img

ওসমানী বিমানবন্দরকে পরিপূর্ণ আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার দাবিতে বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল ইউকে’র ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ

প্রকাশিত :  ১৬:০৭, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

ওসমানী বিমানবন্দরকে পরিপূর্ণ আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার দাবিতে বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল ইউকে’র ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ

সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরকে পরিপূর্ণ আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার দাবিতে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল ইউকে। গত সোমবার বিকেলে পূর্ব লন্ডনের বারাকা ইটারিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফলে সকল ক্ষেত্রে বঞ্চিতরা সমতা আশা করছেন। তাই প্রবাসীবহুল সিলেটবাসীও এখন ন্যায্য দাবি পূরণে দৃঢ় আশাবাদী।  

স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল ইউকের সভাপতি আব্দুল মুকিত  বলেন, নোবেল জয়ী ড. ইউনুসের নেতৃত্বে পরিচালিত অন্তরবর্তী সরকার প্রবাসীদের ন্যায্য দাবি পূরণ করবেন বলেই আমাদের প্রত্যাশা। অতীতের সরকার সমূহ প্রবাসীদের সাথে প্রতারণা করেছন। লন্ডন এসে অনেক মন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে ওয়াদা করলেও দেশে গিয়ে তারা বেমালুম ভুলে গেছেন। বর্তমান সরকার এমনটা করবে না বলেই আমরা আশা করি।  

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ গাজীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাবেক সহ-সভাপতি ও সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বদরুজ্জামান সেলিম, দৈনিক সময় ও মানব টিভি সম্পাদক সাঈদ চৌধুরী,  আমেরিকা প্রবাসী আনোয়ার হোসেন,  ওয়েলফেয়ার কাউন্সিলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সেলিম হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দীন লাকি, কোষাধ্যক্ষ কদর উদ্দীন, শিক্ষা সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল হাই, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসতাব উদ্দিন, ইসলাম উদ্দিন, লায়েক মিয়া, ফরহান আহমদ চৌধুরী, ফয়সল আহমদ, আব্দুর রহিম বেগ, তাহমিদ জাওয়াদ, মাজিদুর রহমান রুনু, ময়নুল ইসলাম, ফারুক আহমদ, দারা মিয়া, ছালেহ আহমদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল ইউকে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে।  গ্রেট ব্রিটেন-সহ প্রবাসীদের মাঝে এই দাবির পক্ষে ব্যাপক জনমত তৈরী হয়েছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে ২০১১ সালে লন্ডন-সিলেট- লন্ডন রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালুর কিছুদিন পর সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপর বহু আন্দালন ও প্রতিক্ষার পর ২০২০ সালে আবারো চালু হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, বিমান লন্ডন থেকে সিলেট হয়ে ঢাকা গেলেও সিলেটের যাত্রীদের অনেক বেশী ভাড়া দিতে হয়। এমন বৈষম্যমূলক আচরণ খুবই অন্যায় এবং অপরাধের নামান্তর। সিলেট অঞ্চলের প্রবাসী যাত্রীদের জিম্মী করে বিমান অত্যধিক ভাড়া নিচ্ছে। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে প্রবাসীরা বাংলাদেশে যেতে পারছেন না। নতুন প্রজন্মের প্রবাসীদের স্বদেশমুখী করতে হলে লন্ডন-সিলেট- লন্ডন ফ্লাইটের ভাড়া কমাতে হবে। অনতিবিলম্বে ওসমানী বিমানবন্দরকে পরিপূর্ণ আন্তর্জাতিক সুবিধায় সমৃদ্ধ করা এবং সাউদিয়া, দুবাই, কাতার ও ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ-সহ বিদেশী বিমান ওঠানামার সুযোগ দিতে হবে।

কমিউনিটি এর আরও খবর

সকল মহলের সহযোগিতা কামনা

img

বাংলাদেশ সেন্টারের গ্রীন প্যানেল গ্রুপের সংবাদ সম্মেলন : সেন্টার রক্ষা ও বিভিন্ন সেবামূলক কাজ চালুর স্বার্থে বিনা শর্তে যে কোন আপোষ-মীমাংসায় সম্মতি

প্রকাশিত :  ০৬:১৩, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

লণ্ডনের ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ সেন্টার ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের অনন্য স্মারক, বাংলাদেশ সরকারের প্রথম হাই কমিশন ।বাংলাদেশ সেন্টার এক সময় সভার হল ,বিভিন্ন সার্ভিস প্রদান ,নামাজের জন্য হল ও স্টুডেন্ট হোস্টেল ছিল । জমজমাট ছিল এ সেন্টার ।

জরাজীর্ন সেন্টারের ভবনে সংস্কার কাজ করার ফলে নতুন ভবনের অনেক সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে । কিন্তু  এ ঐতিহাসিক সেন্টারটি এখন নেতৃত্বের কোন্দলে সেবা প্রদান থেকে বঞ্চিত রয়েছে । বিগত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুটি কমিটি রয়েছে ।প্রতিটি গ্রুপই নিজকে বৈধ বলে দাবী করে আসছে ।কিন্তু চ্যারিটি কমিশন নাকি উভয় গ্রুপকে অবৈধ বলেছে ।বিগত দিনে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন  হয়েছে ।বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে ।

পদাধিকার বলে মাননীয় হাইকমিশনার সভাপতি হয়ে অনেক চেষ্টা করেও বিরোধ মীমাংসা করতে পারেন নি। কমিউনিটির মুরুব্বীরা সালিশের চেষ্টা করেও কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেন নি।কমিটির মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে ।গতকাল গ্রীন প্যানেলের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলন করে সেন্টারটিকে রক্ষা করার জন্য সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব‍্য রাখেন এ কে এম শহীদুর রহমান । সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় যে- এই সংকট নিরসনের জন্য এ পর্যন্ত গৃহীত সকল উদ্যোগই ব্যার্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। তাই এই অচলাবস্থা সৃষ্টিকারীদের অপকৌশল বন্ধ করতে হবে। সেন্টারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির নিরপত্তা বিধান ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। সেন্টারের ব্যাংক একাউন্ট ও ফান্ড এর অনুনোমোদিত ব্যবহার সম্পর্কে সকল ক্যাটাগরির সদস্যদেরকে অবহিত করাই এই সংবাদ সম্মেলনের  উদ্দেশ্য।

সভায় বক্তারা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান। ব্যক্তিগত স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে কমিউনিটির  স্বার্থ ও সেবা গ্রহণকারীদের স্বার্থকে সবার উপরে স্থান দিয়ে এই সংকট নিরসনের লক্ষ্যে সবাইকে এক সাথে মিলে মিশে কাজ করতে হবে। এই বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ নিতে বৃটেনে নব-নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও পদাধিকার বলে বাংলাদেশ সেন্টারের চেয়ারপার্সন মান্যবর আবিদা ইসলাম মহোদয়কে এই সভা থেকে অনুরোধ জানানো হয়। এবং মান্যবর রাষ্ট্রদূতকে এই বিষয়ে সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদানের অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

সংকট সমাধানে উপায় হিসেবে দুটি প্রস্তাব করা হয়: 

১. সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় ৪২ ধারা অনুযায়ী নোটিশ প্রদান এবং ৪৪ ও ৪৫ ধারা অনুযায়ী কমিটি, উপ-কমিটিসমূহ গঠন। 

২. এজিএম ডেকে নির্বাচিত কমিটির হাতে সেন্টার পরিচালনা করার দায়িত্ব অর্পণ। 

সভায় সভাপতিত্ব করবেন সিনিয়র সহ-সভাপতি জনাব মোহাম্মদ মহিবুর রহমান মুহিব, সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শহীদুর রহমান, সহ-সভাপতি জনাব ইছবাহ উদ্দিন, সহ-সভাপতি, জনাব হাবিবুর রহমান ময়না, চিফ-ট্রেজারার জনাব মোহাম্মদ ফাইজুল হক, যুগ্ম-সম্পাদক জনাব শামীম আহমেদ ও যুগ্ম-ট্রেজারার জনাব নসিম আহমেদ।

কমিউনিটি এর আরও খবর