img

ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলায় ৩ জন নিহতের দাবি

প্রকাশিত :  ০৯:৫৯, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলায় ৩ জন নিহতের দাবি

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে অবস্থিত ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে (ডিএমআরসি) হামলা-ভাঙচুর করেছে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় কলেজটির বিভিন্ন সামগ্রী ও সরঞ্জাম নিয়ে যায় হামলাকারীরা। হামলায় ডিএমআরসির তিনজন মারা যাওয়ার খবর দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও মারা যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করা হয়নি।

আজ সোমবার (২৫ নভেম্বর) ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফ সামীর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্যটি নিশ্চিত করা হয়েছে।

ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফ সামীর এক বিবৃতিতে জানান,  সোমবার তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে। তথাকথিত সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বহিরাগত একদল সন্ত্রাসী প্রবেশ করে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এ হামলায় তিনজন শিক্ষার্থী নির্মমভাবে প্রাণ হারায় এবং শতাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর, যাদের মধ্যে কয়েকজনকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হামলায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ এবং ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের কিছু ছাত্র নামধারী ব্যক্তি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের মদদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। হামলাকারীদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী নয়, বরং সন্ত্রাসী কার্যক্রমে লিপ্ত।

আশরাফ সামীর জানান, হামলাকারীরা তাদের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র, সম্পদ ও শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত মালামাল লুট করেছে। এ ছাড়া কলেজ ভবনের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে তারা অধ্যক্ষের কার্যালয়সহ বিভিন্ন কক্ষ ভাঙচুর করেছে।

কলেজ কর্তৃপক্ষ বারবার প্রশাসনের স্থানীয় ও সর্বোচ্চ পর্যায়ে সহযোগিতার আবেদন করলেও এ পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি- এমন অভিযোগ করে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফ সামীর জানান, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও শিক্ষার পরিবেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

ড. মাহবুবুর রহমান কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফ সামীর গণমাধ্যমকে জানান, শিক্ষার্থীর নাম ধরে লোকজন ক্লাস চলাকালীন অবস্থায় তাদের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের ওপর হামলা চালায়। তারা প্রতিটি রুমে ভাঙচুর করে এবং লুটতরাজ চালায়। হামলায় শতাধিক শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী আহত হয়ে আশেপাশের হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

তিনি আরও জানান, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা পুরোপুরি নিশ্চিত হতে সময় লাগবে। আপাতত ৩ জন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। আমাদের কলেজ ড্রেস পরা ছিল। তাদের পরিচয় পাই নি। অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে এটা দেখতে হবে। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

এর আগে, গত ১৮ নভেম্বর ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) শিক্ষার্থী অভিজিৎ মারা যায়। ডেঙ্গু আক্রান্ত অভিজিতের প্লাটিলেট কমে গেলে আগের দিন তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে নিতে চেয়েছিলেন তার পরিবার। কিন্তু ন্যাশনাল মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ তাকে নিতে দেয়নি বলে অভিজিতের সহপাঠীদের অভিযোগ। তারা বলছেন, অভিজিতের মৃত্যুর পর টাকার জন্য লাশ আটকে রাখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ২০ নভেম্বর ডিএমআরসি কলেজের শিক্ষার্থীরা লাশ নিতে এলেও কোনো সমাধান না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন।

পরে সন্ধ্যার পর লাঠিপেটা করে পুলিশ শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেয়। পরদিন ২১ নভেম্বর ডিএমআরসির ছাত্ররা আবার ন্যাশনাল মেডিক্যালে গেলে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদল নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা করে। তাতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হন বলে তাদের অভিযোগ।


img

ঘনকুয়াশার সঙ্গে বেড়েছে শীতের তীব্রতা

প্রকাশিত :  ০৬:২২, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪

ঘনকুয়াশা ও শীতল বাতাসে দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে বেড়েই চলেছে শীতের তীব্রতা। ঠাণ্ডা বাতাসের সাথে ঘন কুয়াশায় জবুথুবু জনজীবন। নিম্নআয়ের মানুষ রয়েছে চরম দুর্ভোগে। ক্ষতি হচ্ছে ফসলের। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগবালাই। 

ঘনকুয়াশা আর হিমেল বাতাসে দুর্ভোগে পড়েছেন পঞ্চগড়রে সাধারণ মানুষ। বিশেস করে বেকায়দায় পড়ছেন খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের লোকজন। তীব্র ঠান্ডা আর র্পযাপ্ত গরম কাপড়ের অভাবে কাজে বরে হতে পারছেনা অনেকেই।

গত কয়েকদিন ধরে এ জেলার তাপমাত্রার পারদ ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। 

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানায়, আজ সোমবার সকাল ৬টায় ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে

ঘনকুয়াশা আর হিমেল বাতাসের কারণে শহর ও হাট-বাজারে লোকজনের উপস্থিতি কমে আসায় প্রয়োজনীয় যাত্রী না পেয়ে অর্থ কষ্টে পড়েছে রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটোচালকেরা। তীব্র ঠান্ডার কারণে আজও পঞ্চগড় সদর আধুনিক হাসপাতালের বর্হিবিভাগে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত লোকজনের ভীড় বেড়েছে।

রংপুরে অব্যাহত রয়েছে শীতের তীব্রতা। ঠাণ্ডা বাতাসের সাথে ঘন কুয়াশায় জবুথুবু জনজীবন। শীত ও কুয়াশার কারনে শ্রমজীবী আর কর্মজীবী মানুষ শীত বস্ত্রের অভাবে বিপাকে পড়েছে।  ক্ষতি হচ্ছে ফসলের। এদিকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাবার সাথে সাথে নিউমোনিয়া, কোল্ড ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন রোগ বালাই বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে শিশুরা ভাইরাস জ্বর আর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভীড় করছে। 

চুয়াডাঙ্গায় প্রতদিনিই তাপমাত্রা কমছে, বাড়ছে শীতরে তীব্রতা । দুর্ভোগে পড়েছেন খাওয়া মানুষ। শীতবস্ত্ররে অভাবে অসহায় মানুষ  কষ্টে রয়ছে। সরকারি ও বেসরকারি র্পযায়ে শীতবস্ত্র বিতরণের আহবান জানিয়েছে দরিদ্র মানুষরো। বাড়ছে শীতজনিত রোগবালাই।