প্রায় প্রতিদিনই বর্ণবাদী নির্যাতনের শিকার হই: লেবার এমপি সাতভির কৌর
মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, লন্ডন: একজন লেবার এমপি বলেছেন যে, তিনি প্রায় প্রতিদিনই বর্ণবাদসহ চরম বিদ্বেষমূলক নির্যাতনের সম্মুখীন হন।
সাতভির কৌর ২০১১ সাল থেকে পাবলিক অফিসে রয়েছেন এবং বলেছেন যে, জুলাই মাসে সাউদাম্পটন টেস্টে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এই বর্ণবাদী নির্যাতন বেড়েছে।
তিনি ২০২২ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সাউদাম্পটন সিটি কাউন্সিলের প্রধান হওয়ার সময় ব্রিটেনের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের প্রথম মহিলা শিখ নেতা ছিলেন। সাতভির কৌর এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পাবলিক অফিসে রয়েছেন। তিনি বলেন, সাউদাম্পটন টেস্টের এমপি হওয়ার পর থেকে তার প্রতি বর্ণবাদি নির্যাতনের মাত্রা বেড়েছে।
বিবিসি রেডিও সোলেন্টে মিসেস কৌরের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল যে, রাজনীতিতে মহিলারা প্রচুর নির্যাতনের শিকার হন, এ ব্যাপারে আপনার অভিঞ্জতা কি?
তখন তিনি জানান, এটির মাত্রা চরম আকার ধারন করেছে। তিনি বলেন, নির্যাতনের মাত্রা তাঁর ধারনার চেয়ে অনেক বেশি।
তিনি আরও জানান, ‘‘আমি যখন কাউন্সিলর এবং কাউন্সিলের নেতা ছিলাম তখন আমি এটি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে পেয়েছিলাম। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, যেহেতু আমি একজন এমপি হয়েছি, তাই অনলাইনের সমস্ত অপব্যবহারকারীদের আমি আকৃষ্ট করেছি। বর্ণবাদী এবং সেখানকার বিদ্বেষীরা আমার বিরুদ্ধে বর্ণবাদী লেখা লিখছেন।
তিনি যোগ করেছেন, প্রায় প্রতিদিনই তিনি বর্ণবাদী নির্যাতনের শিকার হন।
সাতভির কৌর বলেন \"আসলে আমি যা করছি তা করার জন্য এটি আমাকে আরও উৎসাহিত করে, কারণ আমি চাই বঞ্চিত এলাকার অন্যান্য লোকেরা এবং অশ্বেতাঙ্গ মেয়েরা অনুভব করুক যে, আমি যদি এটি করতে পারি তবে তাঁরাও এটি করতে পারে।
এই সাংসদ বলেছেন যে, তিনি এ ধরনের বিরোধিতা উপেক্ষা করার চেষ্টা করেন এবং তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় অবমাননাকর মন্তব্যগুলি ব্লক করে।
তিনি বিবিসি রেডিও সোলেন্ট উপস্থাপক লুইসা হান্নানকে বলেছেন, \"আমি ঘৃণা ছড়াতে চাই না। ঘৃণামূলক অপরাধকে একটি বৃহৎ সামাজিক সমস্যা বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
তার প্রথম বক্তৃতায়, তিনি সংসদে বলেছিলেন, তিনি একজন ব্যবসায়ীর সন্তান এবং সাউদাম্পটনে বিনামূল্যে খাবার সরবরাহকারী স্কুলের খাবার খেয়ে তিনি বড় হয়েছেন।