img

যথাসময়ে মাধ্যমিকের পাঠ্যপুস্তক বিতরণে অনিশ্চয়তা

প্রকাশিত :  ০৭:১৫, ১৫ নভেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:১১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

যথাসময়ে মাধ্যমিকের পাঠ্যপুস্তক বিতরণে অনিশ্চয়তা

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান জানিয়েছেন, মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য ৩০ কোটি পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর কাজ এখনো শুরু হয়নি। এর ফলে ২০২৫ সালে মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে যথাসময়ে পাঠ্যপুস্তক বিতরণে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। অন্যদিকে প্রাথমিক স্তরের জন্য ১০ কোটি পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর কাজ পরিকল্পনামতো এগোচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, মাধ্যমিক স্তরের ১৩ কোটি পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর জন্য তহবিল অনুমোদন করা হয়েছে। আশা করছি, আগামী সপ্তাহে ছাপানোর কাজ শুরু হবে। ছাপানোর কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য আর্মি প্রিন্টিং প্রেসকে এক কোটি বই ছাপানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাঁচটি বই বিতরণের লক্ষ্য রয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা ১ জানুয়ারির মধ্যেই বইগুলো পায়। বাকী মাধ্যমিকের সব পাঠ্যপুস্তক জানুয়ারির শেষে বিতরণের চেষ্টা চালানো হবে।

তিনি আরও বলেন, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির জন্য ২০১২ সালের পাঠ্যক্রমের ভিত্তিতে সম্পাদনার কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আমরা কয়েকটি সংশোধন করেছি, যেমন জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সাথে সম্পর্কিত কিছু গ্রাফিতি অন্তর্ভুক্ত করা।

অন্যদিকে বাংলাদেশ প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি তোফায়েল খান বলেন, ৩০ কোটি বই ৪৫ দিনের মধ্যে ছাপানো অসম্ভব; কাজটি সম্পূর্ণ করতে আমাদের আরও ৩০ থেকে ৪৫ দিন সময় প্রয়োজন। পাঁচটি বই ছাপানোর অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য কিছু কাজের আদেশে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। আমরা এনসিটিবিকে আগে জানিয়েছিলাম, কিন্তু এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পাঠ্যপুস্তকের পাণ্ডুলিপি সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে আমাদের কাছে পৌঁছায়নি। আমরা এনসিটিবির সঙ্গে এক পরামর্শ সভায় আমাদের উদ্বেগগুলো জানিয়েছি এবং এতে তারা সম্মতিও দিয়েছেন।

এনসিটিবির উৎপাদন ও বিতরণ শাখার কর্মকর্তারা বলেন, এই বছর মাধ্যমিক পাঠ্যপুস্তক ৬৮০টি লটে ছাপানো হবে, যা গত বছর ছিল ৪১৭টি। এই পরিবর্তনটি বই ছাপানোর প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে এবং ২০১২ সালের পাঠ্যক্রমে ফিরে যাওয়ার কারণে দেরি হওয়ার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে করা হয়েছে। এই পরিবর্তনের ফলে খরচ প্রায় ৩০ শতাংশ বাড়বে। গত বছর ৮২টি প্রিন্টিং প্রেস ব্যবহার করা হয়েছিল, তবে এবার ১০০টি প্রেস ব্যবহৃত হবে।

এনসিটিবির বিতরণ নিয়ন্ত্রক হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, সাধারণত প্রতি বছর জুন মাসে বই ছাপানোর প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং এই বছরও তাই হয়েছে। তবে, সরকার পরিবর্তনের পর পাঠ্যক্রম সংশোধন করতে হয়েছিল। গত ১২ সেপ্টেম্বর টেন্ডার বাতিল করা হয়েছিল। তাই আমাদের হাতে খুব কম সময় আছে, কারণ আমরা আসলে একেবারে নতুন করে শুরু করছি।

৫ আগষ্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ২০২২ সালের পাঠ্যক্রম বাতিল করে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির জন্য ২০১২ সালের পাঠ্যক্রমে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়াও পাঠ্যক্রমে জুলাই-আগস্ট মাসের গণঅভ্যুত্থানের সম্পর্কিত কিছু গ্রাফিতি অন্তর্ভুক্ত করা হবে। 


শিক্ষা এর আরও খবর

img

চার দফা দাবিতে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত :  ১১:০৫, ১৪ মে ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১১:০৯, ১৪ মে ২০২৫

স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের বিভ্রান্তিকর সুপারিশের প্রতিবাদে ডিএমএফ পেশাজীবী ও ম্যাটস শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে । আজ বুধবার (১৪ মে) সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ৪ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করে সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ।

স্বাস্থ্য খাতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি (ডিএমএফ) পেশাজীবী ও ম্যাটস শিক্ষার্থীরা ২০২২ সাল থেকে তাদের পেশাগত স্বীকৃতি, উন্নয়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছেন। দীর্ঘদিনের এই আন্দোলনের মূল ভিত্তি চার দফা যৌক্তিক দাবি, যা দেশের প্রান্তিক জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

চার দফা দাবি:

১. উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদে দ্রুত নিয়োগ ও নতুন পদ সৃষ্টি।

ইতোমধ্যে ১৮৯০টি পদ প্রশাসনিকভাবে অনুমোদিত হলেও নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রয়েছে।

২ . ডিএমএফ শিক্ষার্থীদের জন্য বিএমডিসি স্বীকৃত উচ্চশিক্ষার সুযোগ চালু।

স্নাতক ও ব্রিজ কোর্সের মাধ্যমে পেশাগত উন্নয়নের পথ সুগম করা।

৩. অ্যালাইড হেলথ প্রফেশনাল বোর্ড বাতিল করে "ডিপ্লোমা মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড" গঠন।

ডিএমএফ পেশাজীবীদের স্বাতন্ত্র্য ও মর্যাদা রক্ষায় স্বতন্ত্র বোর্ডের প্রয়োজনীয়তা।

৪.ম্যাটস কোর্স ও প্রতিষ্ঠানের নাম ও কারিকুলাম যুগোপযোগী করে সংস্কার এবং বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশিপ চালু।

"মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং কোর্স" নামটি বাতিল করে "ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি (DMF)" নাম প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত করার দাবি।

ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম (সিনিয়র সমন্বয়ক, ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ) তিনি আরও বলেন, 

সচিব পর্যায়ের আলোচনা ও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি:

২২ জানুয়ারি ২০২৫ ও ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয়ের সাথে সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে উত্থাপিত দাবি-দাওয়া নিয়ে বিশদ আলোচনা শেষে কয়েকটি বিষয়ে একমত হন উভয়পক্ষ এবং "নোটস অফ

ডিসকাশন" স্বাক্ষরিত হয়।

তবে, আজ পর্যন্ত এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি।

স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের সুপারিশে ডিএমএফ পেশাজীবীদের অবমূল্যায়ন:

সাম্প্রতিক প্রকাশিত স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের প্রাথমিক খসড়া রিপোর্ট (২০২৫)-এ ডিএমএফ পেশাজীবীদের ভূমিকা ও অবদান উপেক্ষা করে বিভ্রান্তিকর সুপারিশ করা হয়েছে:

ডিএমএফ কোর্স বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে, যা প্রান্তিক জনগণের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

ম্যাটস প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা নেই।

শিক্ষা এর আরও খবর