img

পাকিস্তানে রেলস্টেশনে বোমা বিস্ফোরণ, নিহত ২১

প্রকাশিত :  ০৫:৩০, ০৯ নভেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:১৫, ০৯ নভেম্বর ২০২৪

পাকিস্তানে রেলস্টেশনে বোমা বিস্ফোরণ, নিহত ২১

পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত কোয়েটায় একটি রেলস্টেশনে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২১ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হয়েছে।

আজ শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কোয়েটা রেলস্টেশন থেকে পেশোয়ারগামী এক্সপ্রেসটি রওনা হওয়ার সময় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এক র্শীষ পুলিশ কর্মকর্তা মুহাম্মদ বালোচ। খবর রয়টার্সের।

বর্তমানে দেশটির উত্তর-পশ্চিমে সন্ত্রাসী হামলা এবং দক্ষিণে ক্রমবর্ধমান বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহের সঙ্গে লড়ছে পাকিস্তান।

সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ অপারেশন মুহাম্মদ বালোচ বলেন, ‘পেশোয়ারগামী একটি ট্রেন তার গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছিল, তখনই রেলওয়ে স্টেশনের ভিতরে বিস্ফোরণটি ঘটে।’ 

কোনো গোষ্ঠী এখনো এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি বলে তিনি জানান।

মুহাম্মদ বালোচ বলেন, বিস্ফোরণটি একটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ বলে মনে হচ্ছে। তবে আরও তদন্ত চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

নিহতের সংখ্যা সম্পর্কে বিশদ বিবরণ প্রদান করে এসএসপি অপারেশনস বালুচ বলেন, বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ এবং ৩০ জন আহত হয়েছেন।

রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাফর এক্সপ্রেস সকাল ৯টায় পেশোয়ারের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা ছিল। ঠিক সেই সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

কর্মকর্তারা জিও নিউজকে জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। ফলে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।


img

অনাস্থা ভোটে ফরাসি সরকারের পতন, রাজনৈতিক সংকট আরও গভীর ...

প্রকাশিত :  ০৫:৫৫, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ারের পতন হয়েছে দায়িত্ব গ্রহণের তিন মাসের মধ্যে । দেশটির আইন প্রণেতাদের অনাস্থা ভোটের মুখে তাকে দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হচ্ছে।

বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির আইনপ্রণেতারা তার বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট দিয়েছেন। মাত্র তিন মাস আগে তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। ১৯৬২ সালের পর থেকে প্রথমবারের মতো দেশটিতে অনাস্থা ভোটে সরকারের পতন হয়েছে।

ফ্রান্সে বাজেট পাস নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই রাজনৈতিক অচলাবস্থার তৈরি হয়েছিল। এ নিয়ে বার্নিয়ার সরকার বেশ চাপে ছিলেন। পরে এ সংকট আরও তীব্র হলে দেশটির উগ্র ডানপন্থি ও বামপন্থি বিরোধী আইনপ্রণেতারা সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। প্রস্তাবটি ৩৩১ ভোটে পাস হয়।

আইনপ্রণেতাদের ভোটের পর পার্লামেন্টের স্পিকার ইয়েল বারুন পিভেট বলেন, বার্নিয়ারকে এখন প্রসিডেন্টের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। এ সময় তিনি এ সেশনের সমাপ্তির ঘোষণা দেন।

ফরাসি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। ১৯৫৮ সালে ফ্রান্সের পঞ্চম প্রজাতন্ত্র শুরুর পর এটি হতে যাচ্ছে দেশটির সবচেয়ে কম মেয়াদি সরকার।

ভোটের আগে বার্নিয়ার বলেন, অনাস্থা প্রস্তাবের দ্বারা বাজেটের এই ঘাটতির সমস্যা সমাধান হবে না। পরবর্তী সরকারের জন্যও বিষয়টি সমস্যারই কারণ হবে।

সবশেষ ১৯৬২ সালে জর্জ পমপিডুর সরকার ফ্রান্সে অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়েছিল। এরপর আর কোনো সরকার অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়নি। এরপর বার্নিয়ারের সরকার প্রথমবারের মতো অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়েছে।

এর আগে গত জুন মাসে আগাম নির্বাচন দেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। এরপর ঝুলন্ত পার্লামেন্ট ও বর্তমানের এ সংকটের সূচনা হয়। আজ দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ভাষণ দেবেন তিনি।