img

ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখবে ড্রাই ফ্রুটস

প্রকাশিত :  ১৫:৪৫, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখবে ড্রাই ফ্রুটস

অল্প বয়সি মানুষের মধ্যে আজকাল রক্তচাপের মাত্রা বাড়ছে। অপেক্ষাকৃত ২০ থেকে ৪০ বছরের কমেও এটি হতে পারে। দেশের অল্প বয়সী জনগোষ্ঠীর প্রায় ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। তাদের মধ্যে ১৭ শতাংশ পুরুষ আর ৯ শতাংশ নারী। 

অল্প বয়সে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ার পেছনে তরুণ প্রজন্মের কিছু বদভ্যাস দায়ী। অতি লবণযুক্ত ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ, ওজন বৃদ্ধি ও কায়িক শ্রমের অভাব অল্পবয়সী মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই তরুণদের ৬৮ শতাংশের উচ্চ রক্তচাপের কোনো উপসর্গ নেই।

রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া মানেই নানা রোগের ঝুঁকি বাড়তে থাকা। তাই রক্তচাপের মাত্রা বশে রাখা জরুরি। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রেণে রাখতে অনেকেই নানা নিয়ম মেনে চলেন। জানেন কী ড্রাইফ্রুটস রক্তচাপের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা যেসব ড্রাই ফ্রুটস খেতে পারবেন: 

কাঠবাদাম

কাঠবাদামে যেসব উপাদান রয়েছে যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ‘জার্নাল অফ নিউট্রিশন’-এ প্রকাশিত গবেষণা জানাচ্ছে, কাঠবাদাম রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া কাঠবাদামে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম যা রক্ত চলাচল সচল রাখে।

আখরোট

হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আখরোট ভীষণ কার্যকরী। এতে রয়েছে ওমেগা ৩ যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। রক্তচাপ বেড়ে গেলে আখরোট ওষুধের মতো কাজ করে। আখরোটে থাকায় ‘আলফা লিনোলেনিক’ এসিড প্রদাহজনিত সমস্যার সমাধান করে।

কিশমিশ

ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের কিশমিশ বারণ হলেও উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা চাইলে কিশমিশ খেতে পারেন। ‘আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিয়োলজি’-র সমীক্ষা জানাচ্ছে, দিনে তিনবার কিশমিশ খেলে কমবে রক্তচাপের মাত্রা।

পেস্তা

পেস্তা দারুণ একটি ড্রাই ফ্রুটস। উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ হিসেবে এর জুড়ি মেলা ভার। পেস্তা ‘সিস্টোলিক’ উচ্চ রক্তচাপ কমায়। পেস্তায় রয়েছে পটাশিয়াম যা হৃদয় সুরক্ষিত রাখে।


img

মস্তিষ্ক দীর্ঘদিন সতেজ ও সক্রিয় রাখে যেসব ফল

প্রকাশিত :  ০৬:২৪, ০৫ মে ২০২৫

স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে বা মনোযোগ বাড়াতে প্রতিদিনের খাবারে ড্রাই ফ্রুটস রাখলে মস্তিষ্ক দীর্ঘদিন সতেজ ও সক্রিয় থাকবে বলে জানান পুষ্টিবিদরা। তবে অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। এতে অপকারও হতে পারে। যেসব ড্রাই ফ্রুটস নিয়মিত খেলে স্মৃতিশক্তি প্রখর থাকবে।

আখরোট

ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ আখরোট স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। সকালে একটি আখরোট খেলে উপকার পাওয়া যায়। চাইলে আগের রাতে ভিজিয়ে রাখতে পারেন।

আমন্ড বা কাঠবাদাম

ভিটামিন ই সমৃদ্ধ আমন্ড মস্তিষ্ককে অক্সিডেটিভ মানসিক চাপ থেকে রক্ষা করে। প্রতিদিন সকালে ২–৩টি ভেজানো আমন্ড খাওয়া সবচেয়ে উপকারি।

কাজুবাদাম

ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ কাজু মনোযোগ বাড়ায়। তবে এটি অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়তে পারে, তাই দিনে ২–৩টির বেশি খাওয়া উচিত নয়। লবণ দেওয়া কাজু না খাওয়াই ভালো।

পেস্তা

পেস্তা খেলে মস্তিষ্ক সজাগ থাকে। হালকা গরম দুধের সঙ্গে পেস্তা গুঁড়া মিশিয়ে খেলে আরও ভালো ফল মিলতে পারে।

কিশমিশ

কিশমিশ সরাসরি খাওয়া বা কিশমিশ ভেজানো পানি পান করলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে।

ডুমুর

শুকনো বা ভেজানো ডুমুর খেলে মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে ও দীর্ঘ সময় সক্রিয় থাকে।

বিশেষ পরামর্শ: উপরের যেকোনো খাদ্য নিয়মিত খাওয়ার আগে চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া ভালো।