img

রোবটের আঁকা ছবির দাম ১৫ কোটি টাকা

প্রকাশিত :  ০৯:১৪, ১২ নভেম্বর ২০২৪

রোবটের আঁকা ছবির দাম ১৫ কোটি টাকা

মানুষ নিয়ন্ত্রিত একটি যন্ত্র রোবট। তার ভাবনাচিন্তা সবই অঙ্কে বাঁধা। কিন্তু শিল্প তো অঙ্ক নয়। রং-তুলি-ক্যানভাসে ছাড়াও তার নেপথ্য থাকে ভাবনা, কিছু আবেগ, অভিজ্ঞতা, আর কিছু মনন। তবেই গিয়ে রং-তুলি মিলেমিশে ছবি ফোটায় ক্যানভাসে। শিল্পে তাই এত দিন আবেগ আর ভাবনাপ্রবণ মানুষেরই আধিপত্য ছিল। কিন্তু সেই ধারণায় সম্প্রতি ধাক্কা দিয়েছে এক যন্ত্রমানব শিল্পী। নাম ‘এআই-ডিএ’। রং-তুলির টানে সে ক্যানভাসে এঁকে ফেলেছে একটি সম্পূর্ণ ছবি। সেই ছবি নিলামে বিক্রিও হয়েছে ১৩ লক্ষ ২০ হাজার মার্কিন ডলারে। যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১৫ কোটি টাকা।

এই প্রথম কোনও মানুষের মতো দেখতে রোবট বা হিউম্যানয়েড ছবি আঁকল। তবে সে ছবি কেউ অত দাম দিয়ে কিনতে পারে, তা আন্দাজও করতে পারেনি লন্ডনের নিলামঘর সদবি। সাড়ে ৭ ফুটের লম্বাটে ক্যানভাসে আঁকা ছবিটি তারা রেখেছিল সদবির ডিজিটাল আর্ট সেলে। কর্তৃপক্ষ ভেবেছিলেন, ওই ছবির দাম ২ লক্ষ ডলারও ছুঁতে পারবে না। খুব বেশি হলে দাম উঠতে পারে ১ লক্ষ ৮০ হাজার ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা দেড় কোটি টাকার আশপাশে। কিন্তু নিলাম শুরু হওয়ার পরে দেখা যায় রোবটের শিল্পীর আঁকা ছবি রেকর্ড ভেঙে ১১ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। দেখে চমকে গিয়েছেন সদবি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কী এমন ছিল সেই ছবিতে? ক্যানভাসে কী এঁকেছিল শিল্পী রোবট?

সদবি কর্তৃপক্ষ সেই ছবি প্রকাশ করেছেন। গাঢ় খয়েরি রঙের ক্যানভাসে ফুটে উঠেছে একটি মুখাবয়ব। তবে সেই মুখাবয়ব সম্পূর্ণ নয়। ছবিটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘এআই গড’। যার বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায় ‘কৃত্রিম মেধার ঈশ্বর’। ছবিটি অবশ্য রক্ত-মাংসের মানুষেরই। একজন প্রখ্যাত গণিতজ্ঞ অ্যালান টিউরিং। ১৯৫০ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ওই গণিতজ্ঞ সাড়া ফেলেছিলেন নাৎসিদের পাঠানো সাঙ্কেতিক বার্তার মর্মার্থ উদ্ধার করে।

বলা হয়, টিউরিংয়ের ওই পদ্ধতিই নাৎসি এবং তার বন্ধু দেশগুলিকে হারিয়ে প্রতিপক্ষ দেশগুলিকে জিততে সাহায্য করেছিল। পরে টিউরিংয়ের হাত ধরেই কৃত্রিম মেধার সূচনা হয়। টিউরিংকে তাই বলা হয়, কৃত্রিম মেধার জনক। আবার এই টিউরিংই কৃত্রিম মেধার অপব্যবহার নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। হিউম্যানয়েড বা মানুষ সদৃশ রোবট ‘এআই ডিএ’ তার প্রথম শিল্প উৎসর্গ করেছে টিউরিংকেই।

ছবিতে দেখা টিউরিংয়ের মুখের বিভিন্ন অংশ ভেঙেচুড়ে এক বিমূর্ত শিল্প তৈরি করেছে শিল্পী রোবট। ছবির ব্যাখ্যা করতে বসে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ‘টিউরিং কৃত্রিম মেধাকে সামলানোর ক্ষেত্রে যে সমস্যার কথা শুনিয়েছিলেন, ওই ছবি সে সমস্যারই প্রতিফলন।’

তবে ‘এআই-ডিএ’ ওই ছবি তার ‘টিম’-এর সঙ্গে আলোচনার পরে এঁকেছে বলে জানিয়েছে সদবি। তারা বলেছেন, আঁকার আগে এআই-ডিএ টিমের সকলের সঙ্গে আলোচনা করেছিল কৃত্রিম মেধাকে ভাল কাজে ব্যবহার করার বিষয়ে। তার পরেই ওই ছবি আঁকে সে। জানা যায়, এআই-ডিএ হল বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক এবং অতি বাস্তববাদী যন্ত্রমানব।

img

সিজনাল ফ্লু থেকে বাঁচতে যা খাবেন

প্রকাশিত :  ০৯:৫২, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:৫৫, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪

ঠাণ্ডা আর গরমের মিশ্র আবহাওয়ায় সহজেই ঠান্ডা লেগে যেতে পারে অথবা সিজনাল ফ্লু হতে পারে। এছাড়াও আর্দ্র বাতাসে ভেসে থাকতে পারে নানারকম জীবাণু। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু খাবার ও পানীয়ের সম্পর্কে যা সহজেই মুক্তি দিতে পারে এ সমস্যা থেকে। 

তুলসি 

চা,বিভিন্ন পানীয় ও সালাদে তুলসী পাতা যোগ করে সহজেই ঠান্ডার সমস্যায় আরাম পাওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে খালি পেটে তুলসীর রস খুবই কার্যকরী ।

আদা

ঠাণ্ডা কাশির জন্য আরেকটি কার্যকরী উপাদান হল আদা। বিভিন্ন রান্নায় মশলা হিসেবে ব্যবহারের পাশাপাশি চায়ে আদা যোগ করে খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।

লবঙ্গ

কাশি বা গলাব্যাথার উপশমের জন্য লবঙ্গ একটি  উপকারী মশলা। 

রসুন

রসুন এন্টিঅক্সিডেন্ট সম্পন্ন হওয়ায় এটি শরীরের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত উপকারী। রসুনের আচার, মুড়ি মাখা, রসুন ভর্তা এছাড়াও অন্যান্য রেসিপিতে রসুন যোগ করার মাধ্যমে দেহে এন্টিওক্সিডেন্ট এর মাত্রা বৃদ্ধি করা যেতে পারে। 

ভিটামিন সি

দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও বিভিন্ন জীবাণুর আক্রমন থেকে মুক্ত থাকতে পর্যাপ্ত পরিমান ভিটামিন - সি জাতীয় ফল বিশেষ করে কেমিক্যাল মুক্ত দেশীয় ফল  খেতে হবে।

মধু

নাক ও শ্বাসনালীর প্রদাহ বা সংক্রমন থেকে উপশমের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক মধুর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

বিটা ক্যারোটিন

বিভিন্ন ধরনের রঙিন বিশেষ করে কমলা ও লাল রঙের ফল ও সবজিতে প্রচুর পরিমাণ বিটা ক্যারোটিন থাকে।যা আমাদের দেহে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে।এটি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ও সাধারণ ফ্লু এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।

নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার সমাধানের জন্য উপর্যুক্ত খাদ্য উপাদানগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার প্রাকৃতিক সমাধানের জন্য ধানমন্ডিস্হ আমেরিকান ওয়েলনেস সেন্টার এ ডাক্তার ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে পারেন।