img

দেশের বাজারে আবারো বাড়লো সোনার দাম

প্রকাশিত :  ১৪:৪২, ২১ নভেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৪:৫৮, ২১ নভেম্বর ২০২৪

দেশের বাজারে আবারো বাড়লো সোনার দাম

দেশের বাজারে আবারও সোনার দাম বাড়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) । সব থেকে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আজ বৃহস্প‌তিবার (২১ ন‌ভেম্বর) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম বাড়ানো হয়েছে। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। 

এর আগে গত ২০ নভেম্বর আর এক দফা সোনার দাম বাড়ানো হয়। সে সময় সব থেকে ভালোমানের এক ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় দুই হাজার ৯৪০ টাকা। ফলে দুই দফায় প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়লো চার হাজার ৯৩৪ টাকা।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৯০১ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৬৩৩ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৩৮৮ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে ২১ নভেম্বর সব থেকে ভালোমানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দুই হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দুই হাজার ৮০০ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দুই হাজার ৩৯১ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম দুই হাজার ৫৩ টাকা বাড়িয়ে ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ দামেই সোনা বিক্রি হয়েছে।

অন্যদিকে, ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের রূপার দাম ভরি দুই হাজার ৫৭৮ টাকা; ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৪৪৯ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ১১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ৫৮৬ টাকা।

img

ডিএসইতে মূলধন কমেছে ৬ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা

প্রকাশিত :  ০৬:২৭, ১৫ মার্চ ২০২৫

দেশের শেয়ারবাজারে বিদায়ী সপ্তাহে (০৯ মার্চ থেকে ১৩ মার্চ) শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এর মূলধন কমেছে ৬ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা, যা প্রায় ১ শতাংশের মতো। এই সপ্তাহে শেয়ারবাজারে সূচকের উত্থান হলেও, বাজার মূলধনে এই পতন লক্ষ্য করা গেছে।

ডিএসইর সাপ্তাহিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসইর শেয়ারবাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৫ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা, যেখানে আগের সপ্তাহে এই মূলধন ছিল ৬ লাখ ৮২ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ, সপ্তাহ ব্যবধানে ০.৯৬ শতাংশ কমেছে শেয়ারবাজার মূলধন।

এদিকে, শেয়ারবাজারের মূল সূচকগুলোতে উত্থান দেখা গেছে। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২১.৬৫ পয়েন্ট বা ০.৪২ শতাংশ, আর ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ১১.৮৮ পয়েন্ট বা ০.৬৩ শতাংশ। তাছাড়া, ডিএসইএস সূচকও বেড়েছে ৪.৩৯ পয়েন্ট বা ০.৩৮ শতাংশ।

লেনদেনের পরিমাণেও ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা গেছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯৫৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহে ছিল ১ হাজার ৮১৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। সপ্তাহে মোট লেনদেন বেড়েছে ১৪১ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এর ফলে, প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন বেড়েছে ২৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা বা ৭.৭৮ শতাংশ।

ডিএসইতে সপ্তাহজুড়ে ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৭৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, ১৮৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে এবং ৩৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এই পরিসংখ্যান দেখায়, যদিও শেয়ারবাজার মূলধন কমেছে, তবে সূচকের উত্থান এবং লেনদেনের পরিমাণের বৃদ্ধি বাজারের একটি ইতিবাচক দিক। তবে, শেয়ারবাজারের মূলধন কমে যাওয়ার পেছনে কোন কারণ রয়েছে, তা নিয়ে আরও বিশ্লেষণ প্রয়োজন।

এটা স্পষ্ট যে, শেয়ারবাজারে একদিকে সূচকের উত্থান হলেও, অন্যদিকে বাজার মূলধনের পতন এবং শেয়ারগুলির দাম কমে যাওয়ার ফলে বিনিয়োগকারীরা আরও সতর্কভাবে লেনদেন করছেন।