img

রাজপ্রতিনিধির হাতে রানির স্মরণে প্রথম বাংলা গান l

প্রকাশিত :  ১৯:৫৫, ১১ নভেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ২০:০৮, ১১ নভেম্বর ২০২৪

রাজপ্রতিনিধির হাতে রানির স্মরণে প্রথম বাংলা গান l

ইংল্যান্ডের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্মরণে "সবার প্রিয় রানি যে তুমি" বাংলায় প্রকাশিত প্রথম গান নিয়ে অনুষ্ঠান ৮ই নভেম্বর ২০২৪ দুপুর ৩:৩০ লুটন টাউন হলের ঐতিহ্যবাহী কাউন্সিল চেম্বারে অনুষ্ঠিত হল। এই অনুষ্ঠানের আয়োজক ইউনাইটেড নেশন লুটন শাখা ও পূর্বাচল-দ্য ইস্টার্ন স্কাই সাংস্কৃতিক সংস্থা। অনুষ্ঠানের মুখ্য আহ্বায়ক ছিলেন রানির দেওয়া ওবিই ডিএল সম্মানে ভূষিত ইংল্যান্ডের খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব ড. নাজিয়া খানম। রানিকে নিয়ে এই ঐতিহাসিক গানের গীতিকার হলেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব ও অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল হক। গানটি নিজের সুরে গেয়েছেন কলকাতার সংগীত শিল্পী সৌম্যেন অধিকারী।

লুটন টাউন হলে সেদিন বসেছিল যেন চাঁদের হাট। মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল এই অনবদ্য গানটি রাজ প্রতিনিধি লর্ড লেফটেন্যান্ট অফ বেডফোর্ডশায়ার সুজান লোসাডার মাধ্যমে ইংল্যান্ডের রাজা চার্লসের কাছে পৌঁছে দেওয়া। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন লুটনের মেয়র কাউন্সিলর তাহমিনা সালীম, হাই শেরিফ অফ বেডফোর্ডশায়ার বাভ শাহ্ ও ইউনাইটেড নেশন লুটন শাখার সম্পাদক ডেভিড চীজম্যান। অনুষ্ঠানের সূচনা হয় ইউনাইটেড নেশন লুটন শাখা এবং পূর্বাচল-দ্য ইস্টার্ন স্কাই এর চেয়ারপারসন ড. নাজিয়া খানমের স্বাগত ভাষণের মাধ্যমে। তিনি বলেন এই গানে রানির পৃথিবীময় শান্তির বাণী প্রচারের কথা বলা হয়েছে।

গানটির ভিডিও দেখার পর উপস্থিত অতিথিরা তাঁদের অনুভূতির কথা জানান। রাজ প্রতিনিধি সুজান লোসাডা উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে গীতিকার ও সুরকারকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন এই গান তিনি সম্মানীয় রাজার কাছে সযত্নে পৌঁছে দেবেন। এই গানে ব্রিটেন-বাংলাদেশ-ভারতের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের কথা লুটন মেয়রের বক্তব্যে উঠে আসে। গানের মাঝে রানির বর্ণময় জীবনকথা প্রকাশের দিকটি হাই শেরিফের বক্তব্যেও প্রকাশ পায়। গীতিকার ড. আনোয়ার গানটি রচনার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন এবং এ গান লিখে নিজেকে ধন্য মনে করেন। সুরকার সৌম্যেন অধিকারী বলেন এই গানের কথার অভিনবত্ব তাকে সুর করতে অনুপ্রাণিত করে। এমন একটি সৃষ্টির সাথে নিজেকে জড়িয়ে রাখতে পেরে তিনি কৃতার্থ বোধ করেন।

কলকাতার প্রখ্যাত বিঠোফেন রেকর্ডস কোম্পানি এই গানটির প্রকাশক। গানের সাব টাইটেলে ড. নাজিয়া খানমের করা ইংরেজী অনুবাদ গানটিকে পৃথিবী জুড়ে রানির অনুরাগী মহলে বিশেষভাবে সমাদৃত করবে। এরপর রাজ প্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনদের গানের ডিভিডি তুলে দেন ড. আনোয়ার ও সৌম্যেন অধিকারী। সমাপনী বক্তব্যে ডেভিড চীজম্যান ইংল্যান্ড-ভারত-বাংলাদেশ এর সাংস্কৃতিক ও আন্তর্জাতিক মৈত্রীর কথা বলেন। সাংবাদিক সম্মেলনে সংবাদপত্র ও নিউজ চ্যানেলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন উপস্থিত গুণীজন। সিলভার রুমে সান্ধ্য জলযোগে রাজ প্রতিনিধি সুজান লোসাডা নিজের হাতে কেক কেটে আমাদের সকলের মনে রানির মমত্তের কথা মনে করিয়ে দেন।

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

টাওয়ার হ্যামলেটসে চালু হলো সাঁতার শেখার স্কুল ‘বি ওয়েল—সুইম ওয়েল’

প্রকাশিত :  ১৯:০৭, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

টাওয়ার হ্যামলেটসের মাইল এন্ড পার্ক লেজার সেন্টারে কাউন্সিলের লেজার সার্ভিসেস ‘বি ওয়েল’ ৪ ডিসেম্বর তাদের নতুন সাঁতার শিখন স্কুল ‘বি ওয়েল সুইম ওয়েল’ চালু করেছে। এই সুইম স্কুলের লক্ষ্য হল বাসিন্দাদের সাঁতারের ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী ও নিরাপদ করে তোলা।

সুইম ইংল্যান্ডের লার্ন টু সুইম ফ্রেমওয়ার্ক অনুসরণ করে ‘বি ওয়েল সুইম ওয়েল’। এই ফ্রেমওয়ার্ক হচ্ছে ইংল্যান্ডের জাতীয় সাঁতার প্রশিক্ষণ কাঠামো। এতে অন্তর্ভুক্তঃ
— দক্ষ ও সদ্য প্রশিক্ষিত প্রশিক্ষক।
— ছোট ছোট ক্লাস, যাতে মনোযোগ ও নির্দেশনায় বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া সম্ভব।
— সাঁতারের প্রতিটি ধাপের জন্য নির্ধারিত ক্লাস, বিশেষ করে বিশেষ শিক্ষা চাহিদা ও প্রতিবন্ধী (সেন্ড) শিক্ষার্থীদের জন্য সুনির্দিষ্ট ক্লাসের আয়োজন
— প্রতিটি ধাপের স্পষ্ট অগ্রগতি, যা একটি কাঠামোবদ্ধ শিক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে নিশ্চিত করে।
— প্রতিটি মাইলফলক উদযাপনে অফিসিয়াল সার্টিফিকেট।

৪ ডিসেম্বর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুইম ইংল্যান্ডের প্রতিনিধি জেমস প্যারামোর টাওয়ার হ্যামলেটসের সঙ্গে নতুন এই অংশীদারিত্ব এবং সাঁতারকে জীবন রক্ষাকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা হিসেবে গড়ে তোলার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

অক্টোবরে, স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর সঙ্গে একটি প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয় এই এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সুইম স্কুলের জন্য নতুন নাম ও মাসকট বাছাই করা হয়।

মে ফ্লাওয়ার প্রাইমারি স্কুলের ইনায়াহ রহমান ডিজাইন করেছে “বাবলস দ্য বি ওয়েল ডাক,” যা বি ওয়েল সুইম স্কুলের অফিসিয়াল মাসকট হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। অপরদিকে, ওসমানী প্রাইমারি স্কুলের মুসা হোসেন তৈরি করে সুইম নিরাপত্তা সঙ্গী “অক্টোসেফ,” যা শিশুদের প্রয়োজনীয় সাঁতার নিরাপত্তা বিধি মেনে চলতে উৎসাহিত করবে।

প্রতিযোগিতার বিজয়ী ও তাদের স্কুলের প্রতিনিধিরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের সৃষ্টিশীলতার জন্য পুরস্কৃত হন।