img

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মাহিদুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত :  ০৫:৪৬, ০৭ নভেম্বর ২০২৪

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মাহিদুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক আন্তর্জাতিক সম্পাদক, যুক্তরাজ্য বিএনপি সাবেক সভাপতি মাহিদুর রহমান ১৭ বছর পর বাংলাদেশে যাচ্ছেন। প্রবাসের মাটিতে স্বৈরাচার হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা রাখার কারণে তিনি ফ্যাসিবাদী সরকারের রোষানলে পড়েন। সেই কারণে দীর্য দিন তিনি স্বদেশে যেতে পারেন নাই । আগামী ১৬ই নম্বেবর শনিবার  সিলেট হয়ে নিজ জন্মস্থান মৌলভীবাজার পৌঁছাবেন ।

মাহিদুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্ত উপলক্ষে ৪ নভেম্বর  পূর্ব লন্ডনে রয়েল বেঙ্গল রেস্টুরেন্টে যুক্তরাজ্যে  বসবাসরত মৌলভীবাজার জেলার বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সাবেক নেতৃবৃন্দ সাথে এক মতবিনিময় সভা অনূষ্ঠিত হয়।

কার্ডিফ বিএনপির সাবেক সভাপতি ও মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক মোস্তফা সালেহ লিটনের সভাপতিত্বে এবং  যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আজিম উদ্দিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মাহিদুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তবে মাহিদুর রহমান বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশের অবৈধ দখলদার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ইন্ডিয়াতে চলে যান.। এতে স্বস্তি ফিরে আসে জনজীবনে, স্বস্তি ফিরে আসে বাংলাদেশের মানুষের মনে । বাংলাদেশের মানুষ আবারও স্বাধীনভাবে মুক্তভাবে চলতে ফিরতে বলতে লিখতে পারবে, প্রবাসেও বইছে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সেই আনন্দ। এই আনন্দ ভাগাভাগির জন্য নিজ পরিবার, আত্বীয় স্বজন সহ দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সাথে সাক্ষাৎ করব ৷

তিনি আর বলেন, সাম্য ও মানবিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের  হাতকে শক্তিশালী করতে আজীবন সংরাম করে যাব। তিনি অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপার্সনের মাদার অব ডেমোক্রেসি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান  দেশনায়ক তারেক রহমান সহ বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর থেকে সকল মিথ্যা মামলা প্রতাহারের জোর দাবি জানান।

আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন টাওয়ার হেমলেট কাউন্সিলের স্পীকার ব্যারিস্টার সাইফুদ্দীন খালেদ, সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ খৈয়াম, টাওয়ার হেমলেট কাউন্সিলেরসাবেক ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর অহিদ আহমেদ, বেলজিয়াম বিএনপির সভাপতি সাইদুর রহমান লিটন, যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কালাম  আজাদ,  সহসভাপতি মুজিবুর রহমান মুজিব, সহসভাপতি তৈমূছ আলী, কমিউনিটি নেতা দেলোয়ার হোসেন দিলু,  যুক্তরাজ্য বিএনপির সহসভাপতি আতিকুর রহমান চৌধুরী পাপ্পু,  সহসভাপতি আবেদ রাজা, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ইউরোপের কো কো অর্ডিনেটর কামাল উদ্দিন, যুক্তরাজ্য বিএনপি যুগ্ম সম্পাদক খসরুজ্জামান খসরু, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মামুন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নাসিম আহমেদ চৌধুরী, সহ সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আহমেদ, কে আর জসীম, সাবেক ছাত্রদল নেতা তোফায়েল বাসিত তপু, যুক্তরাজ্য যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আফজল হোসেন।  

মৌলভীবাজার জেলার নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন, মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান চৌধুরী তপন, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি অদুদ আলম অদুদ, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক( সহ সভাপতি (পদমর্যাদা) ও যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাসির আহমেদ শাহিন,  মৌলভীবাজার জেলার সাবেক ছাত্রদল নেতা  শাহ সাইফুল ইসলাম লিখন, শফিকুর রহমান শফিক, সৈয়দ ফজলুল হক সেলিম, মাহফুজ আহমেদ, জাহিদুর রহমান আপেল, সাহেদ উদ্দিন চৌধুরী, সেলিম আহমেদ,  তরিকুর রশিদ চৌধুরী শওকত, মোহাম্মদ  নুরবক্স, আহবাব  হোসেন  খান বাপ্পি, দেওয়ান মইনুল হক  উজ্জ্বল,জলিল চৌধুরী,রাসেল  খান,তাজুল ইসলাম, মহসিন মিয়া, সরফরাজ আহমেদ সরফু,  শেখ আতিকুর রহমান আতিক, আহমেদ হোসেন, রাসেল খাঁন, তাজুল ইসলাম, জাহিদুর রহমান  ইমন, ফয়সল খান, ময়নুল ইসলিম সোহাগ, শফি আহমেদ দিনার, ফয়সল আহমেদ  আকন্দ।

মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সুজাতুর আহমেদ, তপু শেখ, খালেদ চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম শিমু,  কায়ছল ইসলাম, আব্দুল ওয়াহিদ চৌধুরী পারভেজ, সরদার শাখাওয়াত শওকত, আব্দুল হক রাজ, শাহাজান আহমেদ, নুনু মিয়া, নুরুল আলী রিপন, শাকিল আহমেদ,  সোহেদুল হাসান, ফয়সল আহমেদ, মোঃ রনি, তাজুল ইসলাম প্রমুখ ।

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

টাওয়ার হ্যামলেটসে চালু হলো সাঁতার শেখার স্কুল ‘বি ওয়েল—সুইম ওয়েল’

প্রকাশিত :  ১৯:০৭, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

টাওয়ার হ্যামলেটসের মাইল এন্ড পার্ক লেজার সেন্টারে কাউন্সিলের লেজার সার্ভিসেস ‘বি ওয়েল’ ৪ ডিসেম্বর তাদের নতুন সাঁতার শিখন স্কুল ‘বি ওয়েল সুইম ওয়েল’ চালু করেছে। এই সুইম স্কুলের লক্ষ্য হল বাসিন্দাদের সাঁতারের ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী ও নিরাপদ করে তোলা।

সুইম ইংল্যান্ডের লার্ন টু সুইম ফ্রেমওয়ার্ক অনুসরণ করে ‘বি ওয়েল সুইম ওয়েল’। এই ফ্রেমওয়ার্ক হচ্ছে ইংল্যান্ডের জাতীয় সাঁতার প্রশিক্ষণ কাঠামো। এতে অন্তর্ভুক্তঃ
— দক্ষ ও সদ্য প্রশিক্ষিত প্রশিক্ষক।
— ছোট ছোট ক্লাস, যাতে মনোযোগ ও নির্দেশনায় বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া সম্ভব।
— সাঁতারের প্রতিটি ধাপের জন্য নির্ধারিত ক্লাস, বিশেষ করে বিশেষ শিক্ষা চাহিদা ও প্রতিবন্ধী (সেন্ড) শিক্ষার্থীদের জন্য সুনির্দিষ্ট ক্লাসের আয়োজন
— প্রতিটি ধাপের স্পষ্ট অগ্রগতি, যা একটি কাঠামোবদ্ধ শিক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে নিশ্চিত করে।
— প্রতিটি মাইলফলক উদযাপনে অফিসিয়াল সার্টিফিকেট।

৪ ডিসেম্বর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুইম ইংল্যান্ডের প্রতিনিধি জেমস প্যারামোর টাওয়ার হ্যামলেটসের সঙ্গে নতুন এই অংশীদারিত্ব এবং সাঁতারকে জীবন রক্ষাকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা হিসেবে গড়ে তোলার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

অক্টোবরে, স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর সঙ্গে একটি প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয় এই এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সুইম স্কুলের জন্য নতুন নাম ও মাসকট বাছাই করা হয়।

মে ফ্লাওয়ার প্রাইমারি স্কুলের ইনায়াহ রহমান ডিজাইন করেছে “বাবলস দ্য বি ওয়েল ডাক,” যা বি ওয়েল সুইম স্কুলের অফিসিয়াল মাসকট হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। অপরদিকে, ওসমানী প্রাইমারি স্কুলের মুসা হোসেন তৈরি করে সুইম নিরাপত্তা সঙ্গী “অক্টোসেফ,” যা শিশুদের প্রয়োজনীয় সাঁতার নিরাপত্তা বিধি মেনে চলতে উৎসাহিত করবে।

প্রতিযোগিতার বিজয়ী ও তাদের স্কুলের প্রতিনিধিরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের সৃষ্টিশীলতার জন্য পুরস্কৃত হন।