img

ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভায় আসতে পারেন যারা

প্রকাশিত :  ১২:৩২, ০৭ নভেম্বর ২০২৪

 ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভায় আসতে পারেন যারা

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী সপ্তাহগুলোতে মন্ত্রিসভার সদস্য বাছাই ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক কর্মকর্তা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করবেন। কারা আসতে পারেন ট্রাম্পের মন্ত্রিসভায়, সে বিষয়ে ধারণা দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিরক্ষা, গোয়েন্দা, কূটনীতি, বাণিজ্য, অভিবাসন এবং অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণের মতো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে যারা আসতে পারেন:

স্কট বেসেন্ট, সম্ভাব্য ট্রেজারি সেক্রেটারি (অর্থমন্ত্রী)

ট্রাম্পের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা বেসেন্ট। ট্রেজারি সেক্রেটারি পদে তাকেই বেছে নিতে পারেন ট্রাম্প। বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন।

স্কট বেসেন্ট দীর্ঘসময় ধরে ‘লেইস-ফেয়ার’ নীতির পক্ষে, রিপাবলিকান পার্টিতে যে নীতি জনপ্রিয় ছিল। সমঝোতার হাতিয়ার হিসেবে শুল্কের ব্যবহার বিষয়ে ট্রাম্পের নীতির পক্ষে তাকে কথা বলতে দেখা গেছে। তিনি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের অর্থনৈতিক দর্শনের প্রশংসা করেছেন।

জন পলসন, সম্ভাব্য ট্রেজারি সেক্রেটারি

বিলিয়নিয়ার হেজ ফান্ড ম্যানেজার এবং ট্রাম্পের প্রধান দাতা জন পলসন ট্রেজারি সেক্রেটারি পদে আরেক শীর্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী। তিনি বলেছেন, এই চাকরিতে (ট্রেজারি সেক্রেটারি) তিনি আগ্রহী।

পলসন প্রকাশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং বিদেশে অন্যায্য বাণিজ্য অনুশীলনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একটি সরঞ্জাম হিসাবে \'লক্ষ্যযুক্ত শুল্ক\'কে সমর্থন করেছেন।

ল্যারি কুডলো, সম্ভাব্য ট্রেজারি সেক্রেটারি

ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কের ব্যক্তিত্ব ল্যারি কুডলো। তিনি ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের বেশিরভাগ সময় জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার ট্রেজারি সেক্রেটারি হওয়ার একটি চান্স রয়েছে।

রবার্ট লাইটহাইজার, সম্ভাব্য ট্রেজারি সেক্রেটারি

তৎকালীন প্রেসিডেন্টের পুরো মেয়াদে ট্রাম্পের মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা লাইটহাইজারকে প্রায় নিশ্চিতভাবেই মন্ত্রিসভায় আমন্ত্রণ জানানো হবে। যদিও বেসেন্ট এবং পলসনের ট্রেজারি সেক্রেটারি হওয়ার চান্স বেশি।

ট্রাম্পের মতো লাইটহাইজার একজন \'বাণিজ্য সংশয়বাদী\' এবং শুল্কে দৃঢ় বিশ্বাসী। চীনের সঙ্গে ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ এবং ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে মেক্সিকো ও কানাডার সঙ্গে নর্থ আমেরিকান ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট নিয়ে নতুন করে দরকষাকষির অন্যতম প্রধান ব্যক্তি ছিলেন তিনি।

হাওয়ার্ড লুটনিক, সম্ভাব্য ট্রেজারি সেক্রেটারি

আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান ক্যান্টর ফিটজেরাল্ডের দীর্ঘদিনের প্রধান নির্বাহী লুটনিক ট্রেজারি সেক্রেটারি হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন। নিউ ইয়র্কের এই ব্যক্তি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের অর্থনৈতিক নীতির প্রশংসা করেছেন। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে কী নীতি প্রণয়ন করা হবে, সে বিষয়ে তিনি বিভিন্ন সময়ে বিস্তারিত ও নির্মোহ মতামত দিয়েছেন।

রিচার্ড গ্রেনেল, সম্ভাব্য জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা

গ্রেনেল ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপদেষ্টাদের একজন। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের প্রথম চার বছরের মেয়াদে তিনি জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এবং জার্মানিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গত সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প যখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, তখন গ্রেনেল একান্ত বৈঠকে বসেছিলেন।

বিদেশি নেতাদের সঙ্গে গ্রেনেলের ব্যক্তিগত যোগাযোগ আছে। তাকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার শীর্ষ প্রতিযোগী হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই পদের জন্য সিনেটের অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না।

তিনি যেসব নীতির পক্ষে কথা বলেছেন তার মধ্যে রয়েছে, পূর্ব ইউক্রেনে যুদ্ধ শেষ করার জন্য একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, এমন একটি অবস্থান যা কিয়েভ অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করে।

রবার্ট ও\'ব্রায়েন, সম্ভাব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রথম মেয়াদে ট্রাম্পের শেষ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও\'ব্রায়েন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তারা দুজন প্রায়ই মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে কথা বলেন। তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বা অন্যান্য শীর্ষ পররাষ্ট্রনীতি এবং জাতীয় সুরক্ষামূলক পদের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন।

ট্রাম্প ক্ষমতা ছাড়ার পর থেকের তিনি বিদেশি নেতাদে সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রেখেছেন। গত মে মাসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন।

ট্রাম্পের কিছু উপদেষ্টার চেয়ে তার মতামত কিছুটা বেশি কট্টরপন্থী। উদাহরণস্বরূপ- তিনি তার অনেক রিপাবলিকান সমসাময়িকদের তুলনায় ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তার পক্ষে বেশি সমর্থক ছিলেন এবং তিনি যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার প্রবক্তা।

 ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভায় আসতে পারেন যারা

টেনেসির একজন মার্কিন সিনেটর, যাকে সেক্রেটারি অফ স্টেটের শীর্ষ প্রতিযোগী হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তিনি প্রথম ট্রাম্প প্রশাসনে জাপানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

হ্যাগার্টির নীতি মোটামুটি ট্রাম্পের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বছরের শুরুতে তিনি ইউক্রেনের জন্য একটি বড় সামরিক সহায়তা প্যাকেজের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন।

মার্কো রুবিও, সম্ভাব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ফ্লোরিডার সিনেটর ও ২০১৬ সালের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী রুবিও একজন শীর্ষ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদপ্রার্থী। তার নীতি ট্রাম্পের নীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত। হ্যাগার্টির মতো তিনিও ২০২৪ সালের ট্রাম্পের রানিং মেট হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন।

রুবিও দীর্ঘদিন ধরে সিনেটে বৈদেশিক সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যুক্ত ছিলেন, বিশেষত ল্যাটিন আমেরিকার সাথে সম্পর্কিত। পুরো পার্টির মধ্যে তার দৃঢ় প্রভাব রয়েছে।

মাইক ওয়াল্টজ, সম্ভাব্য প্রতিরক্ষামন্ত্রী

একজন প্রাক্তন বিশেষ বাহিনীর সদস্য, যিনি বর্তমানে ফ্লোরিডা থেকে মার্কিন কংগ্রেসম্যান। ওয়াল্টজ নিজেকে হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের \'চীন বাজপাখি\' হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। চীন সম্পর্কিত বিভিন্ন পদক্ষেপে তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী পদের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে আছেন।

মাইক পম্পেও, সম্ভাব্য প্রতিরক্ষামন্ত্রী

ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে সিআইএ পরিচালক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা পম্পেওকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পদের শীর্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী না হয়ে জাতীয় নিরাপত্তা, গোয়েন্দা বা কূটনীতির অন্য কোনো পদে থাকতে পারেন।

তিনি ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র হলেও \'ইউক্রেনের সবচেয়ে উগ্র রক্ষক\' হিসাবে পরিচিত। ইউক্রেনের পক্ষে তার এ অবস্থানের কারণে নিজ দলের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মাইক পম্পেও-এর মতবিরোধ রয়েছে।

কিথ কেলোগ, জাতীয় সুরক্ষা পদের সম্ভাব্য প্রার্থী

ট্রাম্পের অধীনে জাতীয় সুরক্ষা কাউন্সিলের চিফ অফ স্টাফ হিসাবে দায়িত্ব পালন করা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেলোগ ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত। তিনি জাতীয় সুরক্ষা সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি পদের প্রতিদ্বন্দ্বী, যদিও তিনি কোথায় নিয়োগ পাবেন তা স্পষ্ট নয়।

নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি ট্রাম্পের কাছে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার একটি পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছিলেন। তার পদক্ষেপের মধ্যে ছিল- রাশিয়া-ইউক্রেন উভয় পক্ষকে আলোচনার টেবিলে বসাতে বাধ্য করা এবং অদূর ভবিষ্যতে ইউক্রেনের জন্য ন্যাটোর সদস্যপদ বাতিল করা

টম হোমান, সম্ভাব্য হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী)

ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে দেড় বছর অভিবাসন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা হোমল্যান্ড স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জন্য একজন প্রতিদ্বন্দ্বী। ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসন দমনকে তার নির্বাচনী প্রচারণার কেন্দ্রীয় উপাদান বানিয়েছেন এবং গণহারে বিতাড়িত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারের সময় প্রায়ই হোমানের প্রশংসা করেন এবং হোমানও সমর্থকদের সঙ্গে সমাবেশ করার সময় অভিবাসন ইস্যু নিয়ে কথা বলেন। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে হোমান প্রশাসনের বিতর্কিত \'শিশু বিচ্ছেদ\' নীতির শীর্ষস্থানীয় উকিল ছিলেন, যার সময় অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করা অভিবাসীদের শিশুদের তাদের পিতামাতার কাছ থেকে আলাদাভাবে আটক করা হয়েছিল।

 ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভায় আসতে পারেন যারা

ট্রাম্পের প্রথম প্রেসিডেন্সির সময় প্রায় ১৪ মাস হোমল্যান্ড সিকিউরিটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা উলফ এবার \'স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী\' হতে পারেন।

উলফ ট্রাম্পের কট্টরপন্থী অভিবাসন নীতি বাস্তবায়ন করেছিলেন। তিনি পোর্টল্যান্ড-ওরেগন দাঙ্গার সময় বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন বলে মনে করা হয়।

মার্ক গ্রিন, সম্ভাব্য হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী)

সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা এবং হাউস হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কমিটির বর্তমান চেয়ারম্যান মার্ক গ্রিনকে ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের কিছু সহযোগী \'স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী\' পদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচনা করছেন। তার সমর্থকরা তাকে ট্রাম্পের অনুগত এবং \'অভিবাসন কট্টরপন্থী\' হিসাবে বর্ণনা করেন।

গ্রিনকে ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে সেনাবাহিনীর সেক্রেটারি হিসাবে দায়িত্ব পালনের জন্য মনোনীত করেছিলেন। তবে তার অতীতের বিবৃতিগুলোকে ট্রান্সফোবিক এবং ইসলামোফোবিক হিসাবে দেখা হয়েছিল।

তথ্যসূত্র: রয়টার্স


img

অনাস্থা ভোটে ফরাসি সরকারের পতন, রাজনৈতিক সংকট আরও গভীর ...

প্রকাশিত :  ০৫:৫৫, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ারের পতন হয়েছে দায়িত্ব গ্রহণের তিন মাসের মধ্যে । দেশটির আইন প্রণেতাদের অনাস্থা ভোটের মুখে তাকে দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হচ্ছে।

বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির আইনপ্রণেতারা তার বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট দিয়েছেন। মাত্র তিন মাস আগে তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। ১৯৬২ সালের পর থেকে প্রথমবারের মতো দেশটিতে অনাস্থা ভোটে সরকারের পতন হয়েছে।

ফ্রান্সে বাজেট পাস নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই রাজনৈতিক অচলাবস্থার তৈরি হয়েছিল। এ নিয়ে বার্নিয়ার সরকার বেশ চাপে ছিলেন। পরে এ সংকট আরও তীব্র হলে দেশটির উগ্র ডানপন্থি ও বামপন্থি বিরোধী আইনপ্রণেতারা সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। প্রস্তাবটি ৩৩১ ভোটে পাস হয়।

আইনপ্রণেতাদের ভোটের পর পার্লামেন্টের স্পিকার ইয়েল বারুন পিভেট বলেন, বার্নিয়ারকে এখন প্রসিডেন্টের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। এ সময় তিনি এ সেশনের সমাপ্তির ঘোষণা দেন।

ফরাসি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। ১৯৫৮ সালে ফ্রান্সের পঞ্চম প্রজাতন্ত্র শুরুর পর এটি হতে যাচ্ছে দেশটির সবচেয়ে কম মেয়াদি সরকার।

ভোটের আগে বার্নিয়ার বলেন, অনাস্থা প্রস্তাবের দ্বারা বাজেটের এই ঘাটতির সমস্যা সমাধান হবে না। পরবর্তী সরকারের জন্যও বিষয়টি সমস্যারই কারণ হবে।

সবশেষ ১৯৬২ সালে জর্জ পমপিডুর সরকার ফ্রান্সে অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়েছিল। এরপর আর কোনো সরকার অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়নি। এরপর বার্নিয়ারের সরকার প্রথমবারের মতো অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়েছে।

এর আগে গত জুন মাসে আগাম নির্বাচন দেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। এরপর ঝুলন্ত পার্লামেন্ট ও বর্তমানের এ সংকটের সূচনা হয়। আজ দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ভাষণ দেবেন তিনি।