img

পার্লামেন্টে ক্ষমা চাইলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত :  ০৮:০০, ১২ নভেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৮:০৬, ১২ নভেম্বর ২০২৪

পার্লামেন্টে ক্ষমা চাইলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লুকসন পার্লামেন্টে ক্ষমা চেয়েছেন। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) তিনি ক্ষমা চেয়েছেন বলে জার্মান সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে নিশ্চিত করা হয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্ট কানায় কানায় ভর্তি ছিল। গ্যালারিতে বসেছিলেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ। যাদের অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করেছেন, আশ্রয়হীন হয়ে অথবা মানসিক সহায়তার প্রয়োজনে রাষ্ট্র বা চার্চের কাছে সাহায্য চাইতে গিয়ে তারা হেনস্থার শিকার হয়েছেন। তাদের উপর অত্যাচার হয়েছে।

নিউজিল্যান্ডের সরকার এই অভিযোগ নিয়ে একটি কমিশন গঠন করেছিল। কমিশনের রিপোর্টে ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে। 

বলা হয়েছে, প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন অত্যাচার বা হেনস্থার শিকার হয়েছেন। এরপরেই পার্লামেন্টে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় এবং প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লুকসন নিজের এবং সাবেক সরকারের তরফ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। 

তিনি বলেছেন, এমন ঘটনা যাতে আর কখনো না ঘটে, সেই দিকে নজর দেওয়া হবে। যে ঘটনা ঘটেছে, তার তদন্ত হবে। 

ডয়চে ভেলে বলছে, যারা এই অভিযোগ করেছিলেন, তাদের অধিকাংশই নিউজিল্যান্ডের জনজাতি গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। ১৯৫০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করেছে কমিশন।

তাতে বলা হয়েছে, অন্তত ছয় লাখ ৫০ হাজার মানুষ অত্যাচার এবং হেনস্থার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে প্রচুর শিশু আছে। মানসিকভাবে, শারীরিকভাবে তাতে উপর অত্যাচার হয়েছে। বহু শিশু সরাসরি যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো, সরকারি এবং চার্চের প্রতিষ্ঠানে এই ঘটনা ঘটার ফলে তারা সরাসরি অভিযোগ জানাতেও পারেনি সব সময়।

কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়, বহু শিশুকে সম্পূর্ণ অকারণে তাদের মায়েদের থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে জোর করে। শিশুদের অন্য লোকের কাছে দত্তক হিসেবে পাঠানো হয়েছে। শিশু এবং নারীদের উপর যৌন নির্যাতনের পাশাপাশি ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়েছে।

কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়, মূলত বর্ণবাদের কারণেই এই অত্যাচার চালানো হয়েছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের মাওরি জনজাতির মানুষ।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, কমিশনের এই রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দোষীদের চিহ্নিত করা হবে এবং ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা আর কখনো না ঘটে, তার ব্যবস্থা করা হবে। 


img

ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা, নিহত ২৪

প্রকাশিত :  ০৬:৫৬, ১৬ মার্চ ২০২৫

ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে বড় পরিসরে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে ২৪ জন নিহত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৫ মার্চ) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশনা অনুসারে এ হামলা চালানো হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে পুনরায় জাহাজে হামলা শুরু করায় যুক্তরাষ্ট্র এ পদক্ষেপ নিল। খবর রয়টার্সের।

ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর হুতিদের ওপর চালানো যুক্তরাষ্ট্রের এটাই সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান। এমন এক সময়ে এই হামলা শুরু হলো, যখন নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়ে তেহরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসতে বাধ্য করতে চেষ্টা করছে ওয়াশিংটন।

ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে হুতিদের সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে বলেন, তোমাদের সময় শেষ, আজ থেকে অবশ্যই হামলা বন্ধ করতে হবে। যদি তোমরা এটা না করো তাহলে তোমাদের নরকের বৃষ্টি নেমে আসবে। যা আগে কখনও দেখনি।

হুতি পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইয়েমেনের রাজধানী সানাতে মার্কিন হামলায় ১৩ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৯ জন। এছাড়া ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য সাদে মার্কিন হামলায় শিশু ও নারীসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন। হুতি পরিচালিত আল মারিশাহ টেলিভিশনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

হুতি রাজনৈতিক ব্যুরো যুক্তরাষ্ট্রের হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে মন্তব্য করেছে। এক বিবৃতিতে হুতি জানায়, আমাদের ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী উসকানিকে উসকানি দিয়ে জবাব দিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

আব্দুল্লাহ ইয়াহিয়া নামের এক বাসিন্দা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। হামলার কারণে পুরো মহল্লা ভূমিকম্পের মতো কেঁপেছে। এতে করে আমাদের নারী ও শিশুরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে।