img

যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজের নকশায় ভুল ধরলেন ট্রাম্প

প্রকাশিত :  ১২:০৫, ২৮ মে ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৮, ২৮ মে ২০১৯

যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজের নকশায় ভুল ধরলেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ থেকে যুদ্ধবিমান উড্ডয়নের আধুনিক ইলেকট্রোম্যাগনেটিক পদ্ধতির খুঁত বের করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আধুনিক এ পদ্ধতির পরিবর্তে পুরোনো বাষ্পচালিত ব্যবস্থা ব্যবহারের পক্ষে মত দিয়েছেন ট্রাম্প।
আজ মঙ্গলবার ট্রাম্পের চলতি চার দিনের জাপান সফরের শেষ দিনে টোকিওতে মার্কিন নৌঘাঁটি পরিদর্শন করেন ট্রাম্প। টোকিওর দক্ষিণে ইউসুকাতে অবস্থিত এই ঘাঁটি দেশের বাইরে মার্কিনিদের সর্ববৃহৎ নৌঘাঁটি। সেখানে মার্কিন নাবিক ও মেরিন সেনাদের যুদ্ধজাহাজে বাষ্পচালিত বিমান উড্ডয়ন ব্যবস্থার তুলনামূলক সুবিধার কথা বলেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক মিত্র দেশ জাপানে চার দিনের সফর শেষে ট্রাম্পের এ সফরে উল্লসিত হয়ে ওঠেন নৌঘাঁটির সেনারা। যুদ্ধবিমান উড্ডয়নে ব্যবহৃত বাষ্পচালিত ‘ক্যাটাপুল্টস’-এর আওয়াজ ছাপিয়ে যাচ্ছিল সেনাদের উল্লাসধ্বনি।
ট্রাম্প মার্কিন সেনাদের উদ্দেশে বলেন, ‘বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার জন্য এত অর্থ খরচ করছি আমরা, অথচ কেউ জানে না প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সেটা কতটা কাজে আসবে।’
মার্কিন নৌবাহিনী দুটি ‘ফোর্ড-ক্লাস’ (যুদ্ধবিমান বহনকারী যুদ্ধজাহাজ) কেনার পরিকল্পনা করছে বলে এ বছরের শুরুর দিকেই জানিয়েছিলেন ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর টিম কাইন। ট্রাম্পের সঙ্গে ফোর্ডের তিক্ত সম্পর্কের ইতিহাস বেশ পুরোনো। বরাবরই বাষ্পচালিত ক্যাটাপুল্টসকে বাদ দিয়ে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক লঞ্চ সিস্টেম কেনার বিরোধিতা করে আসছেন ট্রাম্প।
জাপানের নৌঘাঁটির কর্মকর্তাদের ট্রাম্প বলেন, নতুন উচ্চ-প্রযুক্তির ব্যবস্থার চেয়ে বাষ্পচালিত ক্যাটাপুল্টস বেশি কার্যকরী।
ট্রাম্প বলেন, ‘বাষ্পচালিত ব্যবস্থাটি প্রায় ৬৫ বছর ধরে নিখুঁতভাবে কাজ করছে। তারপরও তারা (ডেমোক্র্যাটরা) এই বৈদ্যুতিক ক্যাটাপুল্টের পেছনে ৯০ কোটি ডলার খরচ করার পক্ষপাতি।’
‘তারা (ডেমোক্র্যাটরা) দেখাতে চাইছে এরপর কী আসবে, তারপর কী হবে, তারও পর আর কী আসবে। নতুনত্ব আমরাও চাই, কিন্তু এটা বাড়াবাড়ি।’

img

গুগলকে টেক্কা দিতে সার্চ ইঞ্জিন আনছে ওপেনএআই

প্রকাশিত :  ১২:৫১, ১২ মে ২০২৪

ফোনে কিংবা কম্পিউটারে গুগল সার্চ ইঞ্জিনই বেশি ব্যবহৃত হয়, যা গুগলের নিজস্ব উদ্ভাবন। এবার এই প্রতিষ্ঠানটিকে টেক্কা দিতে মাঠে নামছে চ্যাটজিপিটি ডেভেলপার ওপেনএআই। যারা চ্যাটজিপিটি সার্চ ইঞ্জিন চালু করছে। ধারণা করা হচ্ছে এই সার্চ ইঞ্জিন চালু হলে গুগলকে রীতিমতো বেকায়দায় ফেলবে।

ওপেনএআই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) সার্চ ইঞ্জিন ফিচার নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে। এর মাধ্যমে গুগল সার্চের সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগিতায় নামবে কোম্পানিটি। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তির বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।

আগামী সোমবার ফিচারটি উন্মোচন করতে পারে কোম্পানিটি। ব্লুমবার্গ ও দ্য ইনফরমেশনের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অ্যালফাবেটের মালিকানাধীন গুগল কোম্পানি ও নতুন এআই স্টার্টআপ পারপ্লেক্সিটির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে নতুন একটি সার্চ ইঞ্জিন তৈরির চেষ্টা করছে মাইক্রোসফট সমর্থিত ওপেনএআই।

আগামী মঙ্গলবার গুগলের বার্ষিক ডেভেলপার কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিটির এআইভিত্তিক বিভিন্ন পণ্য এই অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হবে। তাই এই অনুষ্ঠানের আগেই ওপেনএআই নতুন সার্চ ইঞ্জিন উন্মোচন করতে পারে বলে বিভিন্ন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন।

ব্লুমবার্গের মতে, চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিরই একটি এক্সটেনশন হবে ওপেনএআইয়ের সার্চ ইঞ্জিনটি। এর মাধ্যমে চ্যাটজিপিটি ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি তথ্য ও উদ্ধৃতি তুলে ধরতে পারবে। টেক্সটের মাধ্যমে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হলে চ্যাটজিপিটি চ্যাটবট মানুষের মতো উত্তর দিতে পারে।

চ্যাটজিপিটিকে অনেক আগে থেকেই অনলাইনে তথ্য জানার বিকল্প হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন প্রযুক্তি খাতের বিশ্লেষকেরা। তবে এটি নির্ভুল ও ওয়েবসাইট থেকে সাম্প্রতিক তথ্য তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে।

মাইক্রোসফটের বিং সার্চ ইঞ্জিনের সঙ্গে ওপেনএআইয়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে। আর গুগল তার সার্চ ইঞ্জিনেই এআই জেনারেটিভ ফিচার যুক্ত করেছে। ওপেনএআই প্রাক্তন গবেষক পারপ্লেক্সিটি নামের নতুন একটি স্টার্টআপ শুরু করেন। কোম্পানিটির মূলধন এখন ১০০ কোটি ডলার। এআইভিত্তিক সার্চের ইন্টারফেসের কারণে স্টার্টআপটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফল উদ্ধৃতি, টেক্সট ও ছবি দেখায়। গত জানুয়ারিতে এক ব্লগ পোস্টে কোম্পানিটি বলে, এতে ১ কোটি সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে।

২০২২ সালের নভেম্বরে চালু হওয়ার পর ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অ্যাপ হিসেবে পরিণত হয় চ্যাটজিপিটি। সেসময় প্ল্যাটফর্মটিতে ১০ কোটি সক্রিয় ব্যবহারকারী ছিল। তবে গত বছর চ্যাটজিপিটিতে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়তে-কমতে দেখা যায়। ওয়েবসাইট ট্রাফিক ও পারফরম্যান্স বিশ্লেষণকারী সংস্থা সিমিলারওয়েবের মতে, ২০২৩ সালের মে মাসে প্ল্যাটফর্মটিতে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী ছিল। চ্যাটজিপিটিতে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়াতে চাপের মুখে রয়েছে কোম্পানিটি।