‘দেশের সাফল্যের জন্য যোগ্য ও অভিজ্ঞ উপদেষ্টা চায় জনগণ’
রেজুয়ান আহম্মেদ
বাংলাদেশে সদ্য নিযুক্ত উপদেষ্টাদের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে অস্বস্তি ও অসন্তোষ ক্রমশ বাড়ছে। তাদের মতে, বর্তমানে যারা উপদেষ্টার পদে রয়েছেন, তারা দেশের প্রয়োজনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করতে পারছেন না। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জনগণ আশা করে যে, দেশের শীর্ষপদে এমন ব্যক্তিরা আসবেন, যারা শুধুমাত্র পদবির জন্য নয়, বরং যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা এবং বিচক্ষণতার বলে জাতির উন্নয়নে অবদান রাখবেন।
দেশের ক্রান্তিকালীন এই মুহূর্তে একমাত্র যোগ্য এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তিরাই সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে পারেন বলে বিশ্বাস করেন জনগণ। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই মতামত আরও জোরালো হয়েছে, যখন অর্থনৈতিক সংকট, সামাজিক অবক্ষয়, এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা আমাদের প্রত্যেককে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। সাধারণ মানুষের কাছে উপদেষ্টার পদ শুধু একটি মানসিক আশ্রয় নয়; এটি দেশের ভবিষ্যৎ গঠনের একটি প্রধান ভিত্তি। জনগণ বিশ্বাস করে, সঠিক নেতৃত্ব এবং উপদেশের মাধ্যমে দেশকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
অনেকেই মনে করেন, সদ্য নিযুক্ত উপদেষ্টারা তাদের যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতার যথার্থ প্রমাণ দিতে পারেননি। এর ফলে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্থবিরতা দেখা দিচ্ছে, এবং নীতিনির্ধারণী পদক্ষেপগুলোতে আশানুরূপ গতিশীলতা নেই। জনগণের কাছে এই উপদেষ্টারা যেন বেমানান মনে হয়। একের পর এক সমস্যার সম্মুখীন দেশটির জন্য কার্যকরী নেতৃত্ব প্রয়োজন হলেও, বর্তমান উপদেষ্টাদের পদক্ষেপ ও সিদ্ধান্তগুলো তাদের অভিজ্ঞতার অভাবকে স্পষ্ট করে তুলছে। এই অবস্থায় জনগণের মনে প্রশ্ন উঠছে, কেন এত গুরুত্বপূর্ণ পদে এমন ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেওয়া হলো, যারা কার্যত দেশের জন্য দৃশ্যমান কোনো উন্নয়নমূলক ভূমিকা রাখতে পারছেন না?
বিশ্লেষকদের মতে, জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনার ক্ষেত্রে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অভিজ্ঞ ও যোগ্য উপদেষ্টাদের পরামর্শ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এসব উপদেষ্টা সরাসরি নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলে থাকেন। আর এই কারণেই জনমনে এই পদগুলোতে যোগ্য ব্যক্তিদের অবস্থান নিশ্চিত করার দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে।
বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠছে যে, সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা কি সঠিকভাবে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম? দেশের ভবিষ্যৎ এবং উন্নয়নের স্বার্থে এই প্রশ্ন এখন জনসাধারণের মধ্যে এক ধরনের অসন্তোষের জন্ম দিচ্ছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, উপদেষ্টাদের যদি সত্যিই যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা এবং বাস্তবিক দূরদর্শিতা থাকে, তবে তারা দেশের জন্য সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান করতে পারবেন। কিন্তু বাস্তবতা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতি সেই আদর্শকে বাস্তবায়িত করতে পারছে না।
এছাড়াও, যাদেরকে উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকেরই দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে স্পষ্ট ধারণার অভাব রয়েছে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ। তাদের এই ধারণা যে, একজন উপদেষ্টা শুধু উপদেশ প্রদানকারী নন; তিনি দেশের উন্নয়নের জন্য একটি পথ প্রদর্শকও বটে। তাই তাদের দৃষ্টিতে যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা ছাড়া এই গুরু দায়িত্ব কাঁধে নেওয়া সম্ভব নয়।
সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা, শীঘ্রই দেশের নেতৃত্ব এমন কিছু উপদেষ্টা নিয়োগ করবে যারা সত্যিকার অর্থেই যোগ্য এবং বিচক্ষণ হবেন। তারা এমন কিছু ব্যক্তিত্ব দেখতে চান, যাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা দেশের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয়। তারা বিশ্বাস করেন, জাতীয় অগ্রগতির স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিতে পারে একমাত্র সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে।
জনগণ আশা করে, যোগ্য এবং অভিজ্ঞ উপদেষ্টারা দেশের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন। কারণ জাতীয় উন্নয়ন এবং প্রগতি ত্বরান্বিত করার জন্য এমন ব্যক্তিত্বদের দরকার, যারা বাস্তবজ্ঞান এবং সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে জাতির সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারবেন।
সর্বোপরি, দেশের সাফল্যের জন্য প্রয়োজন সঠিক নেতৃত্ব, যা শুধুমাত্র অভিজ্ঞ এবং যোগ্য উপদেষ্টাদের মাধ্যমেই সম্ভব।