img

যুদ্ধবিরতির পর ঘরে ফিরছেন লেবাননের বাসিন্দারা

প্রকাশিত :  ০৭:২১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

যুদ্ধবিরতির পর ঘরে ফিরছেন লেবাননের বাসিন্দারা

দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের পর লেবাননে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে দখলদার ইসরায়েল। বুধবার ভোর থেকেই এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। ফলে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন দেশটির বাসিন্দারা, পাশাপাশি নিজেদের ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন তারা।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। বুধবার ভোর ৪টার দিকে এটি কার্যকর হয়। এর ফলে দক্ষিণ লেবাননের বাস্তুচ্যুত বাসিন্দারা যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে শুরু করেছেন।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী লেবাননের পূর্বাঞ্চলের বাসিন্দাদের ঘরে ফেরার ব্যাপারে সতর্ক করেছে। তবে তাদের সতর্কতা উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ দক্ষিণ লেবাননে পাড়ি দিয়েছে।

লেবাননের স্পিকার নাবিহ বেরি বাসিন্দাদের ঘরে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে তিনি বলেন, আমি আপনাদের ঘরে ফেরার আহ্বান জানাচ্ছি।

টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তকে নাবিহ বলেন, ধ্বংসস্তূপের ওপর বসবাস করতে হলেও আপনারা নিজেদের ভূমিতে ফিরে আসুন।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার মধ্যরাতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। প্রাথমিক অবস্থায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে, যা পরবর্তী সময়ে আরও বাড়ানো হতে পারে।

নেতানিয়াহু বলেন, নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মতি জানিয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হিজবুল্লাহ যদি চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে তাহলে ইসরায়েল তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে।

চুক্তি অনুসারে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে লেবানন থেকে ইসরায়েল তাদের সব সেনা প্রত্যাহার করে নেবে। অন্যদিকে হিজবুল্লাহ সীমান্ত থেকে সরে লিটানি নদীর অপরপ্রান্তে সরে যাবে। এ ছাড়া তারা নতুন করে কোনো অবকাঠামো নির্মাণ বা নিজেদের পুনরায় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করতে পারবে না।

নেতানিয়াহু দাবি করেন, বর্তমানে আগের মতো শক্তিশালী নেই হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলি বাহিনী তাদের কয়েক দশক পিছিয়ে দিয়েছে। তেলআবিব যুদ্ধে লক্ষ্য পূরণ করেছে। এ সময় চুক্তি অমান্য করলে কঠোর জবাব দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

img

ক্যারিবিয়ান সাগরে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি

প্রকাশিত :  ০৫:৪২, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে ক্যারিবীয় সাগরে । রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৬। জোরালো এই ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

স্থানীয় সময় শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ৭.৬ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে ক্যারিবিয়ান সাগরে কেঁপে উঠেছে বলে মার্কিন পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলো জানিয়েছে। ভূমিকম্পটি কেম্যান দ্বীপপুঞ্জের উপকূল থেকে প্রায় ১৩০ মাইল (২০৯ কিলোমিটার) দূরে হন্ডুরাসের উত্তরে আঘাত হানে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার (৬.২১ মাইল) অগভীর গভীরতায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

মার্কিন সুনামি সতর্কতা ব্যবস্থা জানিয়েছে, ক্যারিবিয়ান সাগর এবং হন্ডুরাসের উত্তরে ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, ভূমিকম্পের পরে মার্কিন আটলান্টিক বা উপসাগরীয় উপকূলে সুনামি প্রত্যাশিত ছিল না, তবে পুয়ের্তো রিকো এবং ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জের জন্য এই সতর্কতা জারি করেছে তারা। 

প্রশান্ত মহাসাগরীয় কেন্দ্র বলেছে, কেম্যান দ্বীপপুঞ্জ, জ্যামাইকা, কিউবা, মেক্সিকো, হন্ডুরাস, বাহামা, বেলিজ, হাইতি, কোস্টারিকা, পানামা, নিকারাগুয়া এবং গুয়াতেমালার উপকূল বরাবর ভূমিকম্পের ৬২০ মাইলের মধ্যে ভূমিকম্পের ফলে “বিপজ্জনক সুনামি ঢেউ” শুরু হয়েছিল।

ক্যারিবিয়ান সাগরে অবশ্য শক্তিশালী কোনও ভূমিকম্পের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে পূর্ব কিউবার মধ্যবর্তী ক্যারিবিয়ান সাগরে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। স্থানীয় সময় রাত সোয়া ২টার দিকে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের জেরে সুনামি সতর্কতা জারির খবর পাওয়া যায়নি।

তারও আগে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে ক্যারিবীয় সাগরে রিখটার স্কেলের ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। সেসময় পুয়ের্তো রিকো ও মার্কিন ভার্জিন দ্বীপে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।