷ ইউরোফাইটার টাইফুন, দাসো রাফাল, মিরেজ 2000 যুদ্ধবিমানে স্ক্যাল্প ক্ষেপণাস্ত্র থাকে ৷ স্যাটেলাইনট নেভিগেশন সেন্সরের মাধ্যমে দিকনির্দেশ করতে পারে ৷

যে কোনও পরিকাঠামোর মধ্যে থেকে নিশানাকে আলাদা করে চিহ্নিত করতে পারার ক্ষমতা রয়েছে এই মিসাইলের ৷ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে নিশানাকে চিহ্নিত করে লক্ষ্যে অভ্রান্ত আঘাত হানতে পারে ৷

হ্যামার

স্ক্যাল্প ছাড়া আরেকটি \'হ্যামার\' ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করা হয়েছে এই \'অপারেশন সিঁদুর\'-এ ৷ এর পুরো নাম- \'হাইলি অ্যাজাইল মডিউলার মিউনিশন এক্সটেনডেড রেঞ্জ\' ৷ যে কোনও ঋতুতে যে কোনও সময় আকাশ থেকে মাটিতে (এয়ার টু গ্রাউন্ড) এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত হানা সম্ভব ৷

70 কিমি পর্যন্ত নিশানায় আছড়ে পড়তে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র ৷ ফ্রান্সের \'সাফরান ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ডিফেন্স\' এই ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করেছে ৷

স্ক্য়াল্প-এর মতো হ্যামারও একশো শতাংশ নিশ্চয়তার সঙ্গে লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম ৷ অল্প উচ্চতা থেকে উপত্যকায় আছড়ে পড়তে পারে ৷ নিশানা স্থির হোক বা চলমান- দুই ক্ষেত্রে আঘাত হানতে সমান পারদর্শী হ্যামার ৷

কামিকাজে ড্রোনস

একশো শতাংশ সঠিক লক্ষ্যভেদের জন্য এই কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করা হয় ৷ এর আরেক নাম সুইসাইড ড্রোনস বা আত্মঘাতী ড্রোন ৷ লক্ষ্যবস্তুতে আছড়ে না-পড়া পর্যন্ত এটি ঘুরতে থাকে ৷ তাই এর আরেক নাম \'লয়টারিং মিউনিশন\' ৷ নিশানাকে চিহ্নিত করে তার উপর হামলা চালাতে এই অস্ত্রের জুড়ি মেলা ভার ৷ বিস্ফোরক বয়ে নিয়ে যেতে মানববিহীন এই আকাশ যান (আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকলস, ইউএভিএস) ব্যবহার করা হয় ৷ ইরান-সহ বেশ কয়েকটি দেশ এই ইউএভিএস তৈরি করে ৷

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর