img

শরীরের সবচেয়ে অপরিষ্কার স্থান কোনটি? জানলে অবাক হবেন

প্রকাশিত :  ০৬:০৫, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শরীরের সবচেয়ে অপরিষ্কার স্থান কোনটি? জানলে অবাক হবেন

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার শত চেষ্টার পরও শরীরের একটি অংশ কিন্তু নোংরা থেকেই যায়। সেখানে গিজগিজ করে কোটি-কোটি ব্যাকটেরিয়া। জানা আবাক হবেন, এটিই শরীরের সবচেয়ে নোংরা ও দুর্গন্ধময় অংশ।

চলুন জানা যাক আমরা শরীরের কোন অংশের কথা বলছি-

শরীরের সবচেয়ে নোংরা জায়গাটি হল নাভি। বিজ্ঞান বলে, নাভি আসলে শরীরের একটি ক্ষত। জন্মের সময় শিশুকে মায়ের থেকে পৃথক করার সময়ই এই ক্ষত তৈরি হয়। নাভি কুণ্ডলী বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই থাকে ভেতরের দিকে। খুব কম সংখ্যক মানুষেরই নাভি কুণ্ডলী বাইরের দিকে থাকে। এই অংশটিই জীবাণুর আখড়া।

এখন প্রশ্ন জাগতেই পারে, নাভি কতটা নোংরা?

২০১২ সালে পিএলওএস ওয়ানে প্রকাশিত একটি গবেষণায় জানা গেছে, নাভিতে থাকতে পারে ২৩৬৮ প্রকারের ব্যাকটেরিয়া। যার মধ্যে ১৪৫৮ প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া বৈজ্ঞানিকদের কাছেও নতুন।

টরেন্টোর ডিএলকে কসমেটিক ডার্মাটোলজি অ্যান্ড লেজার ক্লিনিকের ত্বকবিশেষজ্ঞর মতে, নাভি ব্যাকটেরিয়াদের আদর্শ প্রজননক্ষেত্র। বিশেষ করে যাদের ওজন বেশি তাদের এই অংশে ব্যাকটেরিয়া থাকে। টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং নাভিতে পিয়ার্সিং করেছেন এমন ব্যক্তিদের নাভিও ব্যাকটেরিয়ার আঁতুড়ঘর।

শরীরের যেকোনো অংশ যেখানে চামড়ার ভাজ পড়ে, ঘামে ভেজে, আর্দ্র থাকে সেখানে বেশি ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয়। নাভি এমনই একটি অংশ।

চিকিৎসকরা বলছেন, যদি কখনো নাভিতে চুলকানি হয়, নাভি লাল হয়ে যায়, ব্যথা হয়, দুর্গন্ধ হয়, তাহলে সাবধান হন। অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


img

ভুলে যাওয়ার সমস্যা বাড়ে যেসব অভ্যাসে

প্রকাশিত :  ০৫:৩৭, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

বাসার চাবি কোথায় রেখেছেন তা মনে না পড়া কিংবা বাজার থেকে কী কী কিনতে হবে তা হুট করে ভুলে যাওয়ার সমস্যায় ইদানীং অনেকেই ভুগছেন। এমনটা যে বয়স্কদের হচ্ছে তা নয়। অনেক কম বয়সীদের মধ্যেও এ ধরনের ভুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা যাচ্ছে। হুট করে সবকিছু গুলিয়ে যাওয়া, প্রয়োজনীয় জিনিস আনতে ভুলে যাওয়া কিংবা পছন্দের মানুষের জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকীর তারিখ ইত্যাদি ভুলে যাওয়া খুব সাধারণ ঘটনা নয়। চলার পথে হুট করে কিছু মনে না রাখত্রে পারলে খানিকটা পিছিয়ে পড়তে হয়। কখনো কখনো অন্যদের সামনে বেশ অস্বস্তিতেও পড়তে হয়।

কিন্তু কেন এমন হচ্ছে? গবেষকরা বলছেন, প্রতিদিনের কিছু অভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে ব্যাহত করছে। দিনের পর দিন একই অভ্যাসের কারণে মস্তিষ্কের ক্ষতি হচ্ছে। 

উচ্চস্বরে গান শোনা: গান শোনা খুব ভালো একটি অভ্যাস। গান শুনলে মস্তিষ্ক শীতল হয়। দুশ্চিন্তা দূর হয়। কিন্তু কানে হেডফোন গুঁজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা উচ্চস্বরে গান শুনলে মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি হয়। টানা ৩০ মিনিট অতি উচ্চমাত্রার শব্দ শুনতে থাকলে শ্রবণশক্তি সম্পূর্ণ রূপে লোপ পেতে পারে। শ্রবণশক্তি লোপ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তিও লোপ পেতে পারে। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের টিস্যু নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম: অতিরিক্ত ‘স্ক্রিন টাইম’ও মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। অফিসে সারা ক্ষণ কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের সামনে মুখ গুঁজে বসে থাকা, সারাক্ষণ ফোন স্ক্রল করা, স্ক্রিনে গেমস খেলা, ওয়েব সিরিজ দেখা ইত্যাদি কাজগুলো করলে দিনের অধিকাংশ সময় স্ক্রিনে চোখ থাকে। এতে চোখের যেমন  ক্ষতি হয়, মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও কমে যায়। এতে মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে অচল হয়ে পড়ে।

অন্ধকারে থাকা: কেউ কেউ অন্ধকারে থাকতে ভালোবাসেন। দীর্ঘ সময় অন্ধকারে থাকার অভ্যাস মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। এই অভ্যাস মনে বিষণ্ণতা তৈরি করে। আর বিষণ্ণতা মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে ধীর করে দেয়। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা সঠিক রাখতে প্রাকৃতিক আলোতে থাকতে হবে। সূর্যের আলোতে সময় কাটাতে হবে। এতে মেজাজ ভাল থাকে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও বাড়ে।

একা থাকার অভ্যাস: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢুঁ মারলে অনেক বন্ধু পাওয়া যায়। কিন্তু ভার্চুয়াল বন্ধুরা কাছের হয় না। এখন বেশিরভাগ মানুষ ভেতর থেকে একা হয়ে যাচ্ছেন। অনেকেই ভীড়-আড্ডা-অনুষ্ঠানে যেতে চান না। পারিবারিক অনুষ্ঠান হোক কিংবা অফিসের পার্টি— সব কিছুই এড়িয়ে চলতে চান। অর্থাৎ নিজের মতো একা থাকতে চান। একা থাকার অভ্যাসও কিন্তু মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, যাঁরা কাছের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন, তাঁরা অন্যদের তুলনায় হাসিখুশি ও কর্মদক্ষ হন। তাঁদের স্মৃতিশক্তিও অন্যদের তুলনায় বেশি হয়।

অধিক পরিমাণে চিনি খাওয়া: অতিরিক্ত চিনি ও চিনি জাতীয় খাবার খাওয়াও মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। আবার বার্গার, ভাজাপোড়া খাবার, আলুর চিপ্স বা কোমল পানীয়ের মতো খাবার স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার জন্য দায়ী। তাই এসব খাবারের বদলে খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজি, ফল ও বাদামজাতীয় খাবার রাখতে হবে।