img

গত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের চুক্তি পর্যালোচনা করবে সরকার

প্রকাশিত :  ০৮:০৪, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৮:২৭, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

গত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের চুক্তি পর্যালোচনা করবে সরকার

২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে স্বাক্ষরিত বড় বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন চুক্তি পর্যালোচনার জন্য আন্তর্জাতিক আইন ও তদন্তকারী সংস্থাকে নিয়োগের সুপারিশ করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত জাতীয় পর্যালোচনা কমিটি। 

আজ রোববার (২৪ নভেম্বর) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন কমিটি রেজুলেশনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এ সুপারিশ করেন। 

একইদিন দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ ‘চিফ এডভাইজার (জিওবি)’তে এক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।  

পোস্টে বলা হয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত জাতীয় পর্যালোচনা কমিটি অন্যান্য চুক্তিগুলো আরও বিশ্লেষণ করার জন্য আরও সময়ের প্রয়োজন। এছাড়া পর্যালোচনা কমিটি এমন প্রমাণ সংগ্রহ করছে, যা আন্তর্জাতিক সালিশি আইন এবং কার্যধারার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চুক্তি পুনর্বিবেচনা বা বাতিল করতে পারে।

পোস্টে আরও বলা হয়, এ তদন্তগুলো আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং আন্তর্জাতিক আলোচনা ও সালিশে গ্রহণযোগ্য করতে একাধিক আন্তর্জাতিক আইন এবং তদন্তকারী সংস্থাকে অবিলম্বে যুক্ত করার সুপারিশ করেছে।

পর্যালোচনা কমিটি বর্তমানে বেশ কিছু চুক্তির বিস্তারিত তদন্তে কাজ করছে। এর মধ্যে রয়েছে-

১. আদানি (গোড্ডা) বিআইএফপিসিএল ১২৩৪.৪ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র

২. পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র

৩. মেঘনাঘাট ৩৩৫ মেগাওয়াট ডুয়েল ফুয়েল বিদ্যুৎকেন্দ্র

৪. আশুগঞ্জে ১৯৫ মেগাওয়াট গ্যাস বিদ্যুৎকেন্দ্র

৫. বাঁশখালী ৬১২ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র

৬. মেঘনাঘাট ৫৮৩ মেগাওয়াট ডুয়েল ফুয়েল বিদ্যুৎকেন্দ্র

৭. মেঘনাঘাট ৫৮৪ মেগাওয়াট গ্যাস-এলএনজি বিদ্যুৎকেন্দ্র


img

৪ দফায় বাড়ার পর কিছুটা কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত :  ১৩:০৫, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

টানা ৪ দফায় বাড়ানোর পর অবশেষে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভরিতে ৫ হাজার ৩৪২ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা।

আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে বাজুসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নতুন দর অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা। পাশাপাশি ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ ৪১ হাজার ১৬৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ টাকা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। এর প্রেক্ষিতে বাজুসের স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ভরিতে ৫ হাজার ৩৪২ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৮৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা ছিল দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। বুধবার (২৩ এপ্রিল) থেকে এই দাম কার্যকর হয়।

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে গত বুধবার (১৬ এপ্রিল) দেশের বাজারে ভরিতে ৩ হাজার ৩৩ টাকা বাড়ানো হয়। এরপর তিন দিনের মাথায় গত শনিবার (১৯ এপ্রিল) আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় বাজুস। ওই সময় ভরিতে ২ হাজার ৬২৪ টাকা বাড়ানো হয়।

তবে এর দুই দিনের মাথায় গত সোমবার (২১ এপ্রিল) এক লাফে ভরিতে ৪ হাজার ৭১৩ টাকা বাড়ানো হয় স্বর্ণের দাম। সবশেষ মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের ভরিতে এক লাফে ৫ হাজার ৩৪২ টাকা বাড়ানো হয়। অবশেষে বুধবার ভরিতে ৫ হাজার ৩৪২ টাকা কমলো স্বর্ণের দাম।

এ নিয়ে চলতি বছর দেশের বাজারে মোট ২৬ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করলো বাজুস। এরমধ্যে ১৯ বারই দাম বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া দাম কমানো হয়েছে মাত্র ৭ বার। অন্যদিকে গত বছর দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। এরমধ্যে দাম বাড়ানো হয়েছিল ৩৫ বার। এছাড়া গত বছর ২৭ বার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছিল।