img

আবার জয়ী হয়ে রেকর্ড গড়লেন রাশিদা তালিব ও ইলহান ওমর

প্রকাশিত :  ০৮:৪৫, ০৬ নভেম্বর ২০২৪

আবার জয়ী হয়ে রেকর্ড গড়লেন রাশিদা তালিব ও ইলহান ওমর

ডেমোক্রেটিক পার্টির মুসলিম নারী সদস্য রাশিদা তালিব এবং ইলহান ওমর মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে পুনঃনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে তালিব চতুর্থ মেয়াদে এবং ইলহান তৃতীয় মেয়াদে জয়ী হয়েছেন। বুধবার (৬ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত মার্কিন কংগ্রেসের নারী সদস্য রাশিদা তালেব। তিনি ডিয়ারবর্নের বৃহৎ আরব-আমেরিকান সম্প্রদায়ের সমর্থনে মিশিগানের প্রতিনিধি হিসাবে চতুর্থ মেয়াদে জয়ী হয়েছেন। তিনি রিপাবলিকান জেমস হুপারকে পরাজিত করে জয়ী হয়েছেন।

আর ইলহান ওমর সোমালি আমেরিকান। তিনি মিনেসোটাতে তৃতীয় মেয়াদের জন্য পুনরায় জয়ী হন। তার অধীনস্ত শহরের মধ্যে মিনিয়াপোলিস এবং বেশ কয়েকটি শহরতলিও রয়েছে।

এদিকে, ম্যাজিক ফিগারের একদম কাছাকাছি রয়েছেন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেজন্য তিনি নিজেকে জয়ী ঘোষণা করেছেন।

ট্রাম্প ইতোমধ্যে ২৬৭টি ইলেকটোরাল ভোটে এগিয়ে আছেন। অপরদিকে কমলা এগিয়ে আছেন ২১৪টিতে। সেজন্য ট্রাম্পের জয়ের কথা অনেকটা নিশ্চিতভাবেই করা যায়।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ফ্লোরিডায় নির্বাচনি প্রচারণার ওয়াচ পার্টিতে হাজির হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় তার সাথে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তার রানিং মেট জেডি ভ্যান্স, স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প এবং তার প্রচারণা দলের সদস্যরা।

ভাষণে ট্রাম্প বলেন, তিনি একটি ‘অসাধারণ বিজয়’ পেয়েছেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, এটি হবে আমেরিকার ‘স্বর্ণযুগ’।

রিপাবলিকান পার্টির এই প্রার্থী বলেন, ‘এটি আমেরিকার মানুষের জন্য একটি অসাধারণ বিজয়। যা আমাদের আবার আমেরিকাকে মহান করতে সাহায্য করবে।’ এ সময় তিনি তিনি তার প্রচারণার স্লোগান যোগ করেন।

ট্রাম্প নিজেই তার বিজয় ঘোষণা করেছেন, যদিও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রয়োজনীয় ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পাননি তিনি।

সূত্র : আল জাজিরা, বিবিসি ও অন্যান্য

img

অনাস্থা ভোটে ফরাসি সরকারের পতন, রাজনৈতিক সংকট আরও গভীর ...

প্রকাশিত :  ০৫:৫৫, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ারের পতন হয়েছে দায়িত্ব গ্রহণের তিন মাসের মধ্যে । দেশটির আইন প্রণেতাদের অনাস্থা ভোটের মুখে তাকে দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হচ্ছে।

বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির আইনপ্রণেতারা তার বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট দিয়েছেন। মাত্র তিন মাস আগে তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। ১৯৬২ সালের পর থেকে প্রথমবারের মতো দেশটিতে অনাস্থা ভোটে সরকারের পতন হয়েছে।

ফ্রান্সে বাজেট পাস নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই রাজনৈতিক অচলাবস্থার তৈরি হয়েছিল। এ নিয়ে বার্নিয়ার সরকার বেশ চাপে ছিলেন। পরে এ সংকট আরও তীব্র হলে দেশটির উগ্র ডানপন্থি ও বামপন্থি বিরোধী আইনপ্রণেতারা সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। প্রস্তাবটি ৩৩১ ভোটে পাস হয়।

আইনপ্রণেতাদের ভোটের পর পার্লামেন্টের স্পিকার ইয়েল বারুন পিভেট বলেন, বার্নিয়ারকে এখন প্রসিডেন্টের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। এ সময় তিনি এ সেশনের সমাপ্তির ঘোষণা দেন।

ফরাসি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। ১৯৫৮ সালে ফ্রান্সের পঞ্চম প্রজাতন্ত্র শুরুর পর এটি হতে যাচ্ছে দেশটির সবচেয়ে কম মেয়াদি সরকার।

ভোটের আগে বার্নিয়ার বলেন, অনাস্থা প্রস্তাবের দ্বারা বাজেটের এই ঘাটতির সমস্যা সমাধান হবে না। পরবর্তী সরকারের জন্যও বিষয়টি সমস্যারই কারণ হবে।

সবশেষ ১৯৬২ সালে জর্জ পমপিডুর সরকার ফ্রান্সে অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়েছিল। এরপর আর কোনো সরকার অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়নি। এরপর বার্নিয়ারের সরকার প্রথমবারের মতো অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়েছে।

এর আগে গত জুন মাসে আগাম নির্বাচন দেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। এরপর ঝুলন্ত পার্লামেন্ট ও বর্তমানের এ সংকটের সূচনা হয়। আজ দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ভাষণ দেবেন তিনি।