img

নিষিদ্ধ হচ্ছে সিঙ্গেলব্যান্ড রাউটার, ডুয়াল বা ট্রাইব্যান্ড বাধ্যতামূলক

প্রকাশিত :  ০৮:০২, ২১ নভেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৮:৫০, ২১ নভেম্বর ২০২৪

নিষিদ্ধ হচ্ছে সিঙ্গেলব্যান্ড রাউটার, ডুয়াল বা ট্রাইব্যান্ড বাধ্যতামূলক

ওয়াই-ফাই রাউটার বাসা কিংবা অফিসে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য একটি অত্যাবশ্যকীয় ডিভাইস। দেশের বাজারে এখন সিঙ্গেল, ডুয়াল বা ট্রাই-ব্যান্ডের বিভিন্ন মডেলের রাউটার পাওয়া যায়। তবে শীঘ্রই নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে সিঙ্গেল ব্যান্ডের সকল রাউটার, ব্যবহার করা যাবে শুধু ডুয়াল বা ট্রাই-ব্যান্ড। 

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। নতুন সিদ্ধান্তটি কার্যকর হবে ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে। 

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগামী বছর থেকে ডুয়াল বা ট্রাই ব্যান্ড সাপোর্ট করে শুধু এমন রাউটারই বিদেশ থেকে আমদানি এবং দেশে উৎপাদন করা যাবে। যে সব ওয়াইফাই রাউটার বাংলাদেশে বাজারজাত করা হবে সে সব রাউটারকে বাধ্যতামূলকভাবে ২.৪-২.৪৮৩ গিগাহার্জ এবং ৫.৭২৫-৫.৮৭৫ গিগাহার্জ, উভয় ব্যান্ড সাপোর্ট করতে হবে। এর মধ্যে যে কোনো একটি ব্যান্ড সাপোর্ট করে এমন ওয়াইফাই রাউটার বাজারজাত করা যাবে না। 

ডুয়াল বা ট্রাই-ব্যান্ডের রাউটারডুয়াল বা ট্রাই-ব্যান্ডের রাউটার

এতে নিম্নমানের এবং কম ব্যান্ডের রাউটার বিদেশ থেকে আমদানি ও দেশে উৎপাদনের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে। ইন্টারনেটের মান উন্নয়ন ও উচ্চ গতির ডেটা ট্রান্সফারের সুবিধা নিশ্চিত করতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।


img

এআই নিয়ন্ত্রণের উপর জোর দুই নোবেল বিজয়ীর

প্রকাশিত :  ০৫:২৮, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪

পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জিওফ্রে হিন্টন এবং রসায়নে নোবেল বিজয়ী ডেমিস হাসাবিস এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নিয়ন্ত্রনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তাদের পুরস্কার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এআই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। 

স্টকহোম থেকে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) একথা জানায় এএফপি।

শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে হাসাবিস বলেন, ‘এআই খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রযুক্তি, যা নিয়ন্ত্রন করা প্রয়োজন। তবে নিয়ম কানুনগুলো সঠিকভাবে  স্থাপন করা জরুরি, কারণ এই মুহূর্তে এটি একটি দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তি।’ 

এআই’র মাধ্যমে প্রোটিনের গোপন রহস্য উদঘাটন করে আমেরিকার ডেভিড বেকার এবং জন জাম্পারের সঙ্গে যৌথভাবে জয়ী হাসাবি বলেন, এ ধরনের বিবর্তনের  ক্ষিপ্রতা বড় মাপের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। 

তিনি বলেন, ‘এসব সিস্টেম থেকে সমস্ত মানবিক সুফল প্রাপ্তি নিশ্চিত করে, আমরা কিভাবে কোন উপায়ে ব্যবহার বা স্থাপন করতে চাই- সেটাই এর অন্তর্নিহিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’

‘এআই’র গডফাদার’ হিসেবে বিবেচিত ব্রিটিশ-কানাডিয়ান হিন্টন কিছুটা ভয়ের ইঙ্গিত করেই বলেন, ‘যদি আমি অস্ত্র প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে এআই ব্যবহারের কথা ভাবতাম, তাহলে আগেই নিরাপত্তার কথা মাথায় ঢুকতো। এই হিন্টনই, গত বছর গুগল ছেড়ে যাওয়ার সময় পত্রিকার শিরোনাম তৈরি করে সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন যে, বিপদের যন্ত্র একদিন মানুষকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। তাকে নোবেল দেওয়া হয়েছিল কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কে কাজ করার জন্য আমেরিকান জন হপফিল্ডের সঙ্গে।

‘সরকারগুলো যখন মরিয়া হয়ে ওঠে এবং নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে নারাজ, তখন সেই অবস্থাটা স্বয়ংক্রিয় মারণাস্ত্রে রূপ নেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ব্রিটেন, ইসরাইলের মতো অস্ত্র সরবরাহকারী সমস্ত প্রধানদের মধ্যে এই প্রতিযোগিতাই চলছে। 

হাসাবিস বলেছেন, তিনি সরকারগুলোর জন্য ‘দ্রুত এবং ক্ষিপ্রতর নিয়ন্ত্রণ’ নিয়ে আসার পরামর্শ দিচ্ছেন। 

তিনি এএফপি’কে বলেছেন, তিনি ইলন মাস্কের সঙ্গে এআই’র অনুপযুক্ত ব্যবহারের দ্বারা সৃষ্ট অস্তিত্বের হুমকির বিষয়ে আলোচনা করেছেন এবং মানুষের কাছ থেকে এআই নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেওয়ার সম্ভাবনাময় প্রযুক্তির বিষয়েও এই বিলিয়নেয়ারকে ইঙ্গিত দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর তার প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন মাস্ক।