img

বাইডেনের ভুল থেকে ট্রাম্পকে শিক্ষা নিতে বলল হামাস

প্রকাশিত :  ১৫:২৯, ০৬ নভেম্বর ২০২৪

বাইডেনের ভুল থেকে ট্রাম্পকে শিক্ষা নিতে বলল হামাস

ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৭০ ইলেকটোরাল কলেজের ম্যাজিক ফিগার অতিক্রম করেছেন। রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প পেয়েছেন ২৭৯টি ইলেকটোরাল ভোট, আর ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২২৩টি। আর এর মাধ্যমে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।

এ অবস্থায় ট্রাম্পের বিজয় নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভুলগুলো থেকে ট্রাম্পকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানায়।

আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) এই খবর দিয়েছে আল জাজিরা। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ের বিষয়ে হামাসের সদস্যরা এ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা সামি আবু জুহরি বলেন, “ট্রাম্প অতীতে বলেছিলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গাজা যুদ্ধ বন্ধ করতে পারবেন। এখন সেই দাবি পরীক্ষা করার সময়।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা ট্রাম্পকে বাইডেনের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”

অন্যদিকে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য বাসেম নাইম বলেন, “জায়নবাদী রাষ্ট্রের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এই অন্ধ সমর্থনের অবসান হওয়া উচিত। কারণ, এ ধরনের সমর্থন আমাদের জনগণের ভবিষ্যৎ এবং এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার বিনিময়ে আসে।”

উল্লেখ্য, নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চান। তিনি বলেন, “আমরা শান্তি আনতে কাজ করব, যাতে প্রতি ৫ বা ১০ বছর পর পর এসব সংকটের পুনরাবৃত্তি না ঘটে।”

এছাড়া গত অক্টোবরের শেষের দিকে পেনসিলভেনিয়ার একটি নির্বাচনী সভায় ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দেন, রিপাবলিকানরা জয়ী হলে যুক্তরাষ্ট্র আর বিদেশে যুদ্ধ করবে না এবং কোনো মার্কিন সেনাকেও আর বিদেশে যুদ্ধের জন্য পাঠানো হবে না। তিনি আরও বলেন, বাইডেন প্রশাসনের সময় যুক্তরাষ্ট্র যতগুলো আন্তর্জাতিক সংকটে জড়িয়েছে, তার প্রতিটিই তিনি সমাধান করবেন এবং বিশেষ অগ্রাধিকার পাবেন ইউক্রেন ও গাজা সংকট।


img

অনাস্থা ভোটে ফরাসি সরকারের পতন, রাজনৈতিক সংকট আরও গভীর ...

প্রকাশিত :  ০৫:৫৫, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ারের পতন হয়েছে দায়িত্ব গ্রহণের তিন মাসের মধ্যে । দেশটির আইন প্রণেতাদের অনাস্থা ভোটের মুখে তাকে দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হচ্ছে।

বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির আইনপ্রণেতারা তার বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট দিয়েছেন। মাত্র তিন মাস আগে তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। ১৯৬২ সালের পর থেকে প্রথমবারের মতো দেশটিতে অনাস্থা ভোটে সরকারের পতন হয়েছে।

ফ্রান্সে বাজেট পাস নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই রাজনৈতিক অচলাবস্থার তৈরি হয়েছিল। এ নিয়ে বার্নিয়ার সরকার বেশ চাপে ছিলেন। পরে এ সংকট আরও তীব্র হলে দেশটির উগ্র ডানপন্থি ও বামপন্থি বিরোধী আইনপ্রণেতারা সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। প্রস্তাবটি ৩৩১ ভোটে পাস হয়।

আইনপ্রণেতাদের ভোটের পর পার্লামেন্টের স্পিকার ইয়েল বারুন পিভেট বলেন, বার্নিয়ারকে এখন প্রসিডেন্টের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। এ সময় তিনি এ সেশনের সমাপ্তির ঘোষণা দেন।

ফরাসি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। ১৯৫৮ সালে ফ্রান্সের পঞ্চম প্রজাতন্ত্র শুরুর পর এটি হতে যাচ্ছে দেশটির সবচেয়ে কম মেয়াদি সরকার।

ভোটের আগে বার্নিয়ার বলেন, অনাস্থা প্রস্তাবের দ্বারা বাজেটের এই ঘাটতির সমস্যা সমাধান হবে না। পরবর্তী সরকারের জন্যও বিষয়টি সমস্যারই কারণ হবে।

সবশেষ ১৯৬২ সালে জর্জ পমপিডুর সরকার ফ্রান্সে অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়েছিল। এরপর আর কোনো সরকার অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়নি। এরপর বার্নিয়ারের সরকার প্রথমবারের মতো অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়েছে।

এর আগে গত জুন মাসে আগাম নির্বাচন দেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। এরপর ঝুলন্ত পার্লামেন্ট ও বর্তমানের এ সংকটের সূচনা হয়। আজ দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ভাষণ দেবেন তিনি।