img

বালাগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যা: দুই ছেলে ও বাবার মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত :  ০৫:৪৪, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

 বালাগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যা: দুই ছেলে ও বাবার মৃত্যুদণ্ড

সিলেট জেলার বালাগঞ্জে হাসান মিয়া নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে দুই ছেলে ও বাবাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সিলেট জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহিন এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে প্রত্যেক আসামিকে আরও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার হাসামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মবশ্বিরের ছেলে আব্দুস সবুর পুতুল, তার ছেলে ফাহাদ আহমদ রাহী ও আব্দুল মোমিন রনি। আসামিদের মধ্যে আব্দুস সবুর পুতুল কারাগারে থাকলেও তার দুই ছেলে পলাতক।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. সোহেল রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ২০১৮ সালের ২২ মে রাতে হাসান মিয়াকে (২৮) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। নিহত হাসান হাসামপুর গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই হোসাইন আহমদ সাহান বালাগঞ্জ থানায় চারজনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও দুজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, হাসামপুর বায়তুন নুর জামে মসজিদে তারাবির নামাজের পর মুসল্লিদের মধ্যে লিচুর জুস সরবরাহ করতেন হাসান মিয়া। জুসের মূল্য পরিশোধ করতেন মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ফারুক মিয়া। হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হওয়ার রাত ১০টা ১০ মিনিটে ফারুক মিয়া লিচুর জুসের মূল্য বাবদ ২৫০০ টাকাসহ অগ্রিম আরও ২৫০০ টাকা বিবাদী রাহীর মাধ্যমে হাসানের কাছে পাঠান। কিছুক্ষণ পর রাহী লিচুর জুস সরবরাহ করা লাগবে না বলে টাকা ফেরত নিতে আসেন। কিন্তু টাকা ফেরত নিতে ফারুক মিয়াকে ফোন করতে বলেন হাসান। তখন রাহি গালিগালাজ করেন। রাহীর পক্ষ নিয়ে অন্য আসামিরাও কিল ঘুষি মারে।

একপর্যায়ে রাহি তার হাতে থাকা ছোরা দিয়ে হাসানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করেন। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে সিলেট এমএমজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সিলেটের খবর এর আরও খবর

img

বাহুবলে পাঁচ টাকার বিরোধে ৪ গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত শতাধিক

প্রকাশিত :  ১৫:২২, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪

হবিগঞ্জ জেলার বাহুবলে ৫ টাকা টমটম অটোরিকশার ভাড়াকে কেন্দ্র করে চার গ্রামবাসীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ অন্তত শতাধিক লোকজন আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত একটানা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মৌছাক এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময় উভয়পক্ষের বাড়িঘর ও দোকানপাটে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

জানা যায়- উপজেলার সাতপাড়িয়া গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে টমটম অটোরিকশা ৫ টাকা ভাড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডা হয় পার্শ্ববর্তী গ্রাম কবিরপুরের এক ব্যক্তির। এ নিয়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে বিষয়টি উভয় গ্রামের লোকজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে কবিরপুর গ্রামের পক্ষে অবস্থান নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় ভেড়াখাল গ্রাম ও সাতপাড়িয়া গ্রামের পক্ষে অবস্থান নেয় বহরুয়া গ্রাম। ভয়াবহ সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত শতাধিক লোকজন আহত হয়।

এদিকে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ওপর সংঘর্ষ চলায় সড়কের দু’পাশে আটক পড়ে শত শত যানবাহন। চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সংঘর্ষ চলায় দীর্ঘ হতে থাকে যানবাহনের সারি। পরে বাহুবল থানা পুলিশ ও হাইওয়ে থানা পুলিশের সহায়তায় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এ বিষয়ে বাহুবল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম বলেন, টমটম অটোরিকশা ভাড়াকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আমাদের কয়েকজন পুলিশ সদস্যসহ অনেকেই আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

সিলেটের খবর এর আরও খবর