img

নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করলেন ট্রাম্প

প্রকাশিত :  ০৭:৩০, ০৬ নভেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৮:৩০, ০৬ নভেম্বর ২০২৪

নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করলেন ট্রাম্প

সুইং স্টেট পেনসিলভানিয়া জয়ের পর নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এখন ম্যাজিক ফিগারের খুব কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছেন, যার মানে তার জয় প্রায় নিশ্চিত। ট্রাম্প বর্তমানে ২৬৭টি ইলেকটোরাল ভোটে এগিয়ে আছেন, অপর দিকে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ২১৪টি ভোটে এগিয়ে। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ট্রাম্প পেনসিলভেনিয়া রাজ্যে জয়লাভ করেছেন, যেখানে ১৯টি ইলেকটোরাল ভোট ছিল। এই রাজ্যটি জয়ের পর তার মোট ভোট সংখ্যা ২৬৭টি নিশ্চিত হয়েছে, যা তাকে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে। এছাড়া, নেভাদা, অ্যারিজোনা, উইসকনসিন, মিশিগান, মিনেসোটা ও আলাস্কায়ও ট্রাম্প এগিয়ে রয়েছেন। গত নির্বাচনে এসব রাজ্যে সুবিধা করতে না পারলেও এবার দারুণভাবে ফিরে এসেছেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।

ট্রাম্পের এখন আর মাত্র কয়েকটি ইলেকটোরাল ভোটের প্রয়োজন, এবং রিপাবলিকান সমর্থকরা এখনই আনন্দে মেতে উঠেছেন। আলাস্কা ও হাওয়াই রাজ্যের ভোটগণনা শেষ হওয়ার পর, বেশিরভাগ দোদুল্যমান রাজ্যেও ট্রাম্প এগিয়ে আছেন।

এদিকে, বুথফেরত জরিপে দেখা যাচ্ছে, ভোটাররা প্রধানত গণতন্ত্র ও অর্থনীতির বিষয়গুলোকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। এর আগে মার্কিন গোয়েন্দারা রাশিয়া এবং অন্যান্য 'প্রতিপক্ষ' দেশগুলোর হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছিল।

জয়ের আভাস পাওয়ার পর ট্রাম্প ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে ভাষণ দেন, যেখানে তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জে ডি ভ্যান্স। তিনি তার এই জয়কে ‘রাজনৈতিক বিজয়’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

img

অনাস্থা ভোটে ফরাসি সরকারের পতন, রাজনৈতিক সংকট আরও গভীর ...

প্রকাশিত :  ০৫:৫৫, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ারের পতন হয়েছে দায়িত্ব গ্রহণের তিন মাসের মধ্যে । দেশটির আইন প্রণেতাদের অনাস্থা ভোটের মুখে তাকে দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হচ্ছে।

বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির আইনপ্রণেতারা তার বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট দিয়েছেন। মাত্র তিন মাস আগে তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। ১৯৬২ সালের পর থেকে প্রথমবারের মতো দেশটিতে অনাস্থা ভোটে সরকারের পতন হয়েছে।

ফ্রান্সে বাজেট পাস নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই রাজনৈতিক অচলাবস্থার তৈরি হয়েছিল। এ নিয়ে বার্নিয়ার সরকার বেশ চাপে ছিলেন। পরে এ সংকট আরও তীব্র হলে দেশটির উগ্র ডানপন্থি ও বামপন্থি বিরোধী আইনপ্রণেতারা সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। প্রস্তাবটি ৩৩১ ভোটে পাস হয়।

আইনপ্রণেতাদের ভোটের পর পার্লামেন্টের স্পিকার ইয়েল বারুন পিভেট বলেন, বার্নিয়ারকে এখন প্রসিডেন্টের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। এ সময় তিনি এ সেশনের সমাপ্তির ঘোষণা দেন।

ফরাসি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। ১৯৫৮ সালে ফ্রান্সের পঞ্চম প্রজাতন্ত্র শুরুর পর এটি হতে যাচ্ছে দেশটির সবচেয়ে কম মেয়াদি সরকার।

ভোটের আগে বার্নিয়ার বলেন, অনাস্থা প্রস্তাবের দ্বারা বাজেটের এই ঘাটতির সমস্যা সমাধান হবে না। পরবর্তী সরকারের জন্যও বিষয়টি সমস্যারই কারণ হবে।

সবশেষ ১৯৬২ সালে জর্জ পমপিডুর সরকার ফ্রান্সে অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়েছিল। এরপর আর কোনো সরকার অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়নি। এরপর বার্নিয়ারের সরকার প্রথমবারের মতো অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়েছে।

এর আগে গত জুন মাসে আগাম নির্বাচন দেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। এরপর ঝুলন্ত পার্লামেন্ট ও বর্তমানের এ সংকটের সূচনা হয়। আজ দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ভাষণ দেবেন তিনি।