img

`শেখ হাসিনার গুম ও গণহত্যার রাজনীতি’ শীর্ষক বইটি পাঠক মহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হবে'

প্রকাশিত :  ১২:০৮, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:২২, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

`শেখ হাসিনার গুম ও গণহত্যার রাজনীতি’ শীর্ষক বইটি পাঠক মহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হবে'

 হুমায়ুন কবির বুলবুল

ফ্যাসিবাদের অন্যতম বৈশিষ্ট্যই হল গুম,খুন ও গণহত্যা। এসবের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করা হয়। ভয়ে মুখ খোলে না জনগণ। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাও ছিল না তার ব্যতিক্রম।

২০০৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসার পর জনপ্রিয় বিএনপি নেতা চৌধুরী আলমকে গুমের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের পথে যাত্রা শুরু করে আওয়ামী লীগ। তারপর থেকে গত ১৬ বছরে হাজার হাজার মানুষ খুন ও গুমের স্বীকার হয়েছে। সবশেষ গত জুলাই-আগস্টে পাক বাহিনীর আদলে চালানো হয় ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যা।হাজার হাজার শহীদ ও পঙ্গুত্ব বরনকারীদের রক্তে রঞ্জিত হয় সারা দেশ।

ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার খুন,গুম ও গণহত্যার রাজনীতিকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান। দৈনিক আমার দেশের পাতায় তুলে ধরেছেন অনেক সচিত্র প্রতিবেদন। এক পর্যায়ে নিজেই পরিণত হয়েছেন স্বৈরাচারের টার্গেটে। জেল-জুলুম সহ্য করে অবশেষে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন ২০১২ তে। তবে নির্বাসিত জীবনেও থেমে থাকেনি অলিউল্লাহ নোমানের কলম। দীর্ঘ ১৬ বছরের বিরোধী দলমতের ওপর সীমাহীন নিপীড়ন ও নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেছেন তার সদ্য প্রকাশিত "শেখ হাসিনার গুম ও গণহত্যার রাজনীতি"  শীর্ষক গ্রন্থে। ছাত্র, ]জনতা ও রাজনৈতিক শক্তির সফল বিপ্লবের পর এটিই  এ ধরনের প্রথম বই।

অলিউল্লাহ নোমান তার বইটিকে প্রধানত নিচের ৬ টি অধ্যায়ে বিন্যস্ত করেছেন:

১. গুম ও টার্গেট কিলিংয়ের ঘটনা: বইটির প্রথম পর্বে লেখক তুলে ধরেছেন অর্ধ শতাধিক খুন ও গুমের ঘটনা, যেখানে ভিন্ন মতের কারণে সরকার দলীয় নেতা-কর্মীরাও রক্ষা পায় নি। বিশেষত, এ পর্যায়ে আওয়ামী দুঃশাসনের ১৬ বছরে একের পর এক গুম ও ক্রসফায়ারের নামে টার্গেট কিলিংয়ের হৃদয় বিধারক ঘটনাসমূহের করুন চিত্র ফুটে ওঠেছে।

২. পিলখানা গণহত্যা: ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানাস্থ বিডিআর সদর দপ্তরের মর্মন্তুদ গণহত্যার বিষাদময় বিবরণ দেয়া হয়েছে।
৩. শাপলা চত্বরের গণহত্যা: ২০১৩ সালে রাতের অন্ধকারে হেফাজতে ইসসলামের নেতা-কর্মীদের ওপর পরিচালিত বর্বর গণহত্যার ঘটনাচিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
৪. মোদি-বিরোধী বিক্ষোভে গণহত্যা: স্বাধীনতার রজতজয়ন্তিতে গুজরাটের কসাই খ্যাত নরেন্দ্র মোদীকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে চালানো গণহত্যাার বিবরণ দেয়া হয়েছে।
৫. আল্লামা সাঈদীর মামলার রায়ের পর গণহত্যা: হাসিনার প্রহসনের আদালতে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ফাঁসির আদেশ দেয়ার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে রক্তাক্ত গণহত্যার সচিত্র বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে।
৬. জুলাই-আগস্ট ২০২৪ এর গণহত্যা: খুনী হাসিনার আমলে সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে চালানো হয় একাত্তরে পাক হানাদার বাহিনীর আদলে নৃশংসতম গণহত্যা, যার শিকার হন গণঅভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতা। হাজারো শহীদ ও পঙ্গুত¦ বরণকারীদের রক্তের দাগ যেন এখনো শুকায় নি। এ বিষয়গুলো নিয়ে অজানা তথ্য বইটিতে একজন সত্যনিষ্ঠ ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকের লেখনিতে উঠে এসেছে।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস, উন্নততর মূদ্রণ, আকর্ষণীয় প্রচ্ছদ এবং সহজ ও সাবলীল ভাষায় প্রকাশিত নতুন এ গ্রন্থটি পাঠক মহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হবে।


বইটি প্রকাশ করেছে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান: স্বাধীন বাংলা প্রকাশ, ৩৪ নর্থব্রুক হল রোড, বাংলাবাজার, ঢাকা। মোবাইল: 01790-893399

অনলাইন পরিবেশনা: বঙ্গমেলা https://www.facebook.com/bongomela.combd 

 https://www.facebook.com/share/p/14SwS8kT7K/ 




 হুমায়ুন কবির বুলবুল: বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এবং সাবেক ডেপুটি এটর্নী জেনারেল।

প্রাক্তন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার, `দৈনিক ইত্তেফাক' ও `The New Nation'.

অধুনালুপ্ত `দৈনিক বাংলা'র সাবেক সুপ্রীম কোর্ট রিপোর্টার।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যG

img

বিয়ানীবাজারে গায়ে আগুন লাগিয়ে যুবকের আত্মহত্যা

প্রকাশিত :  ১৮:৩০, ১৫ মার্চ ২০২৫

সিলেটের বিয়ানীবাজারে গায়ে আগুন লাগিয়ে আফজল হোসেন (২৪) নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। তিনি উপজেলার কুড়ারবাজার ইউনিয়নের উত্তর আকাখাজনা গ্রামের ছরফর আলীর ছেলে। শনিবার ভোরে ঢাকায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

নিহতের স্বজনরা জানান, নিহত যুবক  ৩-৪ বছর পুর্বেও তিনি আরেকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। শুক্রবার দিনের দোকান থেকে পেট্রোল কিনে নিয়ে লুকিয়ে রাখেন আফজল। রাতের কোন এক সময় নিজ গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন তিনি। পরিবারের লোকজন তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তবে রাস্তায় তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। ৫ ভাইবোনের মধ্যে আফজল ছিলেন ৩য়।

বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফ উজ্জামান বলেন, বিষয়টির খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।