img

যে চা পানে ইমিউনিটি বাড়বে, সারবে সর্দি-কাশি

প্রকাশিত :  ০৮:১১, ১২ নভেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৮:৩০, ১২ নভেম্বর ২০২৪

যে চা পানে ইমিউনিটি বাড়বে, সারবে সর্দি-কাশি

হেমন্তে দেশের নানা এলাকায় ভোরের দিকে এবং বিকেলে ঠান্ডা বাতাস বইতে শুরু করে, দিনের দৈর্ঘ্য ছোট হয়ে আসে। কার্তিকের বাতাসে থাকে শীতের আগমনী সুর। রাজধানী ঢাকাতে এখন দিনের বেলা বেশ গরম পড়লেও সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। আবহাওয়ার এমন তারতম্যে এখন ছোট-বড় সবাই কমবেশি সর্দি-কাশি-গলাব্যথায় ভুগছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফ্লু ও বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে বাঁচতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। আর এজন্য অবশ্যই সঠিক ডায়েট অনুসরণ করতে হবে।

ঠান্ডা ও ফ্লুর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ইমিউনিটি ডায়েট বেশ কার্যকরী। এক্ষেত্রে রান্নাঘরের বেশ কিছু ভেষজ উপাদানে ভরসা রাখাব যেতে পারে। তেমনই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দুর্দান্ত দুটি ঘরোয়া উপাদান হলো দারুচিনি ও মধু। এই দুই উপাদানে তৈরি চা ইমিউনিটি বুস্টার হিসেবে কাজ করবে।

মধুতে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও এনজাইম যা শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ করতে সাহায্য করে। এটি অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যসম্পন্নও বটে, যা শরীর থেকে সংক্রমণ ও ক্ষতিকারক কোষগুলোকে দূরে রাখতে সহায়তা করে। একইভাবে দারুচিনি হালকা অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করতে ও শরীরকে মেরামত করে সহজেই।

একই সঙ্গে মধু ও দারুচিনি অ্যালার্জির বিরুদ্ধে লড়াই করতে ও শরীরের ক্ষত সারাতে দুর্দান্ত কাজ করে। এছাড়া মধু ও দারুচিনি উভয়ই প্রদাহ বিরোধী, এছাড়া অ্যালার্জির বিরুদ্ধে লড়াই করে ও আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ের জন্যও একটি দুর্দান্ত সমন্বয়।

দারুচিনি-মধু চা তৈরি করা যায় সহজ কিছু উপকরণ দিয়ে। সবচেয়ে ভালো ফলাফলের জন্য এটি সকালে খালি পেটে পান করতে হবে। চায়ের জন্য লাগবে দারুচিনি গুঁড়া ১/৪ চা চামচ, মধু ১ চা চামচ আর পানি ১ কাপ।

চা বানাতে প্রথমে পানি ফুটিয়ে তার মধ্যে দারুচিনি গুঁড়া ভালো করে মেশাতে হবে। ২-৩ মিনিট ফুটিয়ে তারপর একটি মগে ঢেলে এতে মধু মিশিয়ে তা চায়ের মতো পান করতে হবে। সর্দি-কাশিসহ গলাব্যথা সারাতেও দুর্দান্ত কাজ করে এই চা।

ঘরোয়া উপায়েও যদি সর্দি-কাশি না সারে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আর দারুচিনি বা মধুর কোনো এক উপকরণেও যদি কারও অ্যালার্জি থাকে, তাহলে এই চা পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।


img

ভুলে যাওয়ার সমস্যা বাড়ে যেসব অভ্যাসে

প্রকাশিত :  ০৫:৩৭, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

বাসার চাবি কোথায় রেখেছেন তা মনে না পড়া কিংবা বাজার থেকে কী কী কিনতে হবে তা হুট করে ভুলে যাওয়ার সমস্যায় ইদানীং অনেকেই ভুগছেন। এমনটা যে বয়স্কদের হচ্ছে তা নয়। অনেক কম বয়সীদের মধ্যেও এ ধরনের ভুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা যাচ্ছে। হুট করে সবকিছু গুলিয়ে যাওয়া, প্রয়োজনীয় জিনিস আনতে ভুলে যাওয়া কিংবা পছন্দের মানুষের জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকীর তারিখ ইত্যাদি ভুলে যাওয়া খুব সাধারণ ঘটনা নয়। চলার পথে হুট করে কিছু মনে না রাখত্রে পারলে খানিকটা পিছিয়ে পড়তে হয়। কখনো কখনো অন্যদের সামনে বেশ অস্বস্তিতেও পড়তে হয়।

কিন্তু কেন এমন হচ্ছে? গবেষকরা বলছেন, প্রতিদিনের কিছু অভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে ব্যাহত করছে। দিনের পর দিন একই অভ্যাসের কারণে মস্তিষ্কের ক্ষতি হচ্ছে। 

উচ্চস্বরে গান শোনা: গান শোনা খুব ভালো একটি অভ্যাস। গান শুনলে মস্তিষ্ক শীতল হয়। দুশ্চিন্তা দূর হয়। কিন্তু কানে হেডফোন গুঁজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা উচ্চস্বরে গান শুনলে মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি হয়। টানা ৩০ মিনিট অতি উচ্চমাত্রার শব্দ শুনতে থাকলে শ্রবণশক্তি সম্পূর্ণ রূপে লোপ পেতে পারে। শ্রবণশক্তি লোপ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তিও লোপ পেতে পারে। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের টিস্যু নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম: অতিরিক্ত ‘স্ক্রিন টাইম’ও মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। অফিসে সারা ক্ষণ কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের সামনে মুখ গুঁজে বসে থাকা, সারাক্ষণ ফোন স্ক্রল করা, স্ক্রিনে গেমস খেলা, ওয়েব সিরিজ দেখা ইত্যাদি কাজগুলো করলে দিনের অধিকাংশ সময় স্ক্রিনে চোখ থাকে। এতে চোখের যেমন  ক্ষতি হয়, মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও কমে যায়। এতে মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে অচল হয়ে পড়ে।

অন্ধকারে থাকা: কেউ কেউ অন্ধকারে থাকতে ভালোবাসেন। দীর্ঘ সময় অন্ধকারে থাকার অভ্যাস মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। এই অভ্যাস মনে বিষণ্ণতা তৈরি করে। আর বিষণ্ণতা মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে ধীর করে দেয়। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা সঠিক রাখতে প্রাকৃতিক আলোতে থাকতে হবে। সূর্যের আলোতে সময় কাটাতে হবে। এতে মেজাজ ভাল থাকে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও বাড়ে।

একা থাকার অভ্যাস: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢুঁ মারলে অনেক বন্ধু পাওয়া যায়। কিন্তু ভার্চুয়াল বন্ধুরা কাছের হয় না। এখন বেশিরভাগ মানুষ ভেতর থেকে একা হয়ে যাচ্ছেন। অনেকেই ভীড়-আড্ডা-অনুষ্ঠানে যেতে চান না। পারিবারিক অনুষ্ঠান হোক কিংবা অফিসের পার্টি— সব কিছুই এড়িয়ে চলতে চান। অর্থাৎ নিজের মতো একা থাকতে চান। একা থাকার অভ্যাসও কিন্তু মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, যাঁরা কাছের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন, তাঁরা অন্যদের তুলনায় হাসিখুশি ও কর্মদক্ষ হন। তাঁদের স্মৃতিশক্তিও অন্যদের তুলনায় বেশি হয়।

অধিক পরিমাণে চিনি খাওয়া: অতিরিক্ত চিনি ও চিনি জাতীয় খাবার খাওয়াও মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। আবার বার্গার, ভাজাপোড়া খাবার, আলুর চিপ্স বা কোমল পানীয়ের মতো খাবার স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার জন্য দায়ী। তাই এসব খাবারের বদলে খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজি, ফল ও বাদামজাতীয় খাবার রাখতে হবে।