img

ঋতু পরিবর্তনের সময় জ্বর-সর্দি-কাশি? কীভাবে বাঁচাবেন নিজেকে ?

প্রকাশিত :  ০৫:২৬, ০৭ নভেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:৩৩, ০৭ নভেম্বর ২০২৪

ঋতু পরিবর্তনের সময় জ্বর-সর্দি-কাশি? কীভাবে বাঁচাবেন নিজেকে ?

বদলাচ্ছে আবহাওয়া। বদলাচ্ছে ঋতু। ঋতু পরিবর্তনের সময় ঘরে-ঘরে জ্বর-সর্দি-কাশি-মাথাব্যথার প্রকোপ বাড়ে। ছোট বাচ্চা থেকে বয়স্ক কাবু হয় নানাবিধ শারীরিক সমস্যায়। ঋতু পরিবর্তনের ফলে যে-যে রোগ হয়, তার লক্ষণ কী? কীভাবে নিজেকে বাঁচাবেন? জানালেন, কেশিয়াড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক সুরজিৎ মণ্ডল।

শীত এল বলে।  দিনের বেলা গরম এবং রাতে ঠান্ডা… স্বাভাবিকভাবে এই সময় সর্দি, কাশি, জ্বর বাড়ে। জ্বর হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ খাওয়া জরুরি।

অভিজ্ঞ চিকিৎসক জানান, যাঁদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে তাঁরা ঋতু পরিবর্তনের সময় গরম জলে স্নান করুন। ভোরেবেলা বাড়ির বাইরে গেলে গরম জামা পরুন।  ঠান্ডা খাওয়া এড়িয়ে চলুন। বেশি করে জল ও তরল খেতে হবে। রাতে কম স্পিডে ফ্যান চালান।  চলতি মরশুমে টাইফয়েড এবং ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত রয়েছে। সেক্ষেত্রে তিন দিন জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্ত পরীক্ষা করান।

img

খালি পেটে হাঁটবেন না কি ভরা পেটে, ওজন কমাতে কোনটি কার্যকর?

প্রকাশিত :  ০৬:৪৭, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

নিয়মিত হাঁটা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এটা সবচেয়ে কার্যকরী এবং সহজ শরীরচর্চার মধ্যে অন্যতম। দিনে নির্দিষ্ট সময় মেনে হাঁটলে শরীরের অনেক ধরনের সমস্যা কমে। বিশেষ করে নিয়মিত হাঁটার মাধ্যমে ওজন ঝরানো, উৎকণ্ঠা কমানো, হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো বা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করা সম্ভব। কেউ কেউ খাওয়াদাওয়ার পর হাঁটেন, কেউ বা খালি পেটে। ভরা পেটে না কি খালি পেটে হাঁটা বেশি উপকারী তা নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন আছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুভাবে হাঁটলেই ক্যালরি পোড়ে। এর ফলে ওজনও কমে। তার পরও তুলনামুলকভাবে কোনটা উপকারী তা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। 

ভারতীয় পুষ্টিবিদ ফারেহা শনমের ভাষায়, যারা কেবল ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাদের খালি পেটে হাঁটা উচিত। এটিকে ‘ফাস্টিং কার্ডিয়ো’বলা হয়।

খালি পেটে হাঁটা

খালি পেটে হাঁটলে খাবার থেকে প্রয়োজনীয় শক্তি বা গ্লুকোজ় পায় না শরীর। তাই বাধ্য হয়ে শরীর জমে থাকা অতিরিক্ত ফ্যাট পোড়াতে শুরু করে হাঁটার শক্তি পাওয়ার জন্য। এর ফলে শরীর থেকে ফ্যাট কমতে শুরু করে এবং ওজন হ্রাস পায়। খালি পেটে প্রতিদিন হাঁটার অভ্যাস থাকলে হজমের সমস্যাও দূর হবে। তা ছাড়া সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে হাঁটতে গেলে শরীর বেশি পরিমাণে ভিটামিন ডি পায়। সেই সময় রোদের তেজও কম থাকে, যা থেকে ভিটামিন ডি-ও ভাল পরিমাণে পাওয়া যায়।

ভরা পেটে হাঁটা

খাওয়ার পরে হাঁটারও অনেক উপকারিতা আছে। খাবার খাওয়ার পর হাঁটলে শরীর সেই খাবার থেকেই পাওয়া গ্লুকোজ়কে শক্তির জন্য ব্যবহার করে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যাদের ডায়াবেটিস আছে খাওয়ার পর হাঁটা তাদের জন্য বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ । যদিও খালি পেটে হাঁটার তুলনায় ভরা পেটে হাঁটায় কম ক্যালোরি পোড়ে, তারপরও  খাওয়ার পর ১০-১৫ মিনিট হাঁটলে হজমশক্তি উন্নত হয়। পেট ফাঁপার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।