img

জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল

প্রকাশিত :  ১৫:৩২, ০৫ নভেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৬:৩৯, ০৫ নভেম্বর ২০২৪

জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল

যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উদ্যোগে পূর্ব লন্ডনের একটি কমিউনিটি সেন্টারে জেলহত্যা দিবস স্মরণে গত ৩রা নভেম্বর রোববার এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুকের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শাহ আজিজুর রহমান, সহ সভাপতি  হরমুজ আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক মাশুক ইবনে আনিছ, দপ্তর সম্পাদক শাহ শামীম আহমেদ, জনসংযোগ সম্পাদক রবীন পাল, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খছরুজ্জামান খছরু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ছুরুক আলী, সহ দপ্তর সম্পাদক খছরুজ্জামান খছরু, ওয়েলস আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ মকিস মনসুর, যুক্তরাজ্য যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমদ খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি আফজল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল আহমদ খান সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

আলোচনা সভা শেষে ব্রিকলেইন জামে মসজিদে এশার নামাজের পর '৭৫-এর ১৫ আগস্ট এবং ৩রা নভেম্বর বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাসহ নিহত সকল শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সভায় বক্তারা বলেন, "জেল হত্যা দিবসের এই শোকাবহ বিশেষ দিনে প্রতিটি বাঙালীর কাছে অনুরোধ আমরা যেন ত্যাগের ইতিহাস ভুলে না যাই। ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য বৃহত্তর স্বার্থকে যেন জলাঞ্জলি না দেই। আমাদের মনে রাখতে হবে খুনীরা বাংলাদেশকে পাকিন্তান বানানোর লক্ষ্যে ও জাতির মেরুদণ্ডকে ভেঙে দেওয়ার মানসে ১৯৭৫ এর ১৫ ই আগষ্ট  সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও ৩ রা নভেম্বরে জেলের অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো। 


"৭৫-এর পর থেকে বছরের পর বছর বঙ্গবন্ধুর নাম-নিশানা মুছে ফেলার চেষ্টা চলে" বলে উল্লেখ করে বক্তারা আরও বলেন, "রাষ্ট্রদ্রোহী, গণ হত্যাকারী, অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী ড. মোহাম্মদ ইউনুস গংদের বর্তমান সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকেই একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার বা নেতিবাচকভাবে জাতির সামনে হাজির করছে। তারই ধারাবাহিকতায় মহান মুক্তিযুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অস্বীকার করছে। বঙ্গবন্ধুর অন্যতম সহচর জাতীয় চার নেতার মৃত্যুবার্ষিকী তথা জেল হত্যা দিবস সহ ৮ টি দিবস বাতিল করার মাধ্যমে বর্তমান সরকার এসব নেতাকেও অস্বীকার করছে।"

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ, ১৭ই মার্চ, ১৫ই আগস্ট ও ৪ঠা নভেম্বর সহ আটটি জাতীয় দিবস বাতিলের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারির তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বক্তারা বলেছেন, "আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ আজ অত্যন্ত কঠিন সময় অতিবাহিত করছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অসাংবিধানিক সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে হিংসা ও বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে নির্বিচারে মানুষ হত্যার মহোৎসব চলছে, যা গণহত্যার শামিল। নির্বিঘ্নে মানুষের বাসা-বাড়িতে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ডাকাতি, চুরি, ছিনতাই চলছে। স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূ-লুণ্ঠিত করে সমগ্র জাতিকে একটা চরম সংকটে ঠেলে দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল মানুষ এবং হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ সকলের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। সারা দেশে চরম অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা চলছে। একদিকে অপরাধী ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের মুক্তি দিচ্ছে, অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাছ-বিচারহীনভাবে গণহারে গ্রেফতার করে দিনের পর দিন আটক করে রাখা হচ্ছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর এমনই প্রতিকূল সময় এসেছিল বাংলাদেশে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হয়েছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের আদর্শের প্রতি আপসহীন মানুষেরা তারপরও মাথা নত করেনি। আমাদের জাতীয় ৪ নেতা এই পথের প্রদর্শক। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি তাঁরা ছিলেন হিমালয়ের মতো অনঢ়। মৃত্যুভয়ও তাঁদের টলাতে পারেনি। তাই তাঁরা জীবন উৎসর্গ করতেও কুণ্ঠা বোধ করেননি। আজ দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে লগ্নে জাতীয় ৪ নেতা আমাদের অফুরন্ত প্রেরণার উৎস হিসেবে ধরা দিয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি তাদের নিরাপস মনোভাব আমাদের জন্য চিরস্মরণীয় ও অনুকরণীয়। তাঁদের আত্মত্যাগ যে কোনো অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের চেতনার শিখাকে প্রজ্জ্বলিত রাখতে জ্বালানি সরবরাহ করে যাবে।"- সংবাদ বিজ্ঞপ্তি 


কমিউনিটি এর আরও খবর

img

টাওয়ার হ্যামলেটসে চালু হলো সাঁতার শেখার স্কুল ‘বি ওয়েল—সুইম ওয়েল’

প্রকাশিত :  ১৯:০৭, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

টাওয়ার হ্যামলেটসের মাইল এন্ড পার্ক লেজার সেন্টারে কাউন্সিলের লেজার সার্ভিসেস ‘বি ওয়েল’ ৪ ডিসেম্বর তাদের নতুন সাঁতার শিখন স্কুল ‘বি ওয়েল সুইম ওয়েল’ চালু করেছে। এই সুইম স্কুলের লক্ষ্য হল বাসিন্দাদের সাঁতারের ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী ও নিরাপদ করে তোলা।

সুইম ইংল্যান্ডের লার্ন টু সুইম ফ্রেমওয়ার্ক অনুসরণ করে ‘বি ওয়েল সুইম ওয়েল’। এই ফ্রেমওয়ার্ক হচ্ছে ইংল্যান্ডের জাতীয় সাঁতার প্রশিক্ষণ কাঠামো। এতে অন্তর্ভুক্তঃ
— দক্ষ ও সদ্য প্রশিক্ষিত প্রশিক্ষক।
— ছোট ছোট ক্লাস, যাতে মনোযোগ ও নির্দেশনায় বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া সম্ভব।
— সাঁতারের প্রতিটি ধাপের জন্য নির্ধারিত ক্লাস, বিশেষ করে বিশেষ শিক্ষা চাহিদা ও প্রতিবন্ধী (সেন্ড) শিক্ষার্থীদের জন্য সুনির্দিষ্ট ক্লাসের আয়োজন
— প্রতিটি ধাপের স্পষ্ট অগ্রগতি, যা একটি কাঠামোবদ্ধ শিক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে নিশ্চিত করে।
— প্রতিটি মাইলফলক উদযাপনে অফিসিয়াল সার্টিফিকেট।

৪ ডিসেম্বর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুইম ইংল্যান্ডের প্রতিনিধি জেমস প্যারামোর টাওয়ার হ্যামলেটসের সঙ্গে নতুন এই অংশীদারিত্ব এবং সাঁতারকে জীবন রক্ষাকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা হিসেবে গড়ে তোলার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

অক্টোবরে, স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর সঙ্গে একটি প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয় এই এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সুইম স্কুলের জন্য নতুন নাম ও মাসকট বাছাই করা হয়।

মে ফ্লাওয়ার প্রাইমারি স্কুলের ইনায়াহ রহমান ডিজাইন করেছে “বাবলস দ্য বি ওয়েল ডাক,” যা বি ওয়েল সুইম স্কুলের অফিসিয়াল মাসকট হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। অপরদিকে, ওসমানী প্রাইমারি স্কুলের মুসা হোসেন তৈরি করে সুইম নিরাপত্তা সঙ্গী “অক্টোসেফ,” যা শিশুদের প্রয়োজনীয় সাঁতার নিরাপত্তা বিধি মেনে চলতে উৎসাহিত করবে।

প্রতিযোগিতার বিজয়ী ও তাদের স্কুলের প্রতিনিধিরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের সৃষ্টিশীলতার জন্য পুরস্কৃত হন।