img

আমি খুবই দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছি: শাহরুখ খান

প্রকাশিত :  ১৫:৫৯, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

আমি খুবই দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছি: শাহরুখ খান

‘বলিউড বাদশা’ তকমা নিয়ে ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন শাহরুখ খান। তার খ্যাতি ছড়িয়েছে বিশ্বব্যাপী। ৬০ বছর বয়সি এই তারকার সংগ্রামের গল্পও অনেকেরই জানা। কিন্তু অতীত ভুলেননি শাহরুখ। তাই গর্ব করেই বললেন— “আমি খুবই দরিদ্র, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসেছি।”

সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হয় ‘গ্লোবাল ফ্রেইট সামিট’। এতে যোগ দিয়ে নিজের ক্যারিয়ার, জীবন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন শাহরুখ খান।

‘বাজিগর’ তারকা শাহরুখ খান বলেন, “আমি ভারতের খুবই দরিদ্র, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসেছি। সুতরাং আমার ফিরিয়ে দেওয়ার কোনো ইচ্ছাই ছিল না। আমি পেয়েছি… এটা ভুল না। আমি যা পেয়েছি, সেটাকে আমি সম্মান করি। আমি হৃদয় থেকে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি উপলদ্ধি করেছি, কেবল আমার কারণে আমি সফল হইনি; আমি যেভাবে জীবন পরিচালনা করেছি, সেখানে অসংখ্য মানুষের অংশগ্রহণ রয়েছে। সেটা সিনেমা এবং আমার ব্যক্তিগত জীবনেও।”

শাহরুখ তার জীবনের সাফল্যকে নিজের বলতে নারাজ। তার ভাষায়—“সম্ভবত মানুষ আমাকে অত্যন্ত ‘নম্র’ বলে সম্বোধন করেন। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, আমার সাফল্যের পেছনে রয়েছে অসংখ্য মানুষের সহযোগিতা। সেটা ব্যক্তিগত ও পেশাগত দুই জায়গাতেই। যদি আমার সাফল্যকে নিজের বলি, তবে এটি মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই না।”    

খানিকটা ব্যাখ্যা করে শাহরুখ খান বলেন, “আমি যা কিছু পেয়েছি। যেমন: খ্যাতি, ধনসম্পদ। কিন্তু এসব আমার নয়। আমি অত্যন্ত নম্র নই; আমি সৎ, এসব আমার নয়। আমি যে বাড়ির রেলিংয়ে দাঁড়াই, এটা কেবল আমার জন্য নয়, যা কিছু হয়েছে, তার সবই আমার জন্যই— এটা ভাবা কেবলই মূর্খতা। কারণ একমুখী রাস্তা হতে পারে না।”

শাহরুখ যেমন অন্যদের সাহায্য পেয়েছেন, তেমনি অন্যদেরও সহযোগিতা করতে চান তিনি। এ বিষয়ে ‘পাঠান’ তারকা বলেন, “যখন আমি দিল্লিতে আসি তখন আমার পকেটে কোনো টাকা ছিল না। আমি চাই সবাই সুযোগ পাক, যেমনটা আমি পেয়েছিলাম। আমি সহযোগিতার অংশীদার হতে চাই। অসংখ্য মানুষ আমাকে সুযোগ দিয়েছেন। আমিও এ ধরনের সুযোগ দিতে চাই, যেমনটা আমি পেয়েছি। আমার সহযোগিতা কারো জীবন বদলে যেতে পারে।”

১৯৬৫ সালে ২ নভেম্বর ভারতের নয়াদিল্লিতে এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন শাহরুখ খান। তার শৈশবের প্রথম পাঁচ বছর কেটেছে ম্যাঙ্গালুরুতে। শাহরুখের দাদা ইফতিখার আহমেদ স্থানীয় পোর্টের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। যার কারণে সেখানে বসবাস করেন তারা। শাহরুখের বাবার নাম তাজ মোহাম্মদ খান, মা লতিফ ফাতিমা।

দিল্লির হংসরাজ কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন শাহরুখ খান। তারপর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়াতে গণযোগাযোগ বিষয়ে মাস্টার্সে ভর্তি হন। কিন্তু অভিনয় জীবন শুরু করার কারণে পড়াশোনা ছেড়ে দেন তিনি। তবে বলিউডে ক্যারিয়ার শুরুর দিকে দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা-তে ভর্তি হন এই শিল্পী।

১৯৯২ সালে ‘দিওয়ানা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন শাহরুখ খান। রোমান্টিক ঘরানার এ সিনেমায় অভিনয় করে নজর কাড়েন তিনি। সিনেমাটিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে সেরা নবাগত অভিনেতা হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন শাহরুখ।

একই বছর ‘চমৎকার’, ‘দিল আসনা হে’ ও ‘রাজু বান গেয়া জেন্টলম্যান’ সিনেমায় অভিনয় করেন শাহরুখ। তার পরের বছর ‘ডর’ ও ‘বাজিগর’ সিনেমায় অভিনয় করে নিজের জাত চেনান শাহরুখ। তার অভিনয়ের জাদুতে মুগ্ধ হন কোটি ভক্ত; পৌঁছে যান সাফল্যের চূড়ায়। তার অভিনয়ের খ্যাতি আরো বাড়তে থাকে যশরাজ ফিল্মসের সিনেমায় ধারাবাহিকভাবে অভিনয় করে। একের পর এক হিট সিনেমা দিয়ে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে অবস্থান করেন শাহরুখ। যদিও তার এই সফলতার জার্নির গল্প মোটেও সহজ ছিল। আর সে গল্প সবারই জানা।

অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন শাহরুখ খান। তার মধ্যে মোট পনেরোবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেছেন তিনি। এর মধ্যে আটবার সেরা অভিনেতা হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। হিন্দি সিনেমায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০০২ সালে তাকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করে ভারত সরকার। এ ছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি গ্রহণ করেন মোট পাঁচবার। তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে


img

যে কারণে এখনও অবিবাহিত অভিনেত্রী পায়েল

প্রকাশিত :  ০৮:৫৯, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪

টলিউডের অন্যতম আলোচিত অভিনেত্রী পায়েল সরকার। ‘আই লাভ ইউ’ সিনেমায় দেবের বিপরীতে টলিউডে অভিষেক হয় তার। ক্যারিয়ারে একাধিক তারকার সঙ্গে সিনেমা করেছেন। অনেকের সঙ্গে সম্পর্কের কথা সামনে এলেও পায়েল আজও নিজেকে সিঙ্গেল বলেই দাবি করেন।

আর কেন তার জীবনে কোনো প্রেমিকের স্থায়ী জায়গা হয়নি, সেই প্রসঙ্গে এবার নিজেই মুখ খুললেন অভিনেত্রী। 

সম্প্রতি দাদাগিরিতে এসে আরো একবার সম্পর্ক প্রসঙ্গে কথা বললেন পায়েল। যেখানে তিনি জানালেন, কেন তার জীবনে প্রেমিকের স্থায়ী জায়গা হয়নি। পায়েল বলেন, তিনি কোনো সম্পর্কে যেতে পারেননি কারণ তার মা-বাবা।

বিয়ের ক্ষেত্রে নিজের পাশাপাশি পরিবারের সবার সম্মতি প্রয়োজন। সাধারণ মেয়েদের ক্ষেত্রে জীবনে কোনো পুরুষের জায়গা করে নেওয়া অনেক ক্ষেত্রেই মেনে নিতে পারে না পরিবার। যদিও সেটা সন্তানের ভালোর জন্যই।