img

জাতিসংঘে মার্কিন দূত হচ্ছেন ‘ইসরায়েলের বন্ধু’ স্টেফানিক

প্রকাশিত :  ০৬:৫০, ১২ নভেম্বর ২০২৪

জাতিসংঘে মার্কিন দূত হচ্ছেন ‘ইসরায়েলের বন্ধু’ স্টেফানিক

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য এলিস স্টেফানিককে বেছে নিয়েছেন। হোয়াইট হাউসের ‘চিফ অব স্টাফ’ পদে সুসি ওয়াইলসকে নিয়োগ দেওয়ার পর দ্বিতীয় নিয়োগেও একজন নারীকে বেছে নিলেন ট্রাম্প। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

এলিস স্টেফিনিককে জাতিসংঘে মার্কিন দূত হিসেবে নিয়োগের ঘোষণা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমার পরবর্তী প্রশাসনে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত হিসেবে কংগ্রেস সদস্য এলিস স্টেফানিককে মনোনয়ন দিতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি। এলিস একজন অবিশ্বাস্যভাবে শক্তিশালী, অনমনীয় এবং চৌকস আমেরিকান। তিনি প্রথমসারির যোদ্ধা।’

৪০ বছর বয়সী রিপাবলিকান এলিস স্টেফানিক ‘ইসরায়েলের বন্ধু’ হিসেবে পরিচিত। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসে সদস্য। রিপাবলিকানরা মনে করছেন, স্টেফানিককে জাতিসংঘের জন্য বেছে নিয়ে ট্রাম্প অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এদিকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএএন বলছে, নিজ দেশে স্টেফানিক ট্রাম্পের একজন কট্টর সমর্থক হিসেবে পরিচিত। ২০১৯ সালে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসনের সময় তিনি ট্রাম্পের পক্ষে লড়াকু ভূমিকা রেখেছিলেন। তখন ট্রাম্প তাঁকে ‘রিপাবলিকান স্টার’ বলে অভিহিত করেছিলেন। এ ছাড়া ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প পরাজিত হওয়ার পর তিনি বাইডেনের জয়কে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং ট্রাম্পের মিথ্যা দাবিগুলো প্রচার করেছিলেন।

সোমবার (১১ নভেম্বর) স্টেফানিককে নিয়োগের পাশাপাশি আমেরিকার সীমান্ত নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান হিসবে টম হোমাননেকে নিয়োগের ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফরে জয়ী হয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে টেলিফোনে অভিনন্দন জানিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসও ট্রাম্পের জয় মেনে নিয়েছেন।


img

অনাস্থা ভোটে ফরাসি সরকারের পতন, রাজনৈতিক সংকট আরও গভীর ...

প্রকাশিত :  ০৫:৫৫, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ারের পতন হয়েছে দায়িত্ব গ্রহণের তিন মাসের মধ্যে । দেশটির আইন প্রণেতাদের অনাস্থা ভোটের মুখে তাকে দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হচ্ছে।

বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির আইনপ্রণেতারা তার বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট দিয়েছেন। মাত্র তিন মাস আগে তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। ১৯৬২ সালের পর থেকে প্রথমবারের মতো দেশটিতে অনাস্থা ভোটে সরকারের পতন হয়েছে।

ফ্রান্সে বাজেট পাস নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই রাজনৈতিক অচলাবস্থার তৈরি হয়েছিল। এ নিয়ে বার্নিয়ার সরকার বেশ চাপে ছিলেন। পরে এ সংকট আরও তীব্র হলে দেশটির উগ্র ডানপন্থি ও বামপন্থি বিরোধী আইনপ্রণেতারা সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। প্রস্তাবটি ৩৩১ ভোটে পাস হয়।

আইনপ্রণেতাদের ভোটের পর পার্লামেন্টের স্পিকার ইয়েল বারুন পিভেট বলেন, বার্নিয়ারকে এখন প্রসিডেন্টের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। এ সময় তিনি এ সেশনের সমাপ্তির ঘোষণা দেন।

ফরাসি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। ১৯৫৮ সালে ফ্রান্সের পঞ্চম প্রজাতন্ত্র শুরুর পর এটি হতে যাচ্ছে দেশটির সবচেয়ে কম মেয়াদি সরকার।

ভোটের আগে বার্নিয়ার বলেন, অনাস্থা প্রস্তাবের দ্বারা বাজেটের এই ঘাটতির সমস্যা সমাধান হবে না। পরবর্তী সরকারের জন্যও বিষয়টি সমস্যারই কারণ হবে।

সবশেষ ১৯৬২ সালে জর্জ পমপিডুর সরকার ফ্রান্সে অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়েছিল। এরপর আর কোনো সরকার অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়নি। এরপর বার্নিয়ারের সরকার প্রথমবারের মতো অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়েছে।

এর আগে গত জুন মাসে আগাম নির্বাচন দেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। এরপর ঝুলন্ত পার্লামেন্ট ও বর্তমানের এ সংকটের সূচনা হয়। আজ দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ভাষণ দেবেন তিনি।