img

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বহিষ্কার করলেন নেতানিয়াহু

প্রকাশিত :  ০৫:৩৫, ০৬ নভেম্বর ২০২৪

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বহিষ্কার করলেন নেতানিয়াহু

ইহুদীবাদী দেশ ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্তকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। মঙ্গলবার রাতে ইসায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

রাষ্ট্রের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে চলা দ্বন্দ্ব এবং তার জেরে পরস্পরের প্রতি আস্থার সংকট থেকেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে এক বার্তায় উল্লেখ করেছেন নেতানিয়াহু। সংক্ষিপ্ত এক বার্তায় এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মধ্যকার আস্থা ভেঙে গেছে। তার (গ্যালান্ত) সঙ্গে আমার যেসব মতপার্থক্য ছিল, সেসব নিরসনের জন্য আমি অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু সেসব চেষ্টা কোনো কাজে তো আসেই নি, উপরন্তু জনগণের সামনে খুবই অগ্রহণযোগ্যভাবে প্রকাশিত হয়েছে। সবচেয়ে বাজে ব্যাপার হলো, বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদের মতপার্থক্য শত্রুদেরও নজরে এসেছে এবং তারা এটি উপভোগের পাশাপাশি এ থেকে ফায়দা তোলারও চেষ্টা করছে। তাই আমার সামনে আর কোনো বিকল্প ছিল না।

অন্যদিকে ইয়োয়াভ গ্যালান্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক সংক্ষিপ্ত বার্তায় বলেছেন, যেখানে, যে অবস্থাতেই থাকি না কেন, যতদিন বেঁচে আছি— আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিশন থাকবে ইসরায়েল এবং তার নাগরিকদের নিরাপত্তা।

পরে একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গ্যালান্ত বলেন, তিনটি ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরে নেতানিয়াহুর সঙ্গে মতানৈক্য চলছিল তার। এই ইস্যুগুলো হলো— অতি রক্ষণশীল ইহুদিদের সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্তি, হামাসের কব্জায় থাকা জিম্মিদের উদ্ধারে নেতানিয়াহু এবং মন্ত্রিসভায় তার অনুগতদের উদাসীনতা এবং হামাসের গত ৭ অক্টোবরের হামলার দাপ্তরিক তদন্ত শুরু করা নিয়ে নেতানিয়াহুর গড়িমসি।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে যে বিবৃতিটি দেওয়া হয়েছে, সেখানে গ্যালান্তের অব্যাহতির পাশাপাশি আরও বলা হয়েছে, এখন থেকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন দেশটির বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ, আর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকবেন নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক দল লিকুদ পার্টির অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা এবং এমপি গিদেওন সা’আর।


img

অনাস্থা ভোটে ফরাসি সরকারের পতন, রাজনৈতিক সংকট আরও গভীর ...

প্রকাশিত :  ০৫:৫৫, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ারের পতন হয়েছে দায়িত্ব গ্রহণের তিন মাসের মধ্যে । দেশটির আইন প্রণেতাদের অনাস্থা ভোটের মুখে তাকে দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হচ্ছে।

বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির আইনপ্রণেতারা তার বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট দিয়েছেন। মাত্র তিন মাস আগে তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। ১৯৬২ সালের পর থেকে প্রথমবারের মতো দেশটিতে অনাস্থা ভোটে সরকারের পতন হয়েছে।

ফ্রান্সে বাজেট পাস নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই রাজনৈতিক অচলাবস্থার তৈরি হয়েছিল। এ নিয়ে বার্নিয়ার সরকার বেশ চাপে ছিলেন। পরে এ সংকট আরও তীব্র হলে দেশটির উগ্র ডানপন্থি ও বামপন্থি বিরোধী আইনপ্রণেতারা সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। প্রস্তাবটি ৩৩১ ভোটে পাস হয়।

আইনপ্রণেতাদের ভোটের পর পার্লামেন্টের স্পিকার ইয়েল বারুন পিভেট বলেন, বার্নিয়ারকে এখন প্রসিডেন্টের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। এ সময় তিনি এ সেশনের সমাপ্তির ঘোষণা দেন।

ফরাসি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। ১৯৫৮ সালে ফ্রান্সের পঞ্চম প্রজাতন্ত্র শুরুর পর এটি হতে যাচ্ছে দেশটির সবচেয়ে কম মেয়াদি সরকার।

ভোটের আগে বার্নিয়ার বলেন, অনাস্থা প্রস্তাবের দ্বারা বাজেটের এই ঘাটতির সমস্যা সমাধান হবে না। পরবর্তী সরকারের জন্যও বিষয়টি সমস্যারই কারণ হবে।

সবশেষ ১৯৬২ সালে জর্জ পমপিডুর সরকার ফ্রান্সে অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়েছিল। এরপর আর কোনো সরকার অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়নি। এরপর বার্নিয়ারের সরকার প্রথমবারের মতো অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়েছে।

এর আগে গত জুন মাসে আগাম নির্বাচন দেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। এরপর ঝুলন্ত পার্লামেন্ট ও বর্তমানের এ সংকটের সূচনা হয়। আজ দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ভাষণ দেবেন তিনি।