রাজপ্রতিনিধির হাতে রানির স্মরণে প্রথম বাংলা গান l
ইংল্যান্ডের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্মরণে "সবার প্রিয় রানি যে তুমি" বাংলায় প্রকাশিত প্রথম গান নিয়ে অনুষ্ঠান ৮ই নভেম্বর ২০২৪ দুপুর ৩:৩০ লুটন টাউন হলের ঐতিহ্যবাহী কাউন্সিল চেম্বারে অনুষ্ঠিত হল। এই অনুষ্ঠানের আয়োজক ইউনাইটেড নেশন লুটন শাখা ও পূর্বাচল-দ্য ইস্টার্ন স্কাই সাংস্কৃতিক সংস্থা। অনুষ্ঠানের মুখ্য আহ্বায়ক ছিলেন রানির দেওয়া ওবিই ডিএল সম্মানে ভূষিত ইংল্যান্ডের খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব ড. নাজিয়া খানম। রানিকে নিয়ে এই ঐতিহাসিক গানের গীতিকার হলেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব ও অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল হক। গানটি নিজের সুরে গেয়েছেন কলকাতার সংগীত শিল্পী সৌম্যেন অধিকারী।
লুটন টাউন হলে সেদিন বসেছিল যেন চাঁদের হাট। মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল এই অনবদ্য গানটি রাজ প্রতিনিধি লর্ড লেফটেন্যান্ট অফ বেডফোর্ডশায়ার সুজান লোসাডার মাধ্যমে ইংল্যান্ডের রাজা চার্লসের কাছে পৌঁছে দেওয়া। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন লুটনের মেয়র কাউন্সিলর তাহমিনা সালীম, হাই শেরিফ অফ বেডফোর্ডশায়ার বাভ শাহ্ ও ইউনাইটেড নেশন লুটন শাখার সম্পাদক ডেভিড চীজম্যান। অনুষ্ঠানের সূচনা হয় ইউনাইটেড নেশন লুটন শাখা এবং পূর্বাচল-দ্য ইস্টার্ন স্কাই এর চেয়ারপারসন ড. নাজিয়া খানমের স্বাগত ভাষণের মাধ্যমে। তিনি বলেন এই গানে রানির পৃথিবীময় শান্তির বাণী প্রচারের কথা বলা হয়েছে।
গানটির ভিডিও দেখার পর উপস্থিত অতিথিরা তাঁদের অনুভূতির কথা জানান। রাজ প্রতিনিধি সুজান লোসাডা উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে গীতিকার ও সুরকারকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন এই গান তিনি সম্মানীয় রাজার কাছে সযত্নে পৌঁছে দেবেন। এই গানে ব্রিটেন-বাংলাদেশ-ভারতের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের কথা লুটন মেয়রের বক্তব্যে উঠে আসে। গানের মাঝে রানির বর্ণময় জীবনকথা প্রকাশের দিকটি হাই শেরিফের বক্তব্যেও প্রকাশ পায়। গীতিকার ড. আনোয়ার গানটি রচনার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন এবং এ গান লিখে নিজেকে ধন্য মনে করেন। সুরকার সৌম্যেন অধিকারী বলেন এই গানের কথার অভিনবত্ব তাকে সুর করতে অনুপ্রাণিত করে। এমন একটি সৃষ্টির সাথে নিজেকে জড়িয়ে রাখতে পেরে তিনি কৃতার্থ বোধ করেন।
কলকাতার প্রখ্যাত বিঠোফেন রেকর্ডস কোম্পানি এই গানটির প্রকাশক। গানের সাব টাইটেলে ড. নাজিয়া খানমের করা ইংরেজী অনুবাদ গানটিকে পৃথিবী জুড়ে রানির অনুরাগী মহলে বিশেষভাবে সমাদৃত করবে। এরপর রাজ প্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনদের গানের ডিভিডি তুলে দেন ড. আনোয়ার ও সৌম্যেন অধিকারী। সমাপনী বক্তব্যে ডেভিড চীজম্যান ইংল্যান্ড-ভারত-বাংলাদেশ এর সাংস্কৃতিক ও আন্তর্জাতিক মৈত্রীর কথা বলেন। সাংবাদিক সম্মেলনে সংবাদপত্র ও নিউজ চ্যানেলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন উপস্থিত গুণীজন। সিলভার রুমে সান্ধ্য জলযোগে রাজ প্রতিনিধি সুজান লোসাডা নিজের হাতে কেক কেটে আমাদের সকলের মনে রানির মমত্তের কথা মনে করিয়ে দেন।