img

হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা

প্রকাশিত :  ০৫:২৯, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা

দখলদার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু লেবাননে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন । যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এই ঘোষণা দিলো ইসরায়েল। প্রাথমিক অবস্থায় এ চুক্তির মেয়াদ থাকবে ৬০ দিন। 

মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন নেতানিয়াহু। এসময় চুক্তির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, উত্তর ইসরায়েলের বাসিন্দারা এখন তাদের বাড়ি ফিরে যাবেন।

বিবিসির খবরে বলা হয়, যুদ্ধবিরতির এই চুক্তি এখন ইসরায়েলের পূর্ণ মন্ত্রিসভার সামনে যাবে। যার অনুমোদন হবে কেবলমাত্র একটি আনুষ্ঠানিকতা।

নেতানিয়াহু বলেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি পূর্ণাঙ্গ অনুমোদনের জন্য ইসরায়েলের পার্লামেন্টে উত্থাপন করা হবে। পাশাপাশি সম্পূর্ণ রূপরেখাও তুলে ধরা হবে। এ সময় উত্তরাঞ্চলীয় এলাকার বাসিন্দাদের ঘরে ফেরার আহ্বানও জানান তিনি।

একই সঙ্গে তিনি জানান, হিজবুল্লাহ চুক্তি ভঙ্গ করলে ইসরায়েল ফের হামলা চালাবে।

নেতানিয়াহু দাবি করেন, হিজবুল্লাহ বর্তমানে আগের মতো শক্তিশালী নেই। ইসরায়েলি বাহিনী তাদেরকে কয়েক দশক পিছিয়ে দিয়েছে। তেলআবিব যুদ্ধে লক্ষ্য পূরণ করেছে। এ সময় চুক্তি অমান্য করলে কঠোর জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।

যুদ্ধবিরতির সময়কালের বিষয়ে নেতানিয়াহু বলেন, লেবাননে কী ঘটে তার ওপর নির্ভর করবে এর সময়।

এদিকে লেবাননের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এরই মধ্যে বলেছেন, তিনি এই চুক্তিকে সমর্থন করেন।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তগুলোর বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে অন্যতম শর্তের মধ্যে একটি হচ্ছে ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহ উভয়ই ৬০ দিনের জন্য দক্ষিণ লেবানন থেকে তাদের বাহিনী প্রত্যাহার করবে। হিজবুল্লাহ সীমান্তের প্রায় ১৯ মাইল উত্তরে লিতানি নদীর উত্তরে থাকবে। দক্ষিণে তাদের কোনো অবস্থান থাকবে না। 

সেখানে সশস্ত্র গোষ্ঠী বলতে কেবল লেবাননের সেনাবাহিনী ও জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা অবস্থান করতে পারবেন। 

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। হামাসকে সহায়তায় এর পরের দিন ৮ অক্টোবর থেকে দখলদার ইসরায়েলের অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে রকেট ছোড়া শুরু করে হিজবুল্লাহ। এর জবাবে ইসরায়েলও লেবাননে হামলা শুরু করে।

img

কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত

প্রকাশিত :  ১৭:৩৩, ২২ এপ্রিল ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:৩৭, ২২ এপ্রিল ২০২৫

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পর্যটকদের একটি গ্রুপের ওপর বন্দুকধারীদের গুলিতে অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের জনপ্রিয় পর্যটন স্পট পহেলগামে এই ঘটনা ঘটেছে। মনোরম এই এলাকাটিকে ‘ভারতের সুইজারল্যান্ড’ হিসেবে পরিচিত।

পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কয়েকজন পর্যটককে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এলাকাটি ঘিরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

নিহতদের মধ্যে কর্ণাটকের শিভমগ্গার এক ব্যবসায়ী রয়েছেন। নিহত ব্যক্তির পরিবার জানিয়েছে, তার নাম মুঞ্জুনাথ রাও (৪৭)। তিনি স্ত্রী পল্লবী ও ছেলে অভিজয়কে নিয়ে জম্মু-কাশ্মিরে ঘুরতে গিয়েছিলেন।

স্থানীয় কয়েকটি সূত্রের মতে, নিহতের সংখ্যা অন্তত ২৮। সূত্রের খবর, হামলাকারীরা সংখ্যায় ছিল পাঁচ-ছ’জন।

হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। সেখানকার লেফট্যানেন্ট গভর্নর মনোজ সিনহা বলেছেন, ঘটনাস্থলে আর্মি ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সবুজে ঘেরা বৈসরন উপত্যকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়ে তাঁরা সন্ত্রাসবাদীদের কবলে পড়েন। সশস্ত্র সন্ত্রাসবাদীরা পর্যটকদের জনে জনে নাম জিজ্ঞাসা করে গুলি করেছে বলে ওই সূত্র জানায়। 

এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে পহেলগাঁও যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ বলেছেন, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার যেসব ঘটনা সাম্প্রতিক ঘটেছে তার মধ্যেই এটিই সবচেয়ে বড় হামলা।

আব্দুল্লাহ এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। “আমি অবিশ্বাস্য হতবাক। পর্যটকদের ওপর এই হামলা ঘৃণ্য কাজ,” তিনি বলেছেন। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের ভারত সফরের সময়ই হামলা চালাল জঙ্গিরা। এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গিগোষ্ঠী ঘটনার দায় স্বীকার করেনি।

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই এলাকায় ১৯৮৯ সাল থেকেই বিচ্ছিন্নতাবাদী সহিংসতা হয়ে আসছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তা কমে আসছিল।



আন্তর্জাতিক এর আরও খবর