img

শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়

প্রকাশিত :  ০৭:০০, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়

অন্যান্য ঋতুর তুলনায় শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা অনেকটা কম হয়, ফলে শীতের শুরু থেকেই ত্বক শুষ্ক হতে থাকে। এই শুষ্ক ঋতুতে আর্দ্রতা হারিয়ে ত্বক হয়ে পরে নিস্তেজ ও মলিন। তবে একটু সচেতনতা ও যত্নের মাধ্যমে খুব সহজেই শীতকালে ত্বক স্বাস্থ্যকর রাখা সম্ভব।

চলুন জেনে নেওয়া যাক শীতে ত্বকের যত্নে কী কী করবেন-

ময়েশ্চারাইজ

শীতের শুষ্কতার হাত থেকে ত্বক বাঁচাতে ময়েশ্চারাইজারের তুলনা নেই। ত্বক হেলদি রাখতে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। বাজারে নামি-দামি ময়েশ্চারাইজার ছাড়াও খাঁটি নারিকেল তেল বা অলিভ ওয়েল ব্যবহারেও অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া য়ায়।

স্ক্রাব বা এক্সফোলিয়েটিং

ত্বকের মৃত কোষ বা মরা চামড়ার আস্তরন দূর করতে সপ্তাহে এক থেকে দুইবার জেন্টাল স্ক্রাব ব্যাবহার করতে হবে। চালের গুড়ো আর মধু মিশিয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে স্ক্রাব তৈরি করা সম্ভব।

এক চামচ চালের গুঁড়ো ও এক চামচ মধু একসাথে মিশিয়ে, ভেজা ত্বকে আলতো হাতে ৩ থেকে ৫ মিনিট ঘষে হালকা গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। অবশ্যই স্ক্রাবিং এর পর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।

ফেস প্যাক

সপ্তাহে দু তিনবার দুধের সর ,মধু ও বেসন এর মিশ্রণ ব্যবহারে ত্বকের আদ্রতা বৃদ্ধিপাবে পাশাপাশি এটি ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতেও সাহায্য করবে। তাছাড়া টক দই ,বেশন ও হলুদের মিশ্রণ ব্যবহার করা যেতে পারে ।

কুসুম গরম পানিতে গোসল

অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম পানির ব্যাবহার শীতে ত্বককে আরও রুক্ষ করে দিতে পারে। তাই হালকা গরম পানিতে ঘোসল করতে হবে। এছাড়া অতিরিক্ত খাড় যুক্ত সাবান ব্যাবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এক্ষেত্রে গ্লিসারিন যুক্ত সাবান ব্যবহার করা যেতে পারে।

img

শীতে খুশকি-চুল পড়া, যেভাবে চুল ঝলমলে রাখবেন

প্রকাশিত :  ১২:৫৫, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শীত আসলেই চুল শুষ্ক হয়ে যাওয়া ও খুশকির মতো সমস্যা বাড়তে থাকে। প্রথমেই শীতের কারণে চুলের যত্নের ক্ষেত্রে কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনা দরকার। শীতকালে বেশিরভাগ সময়ই বাইরে ঠাণ্ডা বাতাসে থাকার ফলে চুল দ্রুত শুষ্ক হয়ে পড়ে এবং ভেঙে যেতে শুরু করে। এজন্য শীতকালীন শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত, যা চুলকে আর্দ্র এবং কোমল রাখে। 

শীতকালে চুলে তেলের ব্যবহারও বৃদ্ধি করা উচিত। সপ্তাহে অন্তত একদিন তেল ম্যাসাজ করতে পারেন। তেল চুলের শিকড়ে পুষ্টি প্রদান করে, যা চুলের মজবুত করে এবং শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে।

এছাড়া শীতকালে হালকা গরম পানি দিয়ে চুল ধোয়া উচিত, যাতে চুলের প্রাকৃতিক তেল অক্ষুণ্ণ থাকে। খুব গরম পানি ব্যবহার করলে চুলের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়ে গিয়ে চুল আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। 

কন্ডিশনার ব্যবহারের পর চুলে প্রাকৃতিক তেলের জন্য ত্বকের যত্ন নেওয়া উচিত, যেমন আলোভেরা বা নারকেল তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ছাড়াও চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে পুষ্টির খেয়াল রাখতে হবে। 

শীতকালে খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন E, Omega-3 এবং প্রোটিন যুক্ত খাবার যেমন বাদাম, মাছ, ডিম, এবং শাকসবজি রাখা উচিত। এই পুষ্টিগুলি চুলের বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত সহায়ক।

চুলের ভেতর ময়লা জমে গেলে বা চুলের গোড়া বন্ধ হয়ে গেলে চুলের বৃদ্ধি কমে যেতে পারে। তাই নিয়মিত চুলে পরিষ্কার রাখা জরুরি। এছাড়া চুলে অতিরিক্ত হিট ব্যবহার যেমন হেয়ার ড্রায়ার বা স্ট্রেইটনার কম ব্যবহার করা উচিত, কারণ এগুলি চুলকে আরও শুষ্ক করে ফেলতে পারে। 

চুলের যত্নে পরিধানযোগ্য হেডক্যাপ বা স্কার্ফ ব্যবহার করতে পারেন, যা শীতের ঠাণ্ডা বাতাস থেকে চুলকে রক্ষা করবে।

শীতকালে চুলের যত্নের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো নিয়মিত চুল কাটানো। চুলের ডগা ফাটলে তা চুলের বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে, তাই প্রতি ছয় থেকে আট সপ্তাহ পর পর চুল কাটানো উচিত। 

সবশেষে, শীতকালে চুলকে ঝলমলে রাখার জন্য সঠিক যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি ধৈর্য রাখা জরুরি। সময়মতো পুষ্টি, তেল, সঠিক শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহারের মাধ্যমে চুল থাকবে মজবুত, ঝলমলে এবং শীতেও আপনার আত্মবিশ্বাস বজায় থাকবে। 

যদি মনে হয় সমস্যাগুলো দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী হচ্ছে তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চর্ম ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

লেখক: চিকিৎসক (এম.বি.বি.এস) শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।