img

বিসিএর এসেক্স রিজিওনের নির্বাচন সম্পন্ন

প্রকাশিত :  ১২:৫৯, ১০ নভেম্বর ২০২৪

জামাল উদ্দিন মকদ্দস সভাপতি, আফজাল হোসেন সাধারণ সম্পাদক, আব্দুস ছুফান কোষাধ্যক্ষ

বিসিএর এসেক্স রিজিওনের নির্বাচন সম্পন্ন

বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশন ( বিসিএ) এর এসেক্স রিজিওনের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। জামাল উদ্দিন মকদ্দসকে সভাপতি, আফজাল হোসেন সাধারণ সম্পাদক ও আব্দুস ছুফানকে কোষাধ্যক্ষ করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন-  বিসিএর সভাপতি ওলী খান এমবিই, সেক্রেটারী জেনারেল মিঠু চৌধুরী, সাবেক সভাপতি এম এ মুনীম ওবিই ও কামাল ইয়াকুব, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, সাপ্তাহিক পত্রিকা সম্পাদক এমদাদুল হক চৌধুরী।

গত ৬ নভেম্বর বুধবার এসেক্স এর ভোজন রেস্টুরেন্টে সংগঠনের সভাপতি জামাল মকদ্দস এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক  ফরহাদ হোসেন টিপুর পরিচালনায় ১ম পর্বের অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন কারী হাফিজ মৌলানা সায়াদ আসিফ আহমেদ।

সভাপতি জামাল উদ্দিন মকদ্দস স্বাগত বক্তব্যে এসেক্স রিজিওনের সকল সদস্য ও কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, বিসিএ একটি সুসংগঠিত গতিশীল প্রতিষ্ঠান। বৃটেনব্যাপী এই সংগঠনের শাখাগুলো কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দিক নির্দেশনায় কাজ করছে। আমাদের লক্ষ্য – বাংলাদেশী কারি শিল্পের নানাবিদ সংকটপূর্ণ সময় সম্মিলিতভাবে মোকাবেলা  করা।  এছাড়াও বিসিএ এসেক্স রিজিওন লোকাল কমিউনিটির সাথে মানবিক ও চ্যারিটি কাজে অনুকরণীয় কাজ করছে।

সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন টিপু  তাদের মেয়াদে পরিচালিত নানাবিদ কার্যকম অবহিত করে বলেন,  এসেক্স রিজিওন বিসিএর ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটি (এনইসি) এর সহযোগিতা ও পরামর্শ নিয়ে কাজ করছে।  আমরা চেষ্টা করেছি- রেস্টুরেন্টুগুলোর  মধ্যে পেশাগত  সেতু বন্ধন তৈরী করতে ,যাতে নানাবিদ সমস্যার মাঝেও কারি শিল্পের সাফল্য ধরে রাখা যায়। তিনি কার্যকরি কমিটির মেয়াদ কালের রিপোর্ট তুলে ধরেন। 

অনুষ্ঠানে দীর্ঘদিন থেকে কারি শিল্পে সার্বিক সহযোগিতা ও অবদানের জন্য  বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি লীডার ড. সিরাজ আলী ও মোহাম্মদ শামস উদ্দিন  কে সম্মাননা প্রদান করা হয়। বিসিএ এসেক্স রিজিওনে সাফল্যের সাথে  দীর্ঘ ১২ বছর  সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করায় সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন টিপুকে বিশেষ সম্মাননা পদক দেয়া হয়।

দ্বিতীয় পর্বে নির্বাচন পরিচালনা করেন নির্বাচন কমিশনার সুলেমান জিপি ও সৈয়দ হাসান।  নির্বাচনের পরে নব নির্বাচিত সভাপতি জামাল মকদ্দসের সভাপতিত্বে   ও  সাধারণ সম্পাদক আবজাল হোসেন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন টিপুর  পরিচালনা করেন।

 বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিসিএর সভাপতি ওলী খান এমবিই। তিনি বলেন, ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত বিসিএ প্রায় ১২ হাজার রেস্টুরেন্টেএর প্রতিনিধিত্ব করছে। প্রতিটি রিজিওনে আমাদের অভিজ্ঞ নেতৃবৃন্দ কারি ইন্ড্রাস্ট্রির সেবায় নিয়োজিত।

বৃটেনের বিসিএর রিজিওনগুলো- অদক্ষ স্টাফদের প্রশিক্ষণ সহ চিহ্নিত সমস্যা সমাধানে  নিরলসভাবে কাজ করছে।

সেক্রেটারী জেনারেল মিঠু চৌধুরী বলেন, বিসিএ এসেক্স রিজিওনের কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, সময়ের সাথে স্মার্ট  পরিকল্পনা, অভিজ্ঞ ও নতুনদের  সমন্বয়ে তাদের সাংগঠনিক কাজগুলো লোকাল কমিউনিটিতে একটি  আস্থার জায়গা তৈরী করেছে, যা কারি শিল্পের জন্য অত্যন্ত সুখবর।

সাবেক সভাপতি এম এ মুনীম ওবিই  বলেন- বৃটেনের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের এই সময়ে কারি ইন্ড্রাস্ট্রিও সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে। আমাদের নায্য দাবী বাস্তবায়নে সকলের ঐক্যবদ্ধ লবিং জরুরি।

সাবেক সভাপতি কামাল ইয়াকুব- পুরনো কমিটির কাজের প্রশংসা ও নবগঠিত কমিটির অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বৃটেনের বাংলাদেশী কারি শিল্পের বৃহত্তম এই সংগঠনের নতুনদের আরও বেশী করে যুক্ত করার নানাবিদ উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।

লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, সাপ্তাহিক পত্রিকা সম্পাদক এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশী কারি ইন্ড্রাস্ট্রি বৃটেনের জাতীয় প্রবৃত্তিতে ৪.৫ বিলিয়ন পাউন্ড এর অবদান রাখছে। প্রকৃত অর্থে এই সংখ্যাটি আরও বেশী হওয়ার কথা। কারণ দিন দিন কারি শিল্পের ব্যবসায়িক পরিধি বিস্তৃত  হচ্ছে। বিসিএ এই বিষয়ে একটু মনোযোগী হলে- জাতীয়ভাবে এই শিল্পের অবদান আরও উজ্জ্বলভাবে প্রকাশ পাবে বলে মনে করি।

এছাড়াও আরও বক্তব্য রাখেন ট্রেজারার আব্দুস ছুফান, সহ সভাপতি নেজাম উদ্দিন নজরুল, আলতাফ হোসেন ও শেখ এম এ খালিক, বিসিএ মেম্বারশীপ সেক্রেটারী ইয়ামীম দিদার,ডেপুটি সেক্রেটারী জেনারেল নাসির উদ্দিন। কেন্ট রিজিওনের সাবেক সভাপতি এম কে জামাল জুয়েল, ক্যামব্রিজ  ‍রিজওনের  সাধারণ সম্পাদক খালেদ আহমেদ,লন্ডন রিজওন-২ এর সভাপতি ফায়জুল হক, এসেক্স রিজওনের অর্গানাইজিং সেক্রেটারী আব্দুস শহীদ, প্রেস এন্ড পাবলিকেশন সেক্রেটারী আব্দুল কুদ্দুস, জয়েন্ট সেক্রেটারী জাকারিয়া চৌধুরী হাসান।

রাতের প্রীতিভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

বিসিএ এসেক্স রিজওনের নব নির্বাচিত কমিটি হলো-

সভাপতি: জামাল উদ্দিন মকদ্দস

সহ-সভাপতি: মো. নাজম উদ্দিন (নজরুল) ও আলতাফ হোসেন

সাধারণ সম্পাদক : আবজল হোসেন

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: জাকারিয়া চৌধুরী হাসান 

কোষাধ্যক্ষ: আব্দুস ছুফান

যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ: নুরুজ্জামান 

সাংগঠনিক সম্পাদক: আব্দুস সাহিদ

মেম্বারশীপ সম্পাদক: রওশন আহমেদ 

প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক : আব্দুল কুদ্দুস

নির্বাহী সদস্য:

ফরহাদ হোসেন টিপু,শেখ এম এ খালিক, আব্দুল হক,শামসু মিয়া (লইলুস),বদরুল উদ্দিন (রাজু), মুহাম্মদ মানিক উল্লাহ (বাবুল),সালেহ আহমেদ,মোহাম্মদ আশিক,আহমেদ হুসাইন বকুল,খায়রুল উদ্দিন (পাপ্পু), শারফুল মোহাম্মদ শামসুদ্দিন (সুমন)

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

টাওয়ার হ্যামলেটসে চালু হলো সাঁতার শেখার স্কুল ‘বি ওয়েল—সুইম ওয়েল’

প্রকাশিত :  ১৯:০৭, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

টাওয়ার হ্যামলেটসের মাইল এন্ড পার্ক লেজার সেন্টারে কাউন্সিলের লেজার সার্ভিসেস ‘বি ওয়েল’ ৪ ডিসেম্বর তাদের নতুন সাঁতার শিখন স্কুল ‘বি ওয়েল সুইম ওয়েল’ চালু করেছে। এই সুইম স্কুলের লক্ষ্য হল বাসিন্দাদের সাঁতারের ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী ও নিরাপদ করে তোলা।

সুইম ইংল্যান্ডের লার্ন টু সুইম ফ্রেমওয়ার্ক অনুসরণ করে ‘বি ওয়েল সুইম ওয়েল’। এই ফ্রেমওয়ার্ক হচ্ছে ইংল্যান্ডের জাতীয় সাঁতার প্রশিক্ষণ কাঠামো। এতে অন্তর্ভুক্তঃ
— দক্ষ ও সদ্য প্রশিক্ষিত প্রশিক্ষক।
— ছোট ছোট ক্লাস, যাতে মনোযোগ ও নির্দেশনায় বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া সম্ভব।
— সাঁতারের প্রতিটি ধাপের জন্য নির্ধারিত ক্লাস, বিশেষ করে বিশেষ শিক্ষা চাহিদা ও প্রতিবন্ধী (সেন্ড) শিক্ষার্থীদের জন্য সুনির্দিষ্ট ক্লাসের আয়োজন
— প্রতিটি ধাপের স্পষ্ট অগ্রগতি, যা একটি কাঠামোবদ্ধ শিক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে নিশ্চিত করে।
— প্রতিটি মাইলফলক উদযাপনে অফিসিয়াল সার্টিফিকেট।

৪ ডিসেম্বর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুইম ইংল্যান্ডের প্রতিনিধি জেমস প্যারামোর টাওয়ার হ্যামলেটসের সঙ্গে নতুন এই অংশীদারিত্ব এবং সাঁতারকে জীবন রক্ষাকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা হিসেবে গড়ে তোলার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

অক্টোবরে, স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর সঙ্গে একটি প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয় এই এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সুইম স্কুলের জন্য নতুন নাম ও মাসকট বাছাই করা হয়।

মে ফ্লাওয়ার প্রাইমারি স্কুলের ইনায়াহ রহমান ডিজাইন করেছে “বাবলস দ্য বি ওয়েল ডাক,” যা বি ওয়েল সুইম স্কুলের অফিসিয়াল মাসকট হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। অপরদিকে, ওসমানী প্রাইমারি স্কুলের মুসা হোসেন তৈরি করে সুইম নিরাপত্তা সঙ্গী “অক্টোসেফ,” যা শিশুদের প্রয়োজনীয় সাঁতার নিরাপত্তা বিধি মেনে চলতে উৎসাহিত করবে।

প্রতিযোগিতার বিজয়ী ও তাদের স্কুলের প্রতিনিধিরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের সৃষ্টিশীলতার জন্য পুরস্কৃত হন।