img

সমাজ হিতৈষী শাহ মদরিছ আলীর ইন্তেকাল

প্রকাশিত :  ১০:২৫, ২১ নভেম্বর ২০২৪

সমাজ হিতৈষী শাহ মদরিছ আলীর ইন্তেকাল

মতিয়ার চৌধুরী, লন্ডন : পূর্ব লন্ডনের আপটন পার্ক এলাকার বাসিন্দা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজ হিতৈষী শাহ মদরিছ আলী আর নেই (ইন্না….লি..ল্লাহি.. রাজিউন)। ১৬ নভেম্বর শনিবার লন্ডন সময় বিকেল তিন ঘটিকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিউহ্যাম হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। মৃত্যুকালে তিনি পাঁচ কন্যা এক পুত্র (শাহ মঈনুল হোসেন) সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

শাহ মদরিছ আলী ষাটের দশকে ব্রিটেনে আগমন করেন। জীবদ্দশায় তিনি ব্যাবসা বানিজ্যের পাশাপাশি দেশে বিদেশে একাধিক জনহিতকর কাজের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। মরহুমের গ্রামের বাড়ী বৃহত্তর সিলেটের নবীগঞ্জ উপজেলার ৩নং ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ঐহিত্যবাহী মোকাম পাড়া গ্রামে। সিলেট শহরের কাজিটুলা এলাকার ’’শাহ প্যালেস’’ তার বাসা বাড়ী। তাঁকে লন্ডনেই গার্ডেন অফ পিস মুসলিম সেমেট্রিতে সমাহিত করা হবে বলে পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে। বাংলাদেশে অবস্থান কালীন সময়ে শহরের বাড়ী শাহ প্যালেসেই তিনি থাকতেন।
মরহুমের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক প্রেসিডেণ্ট বিশিষ্ট সাংবাদিক গবেষক মতিয়ার চৌধুরী, সাংবাদিক শাহ মোস্তাফিজুর রহমান বেলাল, স্বদেশ বিদেশ সম্পাদক বাতিরুল হক সরকার, তার ব্যবসায়িক পাটনার ও বাল্যবন্ধু পূর্বলন্ডনের হ্যানবারি স্ট্রিটের ইস্টার্ন গ্রোসারিজ সুপার মার্কেটের সত্বাধিকারী শেখ আঙ্গুর মিয়া, ইনাতগঞ্জ-দীগলবাক গণদাবি পরিষদের নেতা সাংবাদিক গোলাম কিবরিয়া, মানবাধিকার কর্মি আনসার আহমেদ উল্লাহ পুমুখ । এক শোকবার্তায় তারা মরহুমের বিদহী আত্মার শান্তি কামানা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছন।

 মরহুমের রুহের শান্তি কামনায় পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের দোয়া চেয়েছেন বাংলাদেশে অবস্থানরত তার শ্যালক লন্ডন বারা অব টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক কাউন্সিলার ব্রিটেনে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের নেতা ও বজ্রকণ্ঠ পত্রিকার  প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও সৈয়দ আখতারুজ্জামান মিজান।

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

টাওয়ার হ্যামলেটসে চালু হলো সাঁতার শেখার স্কুল ‘বি ওয়েল—সুইম ওয়েল’

প্রকাশিত :  ১৯:০৭, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

টাওয়ার হ্যামলেটসের মাইল এন্ড পার্ক লেজার সেন্টারে কাউন্সিলের লেজার সার্ভিসেস ‘বি ওয়েল’ ৪ ডিসেম্বর তাদের নতুন সাঁতার শিখন স্কুল ‘বি ওয়েল সুইম ওয়েল’ চালু করেছে। এই সুইম স্কুলের লক্ষ্য হল বাসিন্দাদের সাঁতারের ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী ও নিরাপদ করে তোলা।

সুইম ইংল্যান্ডের লার্ন টু সুইম ফ্রেমওয়ার্ক অনুসরণ করে ‘বি ওয়েল সুইম ওয়েল’। এই ফ্রেমওয়ার্ক হচ্ছে ইংল্যান্ডের জাতীয় সাঁতার প্রশিক্ষণ কাঠামো। এতে অন্তর্ভুক্তঃ
— দক্ষ ও সদ্য প্রশিক্ষিত প্রশিক্ষক।
— ছোট ছোট ক্লাস, যাতে মনোযোগ ও নির্দেশনায় বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া সম্ভব।
— সাঁতারের প্রতিটি ধাপের জন্য নির্ধারিত ক্লাস, বিশেষ করে বিশেষ শিক্ষা চাহিদা ও প্রতিবন্ধী (সেন্ড) শিক্ষার্থীদের জন্য সুনির্দিষ্ট ক্লাসের আয়োজন
— প্রতিটি ধাপের স্পষ্ট অগ্রগতি, যা একটি কাঠামোবদ্ধ শিক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে নিশ্চিত করে।
— প্রতিটি মাইলফলক উদযাপনে অফিসিয়াল সার্টিফিকেট।

৪ ডিসেম্বর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুইম ইংল্যান্ডের প্রতিনিধি জেমস প্যারামোর টাওয়ার হ্যামলেটসের সঙ্গে নতুন এই অংশীদারিত্ব এবং সাঁতারকে জীবন রক্ষাকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা হিসেবে গড়ে তোলার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

অক্টোবরে, স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর সঙ্গে একটি প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয় এই এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সুইম স্কুলের জন্য নতুন নাম ও মাসকট বাছাই করা হয়।

মে ফ্লাওয়ার প্রাইমারি স্কুলের ইনায়াহ রহমান ডিজাইন করেছে “বাবলস দ্য বি ওয়েল ডাক,” যা বি ওয়েল সুইম স্কুলের অফিসিয়াল মাসকট হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। অপরদিকে, ওসমানী প্রাইমারি স্কুলের মুসা হোসেন তৈরি করে সুইম নিরাপত্তা সঙ্গী “অক্টোসেফ,” যা শিশুদের প্রয়োজনীয় সাঁতার নিরাপত্তা বিধি মেনে চলতে উৎসাহিত করবে।

প্রতিযোগিতার বিজয়ী ও তাদের স্কুলের প্রতিনিধিরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের সৃষ্টিশীলতার জন্য পুরস্কৃত হন।