img

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর হামলা, নিহত ৪২

প্রকাশিত :  ০৫:৩৮, ২২ নভেম্বর ২০২৪

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর হামলা, নিহত ৪২

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে যাত্রীবাহী গাড়িবহরে বন্দুকধারীরা হামলা করেছে। এতে এখন পর্যন্ত ৪২ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) কুর্রাম জেলার ওচত এলাকায় যাত্রীবাহী যানবাহনে হামলাকারীরা গুলি চালায়। এতে তিন নারী ও শিশুসহ অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। পুলিশ জিও নিউজকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।

পুলিশ বলেছে, পারাচিনার থেকে পেশোয়ার যাওয়ার পথে গাড়িবহরে হামলা হয়। নিহত ছাড়াও একাধিক লোক আহত হয়েছেন। তাদের অ্যাম্বুলেন্সে করে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য আহতদের জেলা শহরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বিবিসি উর্দুকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৈয়দা বানু নামে এক যাত্রী জানান, হঠাৎ গুলি শুরু হলে তিনি বুদ্ধি করে তার সন্তানদের নিয়ে গাড়ির আসনের নিচে লুকিয়ে থাকেন। তাৎক্ষণিক এ সিদ্ধান্ত তাদের প্রাণে বাঁচায়। গুলির শব্দ থেমে যাওয়ার পর তিনি বের হয়ে থ হয়ে যান। রাস্তায় ও গাড়ির ভেতন আহত ও নিহত মানুষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলেন।

খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রধান সচিব নাদিম আসলাম চৌধুরী বলেন, হামলাটি একটি বড় ট্র্যাজেডি। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ, অনেকে আশঙ্কাজনক।

প্রদেশটির আইনমন্ত্রী আফতাব আলম জিওনিউজকে বলেন, এ ঘটনার পেছনের কুশীলবদের শনাক্তে তদন্ত চলছে। প্রাথমিক তদন্তের পর ঘটনার বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, সশস্ত্র ব্যক্তিরা পাহাড় থেকে গাড়ি বহর লক্ষ্য করে গুলি চালায়।

মন্ত্রী জানান, আমি কুর্রাম পরিদর্শন করতে চেয়েছিলাম কিন্তু দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের মধ্যে বিরোধের কারণে জেলার দিকে যাওয়ার রাস্তাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই দুটি গ্রুপ একে অপরকে ঘটনার জন্য দায়ী করছে। তারা উভয়ই সন্ত্রাসী দল। আমরা তদন্ত করছি। প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।

img

ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা, নিহত ২৪

প্রকাশিত :  ০৬:৫৬, ১৬ মার্চ ২০২৫

ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে বড় পরিসরে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে ২৪ জন নিহত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৫ মার্চ) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশনা অনুসারে এ হামলা চালানো হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে পুনরায় জাহাজে হামলা শুরু করায় যুক্তরাষ্ট্র এ পদক্ষেপ নিল। খবর রয়টার্সের।

ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর হুতিদের ওপর চালানো যুক্তরাষ্ট্রের এটাই সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান। এমন এক সময়ে এই হামলা শুরু হলো, যখন নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়ে তেহরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসতে বাধ্য করতে চেষ্টা করছে ওয়াশিংটন।

ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে হুতিদের সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে বলেন, তোমাদের সময় শেষ, আজ থেকে অবশ্যই হামলা বন্ধ করতে হবে। যদি তোমরা এটা না করো তাহলে তোমাদের নরকের বৃষ্টি নেমে আসবে। যা আগে কখনও দেখনি।

হুতি পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইয়েমেনের রাজধানী সানাতে মার্কিন হামলায় ১৩ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৯ জন। এছাড়া ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য সাদে মার্কিন হামলায় শিশু ও নারীসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন। হুতি পরিচালিত আল মারিশাহ টেলিভিশনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

হুতি রাজনৈতিক ব্যুরো যুক্তরাষ্ট্রের হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে মন্তব্য করেছে। এক বিবৃতিতে হুতি জানায়, আমাদের ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী উসকানিকে উসকানি দিয়ে জবাব দিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

আব্দুল্লাহ ইয়াহিয়া নামের এক বাসিন্দা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। হামলার কারণে পুরো মহল্লা ভূমিকম্পের মতো কেঁপেছে। এতে করে আমাদের নারী ও শিশুরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে।