img

মেক্সিকোতে গাড়ির মধ্যে মিলল ১১ লাশ

প্রকাশিত :  ০৯:২৪, ০৮ নভেম্বর ২০২৪

মেক্সিকোতে গাড়ির মধ্যে মিলল ১১ লাশ

মেক্সিকোতে একটি গাড়ি থেকে ১১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুই শিশুও রয়েছে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় একটি শহরে এই ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

শহরটি সহিংসতায় বিপর্যস্ত বলে জানা গেছে। নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ মেক্সিকোর একটি শহরে গাড়ির ভেতর থেকে দুই শিশুসহ ১১ জনের দেহাবশেষ পাওয়া গেছে। সহিংসতায় বিপর্যস্ত ওই শহরের নাম চিলপানসিঙ্গো। গুয়েরেরো প্রদেশের এই শহরের মেয়র দায়িত্ব নেওয়ার কয়েকদিন পরেই গত মাসে তার শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল।

নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি এবং মামলাটিকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে প্রদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন। স্থানীয় সময় গত বুধবার রাতে একটি পরিত্যক্ত পিক-আপ ট্রাকের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর পুলিশকে ঘটনাস্থলে ডাকা হয়।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃতদেহ সম্বলিত ট্রাকটি আকাপুলকোর একটি মহাসড়কে পাওয়া গিয়েছে। এটি ১৯৫০ এবং ১৯৬০ এর দশকে ধনী ও বিখ্যাত ব্যক্তিদের কাছে একটি জনপ্রিয় গন্তব্য ছিল, কিন্তু তারপর থেকে এটি ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের স্থান হিসেবে পরিচিত হওয়ার পাশাপাশি মাদক পাচারের হটস্পট হয়ে ওঠে।

মূলত প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূল চোরাচালান রুটে অবস্থানের কারণে গুয়েরেরো মেক্সিকোর অন্যতম সহিংস প্রদেশ হিসেবে পরিচিত। গত বছর এই প্রদেশে ১৮৯০টি খুনের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।

আর চিলপানসিঙ্গো শহরে প্রায় দুই লাখ ৮০ হাজার মানুষ বাস করেন এবং এই শহরটি দীর্ঘকাল ধরে আরডিলোস এবং তলাকোস নামে দুটি ড্রাগ গ্যাংয়ের মধ্যে সংঘাতে জর্জরিত হয়েছে।

এছাড়া মেক্সিকোতে গত ২ জুনের নির্বাচনের দৌড়ে থাকা কমপক্ষে ছয়জন প্রার্থী নিহত হয়েছেন। গত মাসে চিলপানসিঙ্গোর মেয়র আলেজান্দ্রো আরকোসকে দায়িত্ব নেওয়ার এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, উত্তর আমেরিকার এই দেশটির সরকার মেক্সিকান সামরিক বাহিনীকে মাঠে নামিয়ে বিতর্কিত মাদকবিরোধী অভিযান শুরু করার পর ২০০৬ সাল থেকে সারা দেশে ৪ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ হয়েছেন আরও কয়েক হাজার লোক।


img

অনাস্থা ভোটে ফরাসি সরকারের পতন, রাজনৈতিক সংকট আরও গভীর ...

প্রকাশিত :  ০৫:৫৫, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ারের পতন হয়েছে দায়িত্ব গ্রহণের তিন মাসের মধ্যে । দেশটির আইন প্রণেতাদের অনাস্থা ভোটের মুখে তাকে দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হচ্ছে।

বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির আইনপ্রণেতারা তার বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট দিয়েছেন। মাত্র তিন মাস আগে তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। ১৯৬২ সালের পর থেকে প্রথমবারের মতো দেশটিতে অনাস্থা ভোটে সরকারের পতন হয়েছে।

ফ্রান্সে বাজেট পাস নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই রাজনৈতিক অচলাবস্থার তৈরি হয়েছিল। এ নিয়ে বার্নিয়ার সরকার বেশ চাপে ছিলেন। পরে এ সংকট আরও তীব্র হলে দেশটির উগ্র ডানপন্থি ও বামপন্থি বিরোধী আইনপ্রণেতারা সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। প্রস্তাবটি ৩৩১ ভোটে পাস হয়।

আইনপ্রণেতাদের ভোটের পর পার্লামেন্টের স্পিকার ইয়েল বারুন পিভেট বলেন, বার্নিয়ারকে এখন প্রসিডেন্টের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। এ সময় তিনি এ সেশনের সমাপ্তির ঘোষণা দেন।

ফরাসি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। ১৯৫৮ সালে ফ্রান্সের পঞ্চম প্রজাতন্ত্র শুরুর পর এটি হতে যাচ্ছে দেশটির সবচেয়ে কম মেয়াদি সরকার।

ভোটের আগে বার্নিয়ার বলেন, অনাস্থা প্রস্তাবের দ্বারা বাজেটের এই ঘাটতির সমস্যা সমাধান হবে না। পরবর্তী সরকারের জন্যও বিষয়টি সমস্যারই কারণ হবে।

সবশেষ ১৯৬২ সালে জর্জ পমপিডুর সরকার ফ্রান্সে অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়েছিল। এরপর আর কোনো সরকার অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়নি। এরপর বার্নিয়ারের সরকার প্রথমবারের মতো অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়েছে।

এর আগে গত জুন মাসে আগাম নির্বাচন দেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। এরপর ঝুলন্ত পার্লামেন্ট ও বর্তমানের এ সংকটের সূচনা হয়। আজ দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ভাষণ দেবেন তিনি।